ETV Bharat / state

লোকালয়ে বাঘ আতঙ্ক, রাত জেগে মশাল নিয়ে এলাকা পাহারা - TIGER SCARE AT KULTALI

শীতের রাত বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন দুই ব্যক্তি ৷ তাঁদের দাবি, লোকালয়ে ঘোরাঘুরি করছে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ৷ যা শুনে আতঙ্কিত গ্রামবাসীরা ৷

Tiger scare at kultali
লোকালয়ে বাঘ আতঙ্ক (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 19, 2024, 10:46 AM IST

কুলতলি, 19 ডিসেম্বর: শীতের শুরুতেই সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া লোকালয়ে বাঘ আতঙ্ক ৷ এই ঘটনায় বুধবার রাতে দক্ষিণ 14 পরগনার কুলতলির মধ্যগুড়গুড়িয়া এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না কেউ। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে । এলাকায় পৌঁছে আগুন জ্বালিয়ে লোকালয় থেকে বাঘ তাড়ানোর চেষ্টা করছেন বন দফতরের কর্মীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন কুলতলির মধ্যগুড়গুড়িয়ার দুই বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, শীতের নিশুতি রাতে লোকালয়ে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন। তাঁদের মুখ থেকেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। তবে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ঠিক কোথায় রয়েছে, সেই জায়গাটি এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। খবর পাওয়া মাত্রই বন দফতরের কর্মীরা তড়িঘড়ি ওই এলাকায় পৌঁছন। আগুন জ্বালিয়ে বাঘ তাড়ানোর চেষ্টা করা হয় ৷ বাঘটিকে শেষবার যে জায়গায় দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই দুই ব্যক্তি, সেই জায়গায় নজরদারি চালানো হচ্ছে । এলাকায় বাঘের আনাগোনার বিষয়ে সতর্কতামূলক প্রচারও শুরু হয়েছে ৷

কুলতলিতে বাঘ আতঙ্ক (ইটিভি ভারত)

স্থানীয় দুই বাসিন্দার দাবি খতিয়ে দেখছেন বন দফতরের কর্মীরা। এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা অনিতা দাস বলেন, "গতকাল রাতে বাঘের আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে গোটা গ্রাম। আমরা তড়িঘড়ি বাড়ির দরজা জানালা সমস্ত কিছু বন্ধ করে দিয়ে। বাড়ি থেকে বেরোনোই প্রায় বন্ধ। আমরা আতঙ্কে রয়েছি। যদিও বন দফতরের কর্মীরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ৷ বাঘ কোথায় রয়েছে, তা চিহ্নিত করণের কাজ চালাচ্ছে । শীতের সময় প্রায় আমাদের এলাকায় বাঘ আসে।"

সুন্দরবন লাগোয়া এলাকায় বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়া নতুন কিছু নয়। মাঝে মাঝেই এমন খবর সামনে আসে। তার ফলে আতঙ্কে দিন কাটান সুন্দরবন লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মূলত খাবারের অভাবেই জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসে বাঘ। যাতে কোনওরকম বিপদ না হয়, সেক্ষেত্রে অতিতৎপর বন দফতরের কর্মীরা। ফেন্সিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। আবার যাতে আতঙ্কে বন্যপ্রাণী হত্যার মতো পদক্ষেপ কেউ না করেন, তাই সতর্কতামূলক প্রচারের উপরেও জোর দেওয়া হয়।

কুলতলি, 19 ডিসেম্বর: শীতের শুরুতেই সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া লোকালয়ে বাঘ আতঙ্ক ৷ এই ঘটনায় বুধবার রাতে দক্ষিণ 14 পরগনার কুলতলির মধ্যগুড়গুড়িয়া এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভয়ে বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন না কেউ। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে । এলাকায় পৌঁছে আগুন জ্বালিয়ে লোকালয় থেকে বাঘ তাড়ানোর চেষ্টা করছেন বন দফতরের কর্মীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন কুলতলির মধ্যগুড়গুড়িয়ার দুই বাসিন্দা। তাঁদের দাবি, শীতের নিশুতি রাতে লোকালয়ে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে ঘোরাঘুরি করতে দেখেছেন। তাঁদের মুখ থেকেই খবর ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। খবর দেওয়া হয় বন দফতরে। তবে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার ঠিক কোথায় রয়েছে, সেই জায়গাটি এখনও চিহ্নিত করা যায়নি। খবর পাওয়া মাত্রই বন দফতরের কর্মীরা তড়িঘড়ি ওই এলাকায় পৌঁছন। আগুন জ্বালিয়ে বাঘ তাড়ানোর চেষ্টা করা হয় ৷ বাঘটিকে শেষবার যে জায়গায় দেখা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন ওই দুই ব্যক্তি, সেই জায়গায় নজরদারি চালানো হচ্ছে । এলাকায় বাঘের আনাগোনার বিষয়ে সতর্কতামূলক প্রচারও শুরু হয়েছে ৷

কুলতলিতে বাঘ আতঙ্ক (ইটিভি ভারত)

স্থানীয় দুই বাসিন্দার দাবি খতিয়ে দেখছেন বন দফতরের কর্মীরা। এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা অনিতা দাস বলেন, "গতকাল রাতে বাঘের আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে গোটা গ্রাম। আমরা তড়িঘড়ি বাড়ির দরজা জানালা সমস্ত কিছু বন্ধ করে দিয়ে। বাড়ি থেকে বেরোনোই প্রায় বন্ধ। আমরা আতঙ্কে রয়েছি। যদিও বন দফতরের কর্মীরা ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে ৷ বাঘ কোথায় রয়েছে, তা চিহ্নিত করণের কাজ চালাচ্ছে । শীতের সময় প্রায় আমাদের এলাকায় বাঘ আসে।"

সুন্দরবন লাগোয়া এলাকায় বাঘ লোকালয়ে ঢুকে পড়া নতুন কিছু নয়। মাঝে মাঝেই এমন খবর সামনে আসে। তার ফলে আতঙ্কে দিন কাটান সুন্দরবন লাগোয়া গ্রামের বাসিন্দারা। বিশেষজ্ঞদের দাবি, মূলত খাবারের অভাবেই জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে চলে আসে বাঘ। যাতে কোনওরকম বিপদ না হয়, সেক্ষেত্রে অতিতৎপর বন দফতরের কর্মীরা। ফেন্সিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়। আবার যাতে আতঙ্কে বন্যপ্রাণী হত্যার মতো পদক্ষেপ কেউ না করেন, তাই সতর্কতামূলক প্রচারের উপরেও জোর দেওয়া হয়।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.