কলকাতা, 13 অক্টোবর: অনশনের অষ্টম দিনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেন আরও এক জুনিয়র চিকিৎসক অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় ৷ শনিবার রাতে এর পরই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয় তাঁকে ৷
অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায়ের চিকিৎসার জন্য আট সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে ৷ এই বোর্ডে রয়েছেন মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ, ডাঃ সোমনাথ দে, ডাঃ অনিমেষ মাইতি, ডাঃ সিবেশ দাস, ডাঃ সৌগত চট্টপাধ্যায়ের মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা ৷
সূত্রের খবর, শনিবার রাত সাড়ে 10টা নাগাদ অনুষ্টুপের পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। এরপর রাত 11টা নাগাদ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। অনুষ্টুপকে সুপার স্পেশালিটি ব্লকের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করা হয় ৷ তাঁর চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডাঃ সৌমিত্র ঘোষ জানান, অনুষ্টুপের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল ৷ তবে এখনও তিনি সঙ্কটমুক্ত নন। তাই পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে তাঁকে। এর আগে অনিকেত মাহাতো অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন ৷ তারপর উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারি পড়ুয়া অলোক কুমার ভার্মার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকেও হাইব্রিড সিসিইউতে ভর্তি করে করা হয়।
গত 5 অক্টোবর থেকে ধর্মতলায় যে ছ’জন জুনিয়র চিকিৎসক আমরণ অনশন শুরু করেন, অনুষ্টুপ তাঁদেরই একজন ৷ তিনি কলকাতা মেডিক্যালের এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া ৷ শনিবার রাতে তাঁর মূত্রের সঙ্গে রক্ত বের হচ্ছে বলে জানান অনুষ্টুপ। তারপরই তাঁর পেটে যন্ত্রণা শুরু হয় ৷ এছাড়াও, উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অনশনরত ডাক্তারি পড়ুয়া অলোক ভার্মার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ফলে তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের হাইব্রিড সিসিইউতে ভর্তি করে করা হয়।
এখনও ধর্মতলায় অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন স্নিগ্ধা হাজরা, অর্ণব মুখোপাধ্যায়, তনয়া পাঁজা, সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা এবং পুলস্ত্য আচার্য। অনশনের জেরে তাঁদেরও শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। শুক্রবার রাতে তাঁদের সঙ্গে আরও দু’জন জুনিয়ার চিকিৎসক শিশুমঙ্গল হাসপাতালের ইএনটি বিভাগের পিজিটি-র দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া পরিচয় পণ্ডা এবং কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রথম বর্ষের পিজিটি আলোলিকা ঘোড়ুই এই আমরণ অনশনে যোগ দিয়েছেন।