কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর: কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় নিয়োগের সুপারিশের পর কাউন্সেলিং সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে ৷ কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হওয়ায় স্কুলে চাকরিতে যোগদান আটকে গিয়েছে ৷ সেই মামলার শুনানি আজও হয়নি বলে অভিযোগ ৷ গত 22 মাস ধরে মামলাটি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে পড়ে রয়েছে ৷ যা নিয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের কাছে স্মারকলিপি জমা দিলেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷
কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষার নিয়োগ মামলা নিয়ে প্রধান বিচারপতিকে স্মারকলিপি চাকরিপ্রার্থীদের ৷ (ইটিভি ভারত) অভিযোগ উঠেছে, গত 22 মাস ধরে মামলার কোনও শুনানি করছেন না বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু ৷ উল্লেখ্য, কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষায় 1279টি আসনে নিয়োগ বাকি রয়েছে ৷ ওই চাকরিপ্রার্থীদের প্রতিনিধিদল এ দিন প্রধান বিচারপতিকে স্মারকলিপি দিয়েছেন ৷ তবে, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তাঁরা ৷ কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে সেই স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন তাঁরা ৷
চাকরিপ্রার্থীদের কথায়, 2016 সালের বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে 2017 সালে পরীক্ষা হয় এবং 2018 সালে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছিল ৷ তারপর সুপারিশ করা হয় ৷ দীর্ঘ আন্দোলনের পর চাকরিও পেয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷ তাঁরা অভিযোগ করেন, "পরে একজন অকৃতকার্য প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করায়, সেই নিয়োগের উপর স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট ৷ বর্তমানে মামলাটি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে বিচারাধীন রয়েছে ৷ কিন্তু, তিনি গত 22 মাস ধরে আমাদের কোনও কথাই শুনছেন না ৷ ফলে মামলা বিচারাধীন রয়েছে ৷ কোনও নিষ্পত্তি হচ্ছে না ৷"
দেবাঞ্জন নাথ এসএসসি যুব ছাত্র অধিকার মঞ্চ (কর্মশিক্ষা ও শারীর শিক্ষা)-র তরফে জানান, "এ দিন আমরা প্রধান বিচারপতিকে নিজেদের সমস্যার কথা বলতে গিয়েছিলাম ৷ কিন্তু, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সরাসরি আমাদের কথা বলা সম্ভব হয়নি ৷ আমরা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে আমাদের বিষয়টি জানিয়েছি ৷"