শ্রীনগর, 20 ডিসেম্বর: চলছে প্রবল তুষারপাত ৷ তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে হিমাঙ্কের অনেক নীচে ৷ বরফে ঢেকেছে গোটা উপত্যকা। বৃহস্পতিবারই শ্রীনগরবাসী মরসুমের শীতলতম রাত কাটিয়েছেন ৷ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে ঠান্ডায় কাঁপছে কাশ্মীর ৷ সেইসঙ্গে কাশ্মীরে শুরু হয়ে গেছে 'চিল্লাই কালান'। বাড়িঘর, গাছপালার উপর বরফের মোটা চাদর। হাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে তাতে আগামী 40 দিন এমন হাড়কাঁপানো ঠান্ডাই থাকবে কাশ্মীরে।
চিল্লাই কালান
প্রচণ্ড শৈত্যপ্রবাহকে কাশ্মীরি ভাষায় 'চিল্লাই কালান' বলে। আগামী 40 দিন এই পরিস্থিতি চলবে। প্রতিবছর ডিসেম্বরের 21 তারিখ থেকে 29 জানুয়ারি পর্যন্ত এই 40 দিনকে কাশ্মীরের স্থানীয়রা চিল্লাই কালান বলে অভিহিত করেন ৷ কাশ্মীরের প্রায় পুরোটাই ঢেকে যায় পুরু বরফে। এই সময়টায় জনজীবন প্রায় স্তব্ধ হয়ে যাওয়ার জোগাড় হয়। প্রত্যেক বছর চিল্লাই কালানের প্রথম দিকে ভারী তুষারপাত হয়ে থাকে। এবারও তার অন্যথা হয়নি ৷ বরং তার আগেই শীত তার দাপট দেখাতে শুরু করেছে। আর এই তুষারপাত দেখতে উপত্যকায় ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা।
আবহবিদরা জানিয়েছেন, শ্রীনগরে এখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস 6.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেটি রেকর্ড ৷ তাপমাত্রার পারদের কারণে এলাকায় জল সরবরাহের লাইন এবং ডাল লেক-সহ জলাশয়গুলিও বরফ হয়ে গিয়েছে। দক্ষিণ কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমে গিয়েছে মাইনাস 8.2 ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৷
পূর্বাভাস ও সতর্কতা-
আগামী বেশকিছু দিন পর্যন্ত মূলত শুষ্ক থাকবে জম্মু ও কাশ্মীরের আবহাওয়া। উপত্যকায় আগামী কয়েকদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। রাস্তাঘাট বরফে ঢেকে যাওয়ায় তা পরিষ্কার করতে প্রশাসন ভূমিকা নিয়েছে ৷ যানাবাহন নিয়ে রাস্তায় বেরলে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে প্রশাসনের তরফে ৷ এদিকে, পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। হোটেল এবং স্থানীয় ব্যবসাগুলিও ব্যাপক উৎসাহিত পর্যটকদের আসা নিয়ে। শ্রীনগরে ভিড় জমাচ্ছেন আরও বেশি পর্যটক।