কলকাতা 5 ফেব্রুয়ারি: রাজ্যের হাতে থাকা রেশন দুর্নীতির 6টি এফয়াইয়ারে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাইকোর্টের । একইসঙ্গে নিম্ন আদালতের বিচারপ্রক্রিয়ার উপরও স্থগিতাদেশ জারি করেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত । আগামী 5 মার্চ পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ থাকবে । রাজ্যকে 15 দিনের মধ্যে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, এই ইস্যুতে আর কোনও মামলা রাজ্যের কোনও থানায় দায়ের হয়েছে কি না । 5 মার্চ পরিবর্তী শুনানি । আগামী শুনানিতে ছ'টি মামলার কেস ডাইরি হাজির করতে হবে আদালতে ।
উল্লেখ্য রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় তদন্তে রাজ্য পুলিশ 2016 সাল থেকে 2022 সাল পর্যন্ত মোট 6 টি এফয়াইয়ার দায়ের করেছে । কিন্তু সেই এফয়াইয়ারের ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশ তেমন ভাবে তদন্ত করেনি বলেই সম্প্রতি অভিযোগ দায়ের করে ইডি । সেই মামলার শুনানিতেই এদিন বিচারপতি এই নির্দেশ দিয়েছেন । সমস্ত অভিযোগ নিয়ে তদন্ত হয়ে গিয়েছে বলে উল্লেখ করেন রাজ্যের আইনজীবী। কিন্তু বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত বলেন, "রেশন দুর্নীতি তদন্তে প্রয়োজনে নতুন করে তদন্ত হবে। যে তদন্ত গুলি এখনও চলছে সেগুলিতে হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া চার্জশিট দেওয়া যাবে না ।"
ইডির তরফে আইনজীবী বলেন, "2 হাজার কোটি টাকা সীমান্ত দিয়ে দুবাই পাচার হয়েছে। ইতিমধ্যে রাজ্যের শাসক দলের কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ইডি গ্রেফতারও করেছে। গত বছর 11 ডিসেম্বর চিঠি লিখে পুলিশের কাছে কোন মামলার কী অবস্থা সেটা জানতে চাওয়া হয় । আমরা চাইছি সিবিআই নতুন করে তদন্ত করুক।" রাজ্য পালটা জানায়, ওই সমস্ত তদন্তে চূড়ান্ত রিপোর্ট দেওয়া হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় একটি সংস্থা অন্য কোনও সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে বলবে, এটা হয় না ।
কিন্তু বিচারপতি জবাব দেন, "তদন্ত সংস্থা বাছার অধিকার অভিযুক্তর নেই । এজেন্সি নিয়ে রাজ্যের এই যুক্তি খাটে না ।" ইডির তরফে আরও বলা হয়, রাজ্য জানাক কোন কোন মামলা কী অবস্থায় আছে ? রাজ্য জানায়, 5 টি মামলায় চার্জসিট একটায় ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে পুলিশ । রাজ্য হলফনামা দিতে চায় । বিচারপতি জানান, এর আগে বগটুইয়ের ঘটনায় এই কোর্ট যুগ্মভাবে দুই এজেন্সিকে রেখে সিট গঠন করেছিল । ফলে দুই এজেন্সি ও তদন্ত করতেই পারে। তবে রাজ্যের বক্তব্য জানার পর আদালত সিদ্ধান্ত নেবে ।