নয়াদিল্লি, 21 অক্টোবর: ভারত এবং চিন পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) বরাবর টহল দেওয়ার বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছেন ৷ এনমটাই সোমবার জানিয়েছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনে জিনপিং-এর মুখোমুখি হবেন মোদি ৷ তার আগে লাদাখ সীমান্ত নিয়ে চুক্তি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল ৷ বিদেশ সচিব বলেন, "অবশিষ্ট বেশকিছু সমস্যা সমাধানের জন্য ভারত ও চিন আধিকারিকরা এবং আলোচকরা গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই নিজেদের মধ্যে লাগাতার যোগাযোগ রেখেছিলেন।"
বোঝাই যাচ্ছে যে, চুক্তিটি ডেপসাং এবং ডেমচোক এলাকায় টহল সংক্রান্ত। ব্রিকস সম্মেলনে যোগদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাশিয়ার কাজান সফরের একদিন আগে এই বক্তব্য সামনে এসেছে। অন্যদিকে কোনও সরকারি ঘোষণা না থাকলেও ওয়াবিবহল সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ব্রিকস সম্মেলনের মাঝেই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকও করতে পারেন।
বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি ব্রিকস সম্মেলনের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদির রাশিয়া সফরের আগে বিশেষ সাংবাদিক বৈঠক করেন ৷ সেখানেই তিনি জানান, চিনা আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পরই ভারত-চিন সীমান্ত এলাকার প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল ব্যবস্থার বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। তিনি এও জানিয়েছেন, অবশেষে 2020 সালে পূর্ব লাদাখে চিনা সামরিক বাহিনীর পদক্ষেপের পরে উদ্ভূত সমস্যাগুলির সমাধান হতে চলেছে।
মিসরির কথায়, "আমরা WMCC-এর মাধ্যমে চিনা আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি ৷ সামরিক স্তর-সহ বিভিন্ন স্তরে সামরিক কমান্ডারদের বৈঠকের মাধ্যমে এই আলোচনার ফলে বিভিন্ন স্থানে যে অচলাবস্থা ছিল তার সমাধান হয়েছে। তবে এমন কয়েকটি অবস্থান ছিল যা এখনও সমাধান করা যায়নি ৷” তিনি আরও বলেন, "এখন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে যে আলোচনা হয়েছে তার ফলস্বরূপ ভারত-চিন সীমান্ত এলাকায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর টহল ব্যবস্থার বিষয়ে একটি চুক্তিতে পৌঁছনো গিয়েছে ৷"
যদিও ব্রিকস সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে জিনপিং-এর দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছেন বিদেশ সচিব ৷ তবে সীমান্তে টহল ব্যবস্থার বিষয়ে চুক্তিটি প্রধানমন্ত্রী মোদি এবং চিনা রাষ্ট্রপতির মধ্যে বৈঠকের পথ প্রশস্ত করতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। (পিটিআই)