কলকাতা, 18 ডিসেম্বর: নেশা নয়-চাকরি চাই, এই স্লোগানকে সামনে রেখে যুব কংগ্রেসের রাজভবন অভিযান ঘিরে বুধবার ধুন্ধুমার বাঁধল ৷ আটক করা হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার-সহ কংগ্রেসের একাধিক নেতা-কর্মীকে । এই অভিযানের আগে কংগ্রেসের তরফে এক সমাবেশও করা হয় ৷ সেই সমাবেশ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী ৷
আদানি-আম্বানি ও জাতীয় পরিসরে বিজেপি-বিরোধিতার ইস্যুতে তৃণমূলের সমালোচনা করেন তিনি । ‘ইন্ডিয়া’র বাকি শরিকরা বিজেপির বিরুদ্ধে এক হলেও তৃণমূল কেন নীরব, সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি । অধীরের অভিযোগ, "রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তার দল তৃণমূল কংগ্রেস চুরি-দুর্নীতি, একাধিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে জড়িত থাকায় কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে মাথা নত করেছে । যে কারণে আদানি-আম্বানি ইস্যুতে কংগ্রেস সংসদে সরব হলেও তৃণমূল কংগ্রেসের সংসদরা অনুপস্থিত । কেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মানুষকে মিথ্যা স্বপ্ন দেখিয়ে, মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ঠকাচ্ছেন ?’’
অধীর আরও বলেন, "চুরি দুর্নীতিতে জড়িত নিজের ভাই, ভাইপো ও দলের সৈনিকদের বাঁচাতে মানুষের ট্যাক্সের টাকা নষ্ট করে আদালতে দৌড়াচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । অথচ রাজ্যের পাওনা আদায়, বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছেন তিনি ।" কোন স্বার্থে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দ্বিচারিতা করছেন, সেই প্রশ্নও তোলেন অধীর ।
উল্লেখ্য, এদিন রাজভবনের নর্থ গেটের অনেক আগেই পুলিশ কংগ্রেসের মিছিল আটকায় । যুব কংগ্রেস কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা থেকে হাতাহাতি শুরু হয় । এক যুব কংগ্রেস কর্মীকে অসুস্থ অবস্থায় অ্যাম্বুল্যান্স নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে চলে যায় । পরে ধাপে ধাপে কলকাতা পুলিশের তিন চারটি প্রিজন ভ্যান কংগ্রেস নেতাকর্মীদের আটক করে লালবাজারে নিয়ে যায় ।
যা নিয়ে সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা শুভঙ্কর সরকার, আশুতোষ চট্টোপাধ্যায়রা । তাঁদের অভিযোগ, কেন্দ্র-রাজ্য উভয় সরকারের আঁতাতে একদিকে যেমন আরজিকরের সঠিক তদন্ত হচ্ছে না, ঠিক তেমনই আদানি-আম্বানিরা যে চুরি দুর্নীতি করেছে, তারও সঠিক তদন্ত এগোচ্ছে না । সাধারণ গরিব মানুষ নিজেদের রুটি রোজগারের সমস্যায় পড়ছেন ৷ গরিব ঘরের ছেলেরা চাকরি পাচ্ছে না ৷ অথচ একাধিক সরকারি দফতরে শূন্যপদ লাখ লাখ ।