নয়াদিল্লি, 17 ডিসেম্বর: মিগ-21, মিগ-23 এবং মিগ-27-এর মতো যুদ্ধবিমান পর্যায়ক্রমে বাতিল করেছে ভারতীয় বায়ুসেনা। সেই কারণে গত কয়েক বছরে আইএএফ ফাইটার স্কোয়াড্রনের সংখ্যা কমেছে ৷ একটি সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী, যুদ্ধবিমানের সংখ্যা কমার প্রভাব যাতে না পড়ে তা নিশ্চিত করতে বহুমুখী পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। মঙ্গলবার সংসদে পেশ করা রিপোর্টে, প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটি এ কথাই জানিয়েছে।
কমিটি আরও জানিয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ভারতীয় বায়ুসেনায় ঘটে চলা গুপ্তচরবৃত্তির ঘটনা এবং তা রুখতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ও সংসদীয় কমিটিকে বিস্তারিতভাবে অবহিত করেছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক জানিয়েছে, "গত পাঁচ বছরে চারটি মামলা সামনে এসেছে। সমস্ত জড়িত কর্মীদের আইএএফ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে, একটি মামলা সিভিল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে ৷ দেওয়ানি আদালতে তার বিচার ওচলছে ৷"
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, "স্কোয়াড্রনের শক্তি কমার বিষয়টি মন্ত্রক কমিটিকে জানিয়েছে। গত কয়েক বছরে মিগ-21, মিগ-23 এবং মিগ-27 বিমানগুলিকে পর্যায়ক্রমে বাতিল করার জেরে ফাইটার স্কোয়াড্রনের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে ৷ ফাইটার স্কোয়াড্রনের ঘাটতি কমানোর জন্য বহুমুখী পদ্ধতির মাধ্যমে সমাধান করা হচ্ছে ৷” প্যানেলকে স্বদেশী তেজসের যুদ্ধ ক্ষমতা সম্পর্কেও অবহিত করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে ৷
মন্ত্রক প্যানেলকে আরও জানিয়েছে, "আইএএফ তেজস এমকে 1 এসি (এয়ারক্রাফ্ট)-এর দুটি স্কোয়াড্রন পেয়েছে । সেগুলির পরিচালনাও করেছে। বিমানটি অপারেশনাল ভূমিকার জন্য নিযুক্ত করা হচ্ছে । শুধু তাই নয়, সম্প্রতি সমাপ্ত আন্তর্জাতিক মহড়া তরঙ্গ শক্তিতেও সেটি অংশগ্রহণ করেছে ৷" 7 LCA Mk-1A বিমান সংগ্রহের ক্ষেত্রেও অগ্রগতি করেছে যার জন্য AoN দেওয়া হয়েছিল এবং RFP জারি করা হয়েছিল বলে মন্ত্রক জানিয়েছে ৷