দুর্গাপুর, 12 মার্চ: বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের বাজি প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ ৷ কিন্তু তাঁর নাম ঘোষণার হওয়ার সঙ্গেই সরব হয়েছে বাম-বিজেপি ৷ আজাদের বিরুদ্ধে দিল্লি ক্রিকেট বোর্ডের কর্তা থাকাকালীন ‘দুর্নীতির কীর্তির’ অভিযোগ তোলা হচ্ছে বাম-বিজেপির তরফে ৷ তিরাশির বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্য অবশ্য অবিচল দুর্নীতির অভিযোগ শুনে ৷ খেলার মাঠে যেভাবে ওভার বাউন্ডারি হাঁকাতেন, মঙ্গলবার অনেকটা সেই ঢঙেই বললেন, ‘‘সিপিএম ও বিজেপি হল মুগ এবং মুসুরের ডাল । যদি এরা মায়ের দুধ খেয়ে থাকে, তাহলে আমার এবং আমার পরিবারের বিরুদ্ধে এক পয়সার দুর্নীতির প্রমাণ দিয়ে দেখাক ।’’
রবিবার ব্রিগেডে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘জনগর্জন’ সভা থেকে তাঁর নাম ঘোষণা করা হয়েছে বর্ধমান-দুর্গাপুরের প্রার্থী হিসেবে ৷ তার 48 ঘণ্টা কাটার আগেই এ দিন প্রচার শুরু করে দিয়েছেন কীর্তি আজাদ ৷ শুরুতেই পুজো দিয়েছেন দুর্গাপুরের প্রাচীন ভিরিঙ্গি কালীমন্দিরে ৷ প্রচারের মাঝে তিনি শুধু দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে বিরোধীদের জবাবই দেননি ৷ বরং নিজের ‘সততার’ স্বপক্ষে যুক্তিও দিয়েছেন ৷ কপিল দেবের সতীর্থ বলেছেন, ‘‘মাননীয় অরুণ জেটলি আজ আর জীবিত নেই । দিল্লি ক্রিকেট বোর্ডের সরকারি কাগজে চার হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমি সরব হয়েছিলাম ।’’ কীর্তি বোঝাতে চেয়েছেন যে তিনি দুর্নীতি করেন না ৷ বরং দুর্নীতি হলে, তা নিয়ে সরব হন ৷
বিরোধীরা তাঁর বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই ‘বহিরাগত প্রার্থী’ এই অভিযোগ তোলায় প্রাক্তন এই ভারতীয় ক্রিকেটার সপাটে স্ট্রেট ড্রাইভের ভঙ্গিমায় বলেছেন, ‘‘খেলোয়ারদের না কোনও জাতি, না কোনও ধর্ম হয় । আমি খেলার সুবাদে বাংলায় বহুবার এসেছি । ইন্টার স্টিল খেলতে এসেছি দুর্গাপুর, বার্নপুরে । রঞ্জি ট্রফি খেলতে এসেছি ইডেনে । আমি যদি বহিরাগত হই, তাহলে নরেন্দ্র মোদী গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন । তিনি কিভাবে বেনারসের প্রার্থী হলেন ?’’