জেরুজালেম, 1 অক্টোবর: ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী আগেই হঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ৷ এবার কাজে করে দেখালেন ৷ রকেট হামলা নয়, সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুল্লাদের গোঁড়া থেকে উপড়ে ফেলতে এবার স্থল অভিযান শুরু করল ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) ৷ যুদ্ধের ঝাঁঝ বাড়িয়ে এবার দক্ষিণ লেবাননে আক্রমণ করল আইডিএফ ৷
আইডিএফ-এর তরফে হামলা প্রসঙ্গে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে ৷ সেখানে তারা জানিয়েছে, দেশবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে উত্তর ইজরায়েলের সীমান্তবর্তী এলাকায় এই অভিযান শুরু করা হয়েছে ৷ তবে কিছু সময়ের জন্যই এই হামলা চলবে ৷ সীমান্ত থেকে লেবানিজ ও হিজবুল্লা ফোর্সকে সরিয়ে দেওয়ার পরই হামলা থেমে যাবে ৷
ইজরায়েলের এই অভিযানে ইতিমধ্যেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল ৷ 2006 সালে হিজবুল্লা-ইজরায়েলের যুদ্ধের সময় স্থল অভিযান চালায় দুই পক্ষই ৷ সেই অভিযান চলে প্রায় এক মাস ৷ যদিও এখনও পর্যন্ত দু'পক্ষের মুখোমুখি কোনও লড়াই হয়েছে বলে জানা যায়নি ৷ তবে আইডিএফ-এর স্থল অভিযানের ভয়ানক ফল হতে পারে বলে মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ৷
2023 সালের 7 অক্টোবর ইজরায়েলের উপর হামলা করে হামাস ৷ সেই হামলার একদিন পর 8 অক্টোবর গাজার সমর্থনে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শুরু করে ইরান সমর্থিত সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুল্লা ৷ তারপর থেকে প্রায় প্রতিদিনই একে অপরের উপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে দুই পক্ষ ৷
তবে সাম্প্রতিক সময়ে যুদ্ধের ঝাঁঝ কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে ৷ হিজবুল্লাকে সম্পূর্ণভাবে ধুলিসাৎ করতে লেবাননে তাঁদের ঘাঁটিতে আক্রমণ করে যাচ্ছে আইডিএফ ৷ পেজার বোমা, ওয়াকিটকি বিস্ফোরণ কোনও কিছুই বাদ রাখছে না তারা ৷
শুধু তাই নয়, গত এক সপ্তাহে হিজবুল্লার 7 শীর্ষ নেতাকে মেরে ফেলেছে ইজরায়েল ৷ সেই ঘটনায় হিজবুল্লারা খানিক ব্যাকফুটে চলে গেলেও নিজেদের শক্তি পুনরুদ্ধারে কোনও খামতি রাখতে নারাজ ইরান সমর্থিত এই জঙ্গি সংগঠন ৷ শীর্ষ কমান্ডার হাসান নাসরাল্লাহর মৃত্যুর পরও যুদ্ধ না থামানোর কথা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হিজবুল্লার আর এক শীর্ষ নেতা নাইম কাসেম ৷
2006 সালে যুদ্ধ জড়িয়েছিল ইজরায়েল-হিজবুল্লা ৷ সেই সময় পশ্চিমের একাধিক শক্তিধর দেশের প্রচেষ্টায় থেমে যায় সেই যুদ্ধ ৷ তারপর কেটেছে বেশ কিছুটা সময় ৷ একদিকে, বিদেশি অস্ত্রে নিজেদের ভাণ্ডার সাজিয়ে তুলেছে হিজবুল্লা ৷ অন্যদিকে, দেশের গোয়েন্দা বিভাগকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে ইজরায়েল ৷ কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের দাবি, সেকারণেই হিজবুল্লাদের অন্দরে প্রবেশ করে আক্রমণ করতে সুবিধা হয়েছে আইডিএফ-র ৷