বেঙ্গালুরু, 21 অক্টোবর: ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে জেল হেফাজতে রয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ প্রজ্বল রেভান্না ৷ এবার তাঁর জামিনের আবেদন পত্রপাঠ খারিজ করে দিল কর্ণাটক হাইকোর্ট।
পরিচারিকাকে ধর্ষণের মামলায় এবং হাসান জেলা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্যকে ধর্ষণ, অশ্লীল ভিডিয়ো শেয়ার করার মামলায় আগাম জামিন চেয়েছেন প্রজ্বল রেভান্না। হাইকোর্টের বিচারপতি এম নাগপ্রসন্নের বেঞ্চ প্রজ্বলের দায়ের করা সেই আবেদনের শুনানি করে ৷ এরপরই তা খারিজ করে দেন বিচারপতি। বিচার চলাকালীন প্রজ্বল রেভান্নার পক্ষে আইনজীবী প্রভুলিঙ্গা নাভাদাগি জানান, ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি ভিডিয়োটিতে অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতার উপস্থিতি স্পষ্ট করেনি। নির্যাতিতার দেওয়া অভিযোগের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও আপত্তি তোলেন আইনজীবী ৷
লোকসভা ভোটের কয়েকদিন আগে একটি ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াকে সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন নির্যাতিতা। সেখানে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ করেননি। 164 ধারায় গোপন জবানবন্দিতেও ধর্ষণের অভিযোগ করেননি ৷ পাঁচ বছর দেরীতে অভিযোগ দায়ের করার কোনও ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি বলে আদালতে জানান তিনি ৷
রেভান্নার আইনজীবী আরও জানান, নির্যাতিতার জবানবন্দি চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হয় তবে তাঁর বক্তব্যে ভিন্নতা রয়েছে। হাসান জেলা পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সদস্যও ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযোগ দায়েরের কয়েকদিন আগে তিনি আবেদনকারীর সঙ্গে লোকসভা নির্বাচনের সম্মেলনেও অংশ নিয়েছিলেন। অশ্লীল ভিডিয়ো শেয়ার করার ক্ষেত্রে আবেদনকারীর কোনও ভূমিকা নেই বলেও জানান তিনি। আইনজীবীর দাবি, প্রজ্বল 30 মে থেকে হেফাজতে রয়েছেন। আমরা আদালত থেকে পালিয়ে যাব না। আদালতের দেওয়া যেকোনও শর্তের কাছে আমরা মাথা নত করব। বিষয়টি বিবেচনা করে জামিন মঞ্জুর করা উচিত বলে তিনি আর্জি জানান।
বিশেষ সরকারি আইনজীবী রবিবর্মা কুমার অবশ্য এই বিষয়ে আপত্তি জানান ৷ তিনি বলেন, "প্রজ্বল রেভান্নার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ শুরু হয় যখন তাঁর বাবা বিধায়ক এইচডি রেভানার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে আসে। তিনি একজন সাংসদ ছিলেন ৷ সেই প্রভাব খাটিয়ে তিনি পরিচারিকাকে হুমকি দিয়েছিলেন ৷ নির্যাতিতার স্বামীকে হত্যা করারও হুমকি দেওয়া হয়েছিল ৷ ধর্ষণের অভিযোগ জানালে অশ্লীল ভিডিয়ো প্রকাশের হুমকি দিয়েছিলেন বলে দেরিতে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা।"
একই সঙ্গে তাঁর আরও অভিযোগ, অভিযোগ নথিভুক্ত হওয়ার পর প্রজ্বল দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এমনকী এখনও পর্যন্ত সে তাঁর ফোন তদন্তকারীদের কাছে হস্তান্তর করেননি ৷