কলম্বো, 5 এপ্রিল: শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে কাচাথিভু দ্বীপকে পুনরুদ্ধার করার বিষয়ে ভারতের বিবৃতিগুলির ‘কোনও ভিত্তি নেই’, জানাল শ্রীলঙ্কা ৷ সে দেশের মৎস্যমন্ত্রী ডগলাস দেবানন্দের এই মন্তব্য নিয়ে ফের জল্পনা বেড়েছে ৷ সম্প্রতি, নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন সরকার তামিলনাড়ু কংগ্রেস এবং তাদের জোট সঙ্গী দ্রাবিড় মুনেত্রা কাজাঘামকে (ডিএমকে) এই ইস্যুতে নিশানা করেছিল ৷
1974 সালে শ্রীলঙ্কার কাচাথিভু দ্বীপটি শ্রীলঙ্কার হাতে দেওয়ার ক্ষেত্রে জাতীয় স্বার্থকে উপেক্ষা করার অভিযোগও তুলেছে বিজেপি ৷ কাচাথিভু দ্বীপের চারপাশে মাছ ধরতে চায় এমন মৎস্যজীবীদের অধিকার নিশ্চিত না করার জন্য বিজেপি দু’দলকেই নিশানা করছে। ভারতে লোকসভা ভোটের আবহে কাচাথিভু সম্পর্কে এই ধরনের দাবি ও পালটা দাবিতে ফের চাপানোতর বেড়েছে ৷ তবে তা অস্বাভাবিক কিছু নয় বলেই মনে করছেন দেবানন্দ ৷
বৃহস্পতিবার জাফনায় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, "আমি মনে করি ভারত-শ্রীলঙ্কার মৎস্যজীবীদের জন্য এই জায়গাটি সুরক্ষিত করার জন্য তার স্বার্থে কাজ করছে।" ডগলাস দেবানন্দের কথায়, "ওই এলাকায় কোনও প্রবেশাধিকার নেই ৷ শ্রীলঙ্কার সেই সম্পদপূর্ণ এলাকায় কোনও অধিকার দাবি করা উচিত নয়। 1974 সালের চুক্তি অনুসারে উভয় পক্ষের জেলেরা উভয় দেশের আঞ্চলিক জলসীমায় মাছ ধরতে পারত। পরে এটি পর্যালোচনা করা হয় এবং 1976 সালে সংশোধনও করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী উভয় দেশের মৎস্যজীবীদের প্রতিবেশী জলসীমায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা হয়।" শ্রীলঙ্কার মৎস্যমন্ত্রী জোরের সঙ্গে বলেন, "দাবি করা হয়েছে পশ্চিম তীর নামক একটি স্থান যা কন্যাকুমারীর নীচের দিকে রয়েছে- এটি বিস্তৃত সমুদ্র সম্পদ-সহ একটি অনেক বড় এলাকা ৷ এটি কাচাথিভুর থেকে 80 গুণ বড় ৷ ভারত 1976 সালের পর্যালোচনা চুক্তিতে এটি সুরক্ষিত করেছিল।"