পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / bharat

ভারতের পান্নার হাটে-বাজারে বিক্রি হয় হিরে !

দেশ ও বিশ্বে হিরের জন্য বিখ্যাত পান্নায় খোলাবাজারে বিক্রি হত হীরে ৷ শুরু হয়েছিল 1742 সালে। জানুন ইতিহাস ৷

MP PANNA DIAMOND
হাটে-বাজারে বিক্রি হয় হিরে ! (ইটিভি ভারত)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 10 hours ago

Updated : 10 hours ago

পান্না (মধ্যপ্রদেশ), 21 অক্টোবর: মূল্যবান রত্ন হিরের জন্য বিখ্যাত মধ্যপ্রদেশের পান্না ৷ পান্নার হিরের খনি শুধু নয়, বিনামূল্যে হিরে পাওয়ার ইতিহাস অন্যতম আকর্ষণীয়। পান্নার মহারাজা সভা সিং জু দেবের আদেশে এখানে ধর্মকুণ্ডে প্রথম হিরের খনি স্থাপিত হয় ৷ যা এখন ধর্মসাগর পুকুর নামে পরিচিত ৷

ইতিহাসবিদ সূর্যভান সিং পারমার জানান, ধর্মকুণ্ড নামে একটি পুকুরের মাঝখানে মন্দির ছিল ৷ সেখানেই হিরের খনি ছিল। প্রথম হিরে সেখানেই পাওয়া যায় ৷ তারপর সেখানে একটি মন্দির তৈরি করা হয়। মহারাজা সভা সিং জু দেব আদেশ দেন, জনসাধারণ যদি হিরের খনিতে কাজ করতে চায়, তবে তারা করতে পারে ৷ এমনকী বিনামূল্যে হিরে তারা নিতেও পারে।

রাজার আদেশে কয়েকশো মানুষ এখানে হিরের খনি খনন করে ৷ তারা হিরের খোঁজও পায়। এরপরই রাজা আদেশ জারি করে জানান, 2 ক্যারেটের বেশি ওজনের হিরে রাজকোষে জমা করতে হবে ৷ তবে 2 ক্যারেটের কম ওজনের হিরে খোলা বাজারে সাধারণ মানুষ নিজেই বিক্রি করতে পারবেন। রাজকোষে 2 ক্যারেটের বেশি ওজনের হিরে জমা করার পর মহারাজা সেই ব্যক্তিদের বিশেষ পুরস্কারও দিতেন। বিনামূল্যে হিরে পাওয়ার এই আদেশ 1742 থেকে 1948 সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দেশ স্বাধীন হওয়ার পরেও রাজা যাদবেন্দ্র সিং-এর সময় পর্যন্ত বলবৎ ছিল। এরপর 1961 সালে সরকারি ডায়মন্ড অফিস প্রতিষ্ঠিত হয়।

জানা গিয়েছে, বর্তমানে যেখানে ধর্মসাগর পুকুর রয়েছে, সেখানে আগে ঘন জঙ্গল ছিল ৷ ধর্ম কুণ্ডের কাছে একটি ছোট মন্দিরও ছিল। তার আগেই অবশ্য এই পুকুরের কাছেই হিরের খনি খনন করা হয়েছিল। মহারাজা ছত্রশালের গুরু মহামতি প্রাণনাথ রাজাকে পান্নায় হিরের উপস্থিতির কথা জানিয়েছিলেন বলে জানা যায়। সে সময় মহারাজা ছত্রশাল যুদ্ধে বেশি ব্যস্ত থাকতেন ৷ কখনও মুঘল বাহিনীর আক্রমণ, আবার কখনও তিনিই মুঘল সেনাবাহিনীকে ধাওয়া করতেন ৷ দ্বিতীয় রাজা হৃদয় শাহও যুদ্ধে ব্যস্ত থাকেন ৷ এরপর তৃতীয় মহারাজা সভা সিং ধর্ম কুণ্ডের কাছে প্রথম হিরের খনি খনন করার নির্দেশ দেন ৷ তারপরেই খনন কাজ শুরু হয়।

ইতিহাসবিদ সূর্যভান সিং বলেন, “ধর্ম কুণ্ডের কাছে অনেক খনি খনন করা হয়েছিল ৷ এত খননের ফলে সেখানে একটি পুকুর তৈরি হয়ে গিয়েছিল। মন্ত্রীরা রাজা সভা সিং জু দেবকে অনুরোধ করেন, এখানে পুকুরের জন্য একটি বাঁধ তৈরি করতে ৷ যাতে বড় আকারের একটি পুকুরও তৈরি করা যায়। রাজা এই কাজে সম্মত হয়েছিলেন ৷ পরে ধর্ম কুণ্ডের কাছে একটি শিব মন্দিরও তৈরি করা হয় ৷ যা এখনও পুকুরের মাঝখানে অবস্থিত ৷ এখানে প্রাচীন শিবলিঙ্গও রয়েছে।"

Last Updated : 10 hours ago

ABOUT THE AUTHOR

...view details