কলকাতা, 14 এপ্রিল: স্মরণে তপতী বসু ৷ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান হওয়াতেই যাঁর পরিচয় শেষে হয়ে যায় না ৷ তিনি ছিলেন সাংবাদিকদের শিক্ষক ৷ কলকাতা-সহ ভারতের একাধিক প্রথিতযশা সাংবাদিকের গুরুকুল এই তপতী ৷ অধ্য়াপক জীবনে তিনি ছুঁয়ে দেখেছেন বহু মাইলফলক ৷ এর মধ্যে পশ্চিম, উত্তর, উত্তর-পূর্ব এবং পূর্ব ভারতে সাংবাদিকতা এবং গণজ্ঞাপন বিষয়ের উপর প্রথম মহিলা অধ্যাপক তিনিই ৷
এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান হওয়া। পেশার বাইরে গিয়েও এক প্রাণবন্ত মানুষ বলতে যা যা বোঝায় তপতী ছিলেন তাই ৷ পড়ুয়াদের পাশে থাকতেন সবসময় ৷ শিক্ষা শেষে পেশা-প্রবেশের সময়ও কলকাতা বিশ্বিবিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের সাহায্য করতেন 'তপতী ম্যাম'। চেনা-পরিচিতদের ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা সমাধানের স্টেশনও ছিলেন তিনি।
68 বছর বয়সে শনিবার সন্ধ্যায় প্রয়াত হন অধ্যাপক তপতী বসু ৷ ছেলে সাগ্নিক সোশাল মিডিয়ায় মায়ের প্রয়াণের খবর জানান ৷ পাশাপাশি সাগ্নিক জানিয়েছেন, আগামিকাল, সোমবার তাঁর মরদেহ লেকটাউনের বাড়ি থেকে সুকিয়া স্ট্রিটের পুরনো বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে ৷ তারপর দুপুর দেড়টা নাগাদ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের চৌকাঠ পেরোবে নিথর দেহ ৷ তাঁর এভাবে আসা অবশ্য়ই পরিচিতদের কাছে আশাতীত ৷ তাঁকে সকলেই চেনেন এক দাপুটে চরিত্র হিসেবে ৷ যিনি পড়ুয়াদের ত্রুটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেন ৷ আবার এই পড়ুয়াদের সঙ্গে কোনও অন্যায় হলে বুক চিতিয়ে লড়ে যান ৷ তাঁকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানাবেন পড়ুয়ারা ৷
কলেজ স্ট্রিটের তাঁর কর্মস্থল থেকে শুরু হবে শেষযাত্রা ৷ দুপুর দু'টোর সময় নিমতলা শ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য হবে ৷ জীবনের অন্তিম সত্যের কাছে পরাজয় শিকার করে ছাত্রছাত্রী ও পরিচিতদের কাছে শুধুই স্মৃতি হয়ে থেকে যাবেন তপতী ম্যাম ৷ জীবনের ওঠাপড়ায় পরিচিতদের মনে পড়ে যাবে সদা হাস্যময় মুখটা ৷
আরও পড়ুন:
- 'তোমাকে মিস করি', জন্মদিনে প্রয়াত সতীশ কৌশিককে নিয়ে আবেগতাড়িত অনুপম
- ভোট প্রচারে প্রয়াত রশিদ খান! ইনস্টাগ্রামে নির্বাচনী পোস্ট ঘিরে ধোঁয়াশা
- প্রয়াত অভিনেতা পার্থসারথি দেব, আজ দেহ নিয়ে যাওয়া হবে টেকনিশিয়ান্স স্টুডিয়োতে