দিনের শুরুটা সুন্দর হওয়া প্রয়োজন । একটি পুষ্টিকর ব্রেকফাস্ট শরীরকে প্রয়োজনীয় শক্তি যোগাতে সাহায্য় করে ৷ তাই ডায়েটিশিয়ান জয়শ্রী বণিকের মতে, ব্রেকফাস্ট ঠিক রাখা দরকার ৷ জেনে নিন, কোন কোন খাবার খালিপেটে খাওয়া উচিত নয় ?
তিনি বলেন, "দই একটি স্বাস্থ্যকর দুগ্ধজাত পণ্য ৷ যা উচ্চ প্রোবায়োটিক বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত । প্রোবায়োটিক আমাদের হজমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তবে খালি পেটে দই খেলে পাকস্থলীর অ্যাসিড বাড়তে পারে ৷ যা ভালো ব্যাকটেরিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে । এমন পরিস্থিতিতে আপনিও যদি এই ভুলটি করে থাকেন, জেনে নিন এতে অ্যাসিডিটি এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হতে পারে ।"
সাইট্রাস ফল: খালি পেটে টক ফল খাওয়া পেটের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে ৷ কারণ টক ফলের মধ্যে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড খালি পেটে অ্যাসিডের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় ৷ যা অ্যাসিডিটি, ফোলাভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা তৈরি করে যা খারাপ হতে পারে ।
চা কফি: অনেকেরই দিন শুরু হয় চা বা কফি দিয়ে । এই পানীয়গুলিতে উপস্থিত ক্যাফেইন আমাদের শরীরকে উদ্দীপিত করে এবং হঠাৎ করে রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় । হঠাৎ বর্ধিত মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে, শরীর আরও ইনসুলিন নিঃসরণ করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত হ্রাস করতে পারে । এই দ্রুত ওঠানামা আমাদের আরও ক্ষুধার্ত এবং ক্লান্ত বোধ করে ।
মশলাদার খাবার: ব্রেকফাস্টে মশলাদার খাবার খাওয়া অনেকেরই অভ্যাস । এমন পরিস্থিতিতে, এটি স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক প্রমাণিত হতে পারে । খালি পেটে মশলাদার খাবার পেটের আস্তরণে জ্বালা হতে পারে ৷ যারফলে বদহজম, অ্যাসিডিটি এবং পেট ব্যথার মতো সমস্যা হতে পারে । এছাড়াও অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খেলে ডায়রিয়া, গ্যাস এবং ফোলা জাতীয় হজম সংক্রান্ত সমস্যা হতে পারে ।
ফলের জুস: যদি খালি পেটে জুস খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে শীঘ্রই তা বদলে ফেলুন ৷ কারণ এই প্রক্রিয়ায় ফলের ফাইবার এবং অনেক ভিটামিন ও পুষ্টি নষ্ট হয়ে যায় । পুরো ফলের রসে অল্প পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট পাওয়া যায় । তাই পুষ্টির দিক থেকে শুধুমাত্র গোটা ফলই খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত ।
ফ্রাই জাতীয় খাবার: ডিপ ফ্রাই জাতীয় খাবার খালিপেটে খাওয়া উচিত নয় ৷ কারণ বদহজমের সমস্যা হতে পারে ৷
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই প্রতিবেদনে উল্লেখিত তথ্য শুধুমাত্র ধারণা আর সাধারণ জ্ঞানের জন্যই লেখা হয়েছে ৷ এখানে উল্লেখিত কোনও পরামর্শ অনুসরণের আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ৷ যদি আগে থেকেই কোনও স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে থাকে, তা আগেই চিকিৎসককে জানাতে হবে ৷)