রামপুরহাট, 17 নভেম্বর: ভোটে জিতে ফের সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হতেই 180 ডিগ্রি ঘুরে অবস্থান বদলে ফেললেন শতাব্দী রায় ? বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠক নিয়ে কাজল শেখের পাশেই দাঁড়ালেন তিনি ৷ স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, অনুব্রত মণ্ডল কোনও চেয়ারপার্সন নন ৷ তাঁকে কোর কমিটির সদস্য করা হয়েছে ৷
রামপুরহাট বিধানসভায় রবিবার বুথ সভাপতিদের নিয়ে বৈঠক করেন বীরভূমের সাংসদ ৷ সেখানেই তিনি বলেন, "আমি জানি অনুব্রত মণ্ডল একজন কোর কমিটির সদস্য হয়েছেন ৷ 6 জন ছিল, সেটা বেড়ে সাত করা হল ৷ কোর কমিটির চেয়ারপার্সন হয়েছেন, এমন কোনও খবর আমার কাছে নেই ৷ তেমনটা হলে দল বিষয়টা নিয়ে ঘোষণা করত বা কোর কমিটির পক্ষ থেকে একটি লিখিত চিঠি, নয়তো সাংবাদিক বৈঠক করে জানাত ৷"
বীরভূম জেলা তৃণমূলের কোর কমিটি নিয়ে কাজল শেখকে সমর্থন শতাব্দী রায়ের ৷ (ইটিভি ভারত) তিনি আরও বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায় দল চলে ৷ তাই তাঁদের কথাতেই অনুব্রত মণ্ডলকে বীরভূমের তৃণমূল কোর কমিটিতে আনা হয়েছে ৷ এই সিদ্ধান্ত দলের সবাইকে মেনে চলতে হবে ৷"
উল্লেখ্য, গতকাল একই কথা বলতে শোনা গিয়েছিল বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখকেও ৷ প্রথমে কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী বৈঠক শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে অনুব্রতকে 'চেয়ারপার্সন' ঘোষণা করেন ৷ সেখানে তাঁর পাশে তখন কাজল শেখও উপস্থিত ছিলেন ৷ কিন্তু, সেই ঘোষণার ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তাঁর গলায় শোনা যায় উলটো সুর ৷ আলাদাভাবে সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি দাবি করেন, "অনুব্রত মণ্ডল কোর কমিটির একজন সাধারণ সদস্য মাত্র ৷ তিনি চেয়ারপার্সন নন ৷"
রামপুরহাট বিধানসভার তৃণমূলের বুথ সম্মেলনে সাংসদ শতাব্দী রায় ৷ (নিজস্ব চিত্র) আজ রামপুরহাটে দলীয় কর্মসূচি থেকে কাজল শেখের সেই বক্তব্যকেই সমর্থন করলেন শতাব্দী ৷ উল্লেখ্য, এ বছরের শুরুতে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে নামার আগে তারাপীঠের মন্দিরে দাঁড়িয়ে শতাব্দী রায়ের মুখেই শোনা গিয়েছিল অনুব্রতর প্রশংসা ৷ অনুব্রতর জেলা তৃণমূলের সাংগঠনিক কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন তিনি ৷ কিন্তু, জেলমুক্তির পর অনুব্রত মণ্ডল বীরভূমে ফিরলেও, তাঁর সঙ্গে একবারের জন্য সাক্ষাৎ করতে দেখা যায়নি সাংসদ শতাব্দী রায়কে ৷ বরং, কোর কমিটির আহ্বায়কের ঘোষণাকেই খারিজ করলেন বীরভূমের সাংসদ ৷