কলকাতা, 11 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগ উঠেছে ৷ এই ঘটনার তদন্তে রবিবার দুপুরে আরজি করে গেলেন কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েল ৷ তাঁর সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত নগরপাল(এক) মুরলীধর শর্মা-সহ সিটের সদস্যরা ৷
লালবাজার তরফে জানা গিয়েছে, এ দিন মূলত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য সিটের সদস্যরা সেখান যান ৷ তবে অধিকাংশ ডাক্তার আরজি কর হাসপাতালে উপস্থিত না থাকায় চিকিৎকদের সঙ্গে কথা হয়নি সিটের সদস্যদের ৷ আগামিকাল মৃতের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট নিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলবেন তাঁরা ৷
আরজি করকাণ্ডে সঞ্জয় রায় নামে সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ ৷ শনিবার অভিযুক্তকে 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷ ধৃতকে জেরা করে আপাতত বেশ কিছু তথ্য এসেছে লালবাজারের হাতে ৷ সেই সকল তথ্য যাচাই করতে রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন সিটের সদস্যরা ৷ এছাড়াও গতকাল চিকিসৎকদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়েছিল ৷ সঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল ওইদিন, তা জানার জন্য হাসপাতালে যায় পুলিশ ৷
পাশাপাশি জানা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালের তরফ থেকে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সাসপেন্ড করা হয়েছে দুই নিরাপত্তারক্ষীকে ৷ তাঁদের সঙ্গেও কথা বলতে যান এ দিন সিটের সদস্যরা ৷ কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে কথা হয়নি ৷ সোমবার ফের তাঁদের সঙ্গে কথার বলার চেষ্টা করবেন লালবাজারের আধিকারিকরা ৷ সিটের সদস্যরা এ দিন ঘটনাস্থলের ভিডিয়োগ্রাফি করেন ও ঘুরে দেখেন ৷ আরজি করে ঘটনার তদন্তে আট সদস্যের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠন হয়েছে শুক্রবারই ৷ এর মাথায় রয়েছেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত নগরপাল এবং হোমিসাইড বিভাগের গোয়েন্দারা ৷
উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার পর সরিয়ে দেওয়া হয়েছে হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় বশিষ্ঠকে ৷ তাঁর জায়গায় দায়িত্বে আনা হয়েছে মেডিক্যাল কলেজেরই ডিন বুলবুল মুখোপাধ্যায়কে ৷ আরজি করের এই ঘটনার জন্য প্রতিবাদ বিক্ষোভে নেমেছেন রাজ্যের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও চিকিৎসক সংগঠন ৷ এবার হাসপাতালের জরুরি পরিষেবাও বন্ধ করলেন আরজি করের আবাসিক চিকিৎসকরা ৷ তাঁরা চার দফা দাবি জানিয়ে একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন রবিবার ৷ এর মধ্যে অন্যতম নিহত মহিলা চিকিৎসকের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণ ৷ দাবিগুলি না মানা পর্যন্ত কাজে ফিরবেন না বলে জানিয়েছেন তাঁরা ৷