নয়াদিল্লি, 21 অক্টোবর: দত্তক নেওয়া কুকুরের মৃত্যুতে হত্যার অভিযোগ তুললেন কৃষ্ণনগর লোকসভার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ৷ গ্রেটার নয়ডার ইমালিয়া গ্রামের একটি আশ্রয়কেন্দ্রে তাঁর দত্তক নেওয়া কুকুরটি হঠাৎ মারা যায় । এই ঘটনার পর মহুয়া মৈত্র এক্স-এ একটি পোস্ট করে তাঁর কুকুরকে হত্যার অভিযোগ করেছেন । এই ঘটনায় তিনি নয়ডা পুলিশ এবং পুলিশ কমিশনারকে ট্যাগ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং ন্যায়বিচার দাবি করেছেন ।
মহুয়া তাঁর পোস্টে লেখেন, "সম্প্রতি আমার উদ্ধার করা পুনর্বাসিত শিশুগুলির মধ্যে একটি আশ্রয়কেন্দ্রে মারা গিয়েছে । নয়ডায় নিষিদ্ধ আতশবাজি পোড়ানোর কারণে ক্রমাগত দূষণ হচ্ছে এবং এর কারণে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে । এটা নিছক খুন ।" এভাবেই সাংসদ আতশবাজির শব্দ এবং এর ফলে সৃষ্ট দূষণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান ।
Hello @noidapolice @CP_Noida - one of my rescued rehab babies just died of cardiac arrest at @SmartSanctuary Noida due to explosive non stop banned firecrackers. This is murder. Can you please enforce the ban? Shameful
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) October 20, 2024
আশ্রয়কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা কাবেরী রানা ভরদ্বাজ জানিয়েছেন যে, তার কুকুরটিকে গ্রেটার নয়ডা পশ্চিম থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷ এর পুরো খরচ বহন করেছেন সাংসদ মহুয়া মৈত্র । কাবেরী বলেন, "আমি সেখানে ছিলাম যখন একটানা জোরে আতশবাজি ফাটছিল । এর ফলে আমাদের গুড্ডু হাইপারভেন্টিলেট হয়ে গিয়েছিল এবং শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যু হয় ৷"
তাঁর বক্তব্য, দূষণ ও শব্দের কারণে শুধু মানুষের জীবন নয়, পশুপাখির জীবনও হুমকির মুখে । দীপাবলির মতো উৎসবে যখন আতশবাজি পোড়ানোর পরিমাণ বেড়ে যায় তখন এটি প্রাণীদের জন্য আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে । এই কেসটি শুধু প্রাণীর নিরাপত্তার বিষয়টিই তুলে ধরেনি বরং এটাও স্পষ্ট করেছে যে মানুষকেও তাদের পরিবেশের প্রতি সংবেদনশীল হতে হবে ।
মহুয়া মৈত্রের এই ঘটনা রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছে । রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি দেবেন্দ্র যাদব বলেছেন, যে সরকারগুলি রয়েছে তা কেন্দ্রে মোদির বসা বা কেজরিওয়ালের প্রক্সি সরকার ৷ সবই জনগণকে বিরক্ত করছে । যমুনার দূষণ-সংক্রান্ত পরিস্থিতি এবং ড্রেনের সমস্যার ওপর জোর দিয়ে তিনি জানান, দুর্নীতির বড় কারণ লুকিয়ে আছে সরকারের এসব নীতির মধ্যে ।