কলকাতা: সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ধোঁয়া ওঠা এক কাপ চা বা কফিতে চুমুক দিয়েই দিন শুরু হয় অনেকের ৷ এরপরই সারা শরীরে আসে প্রাণ । চটপট কাজে নেমে পড়েন ৷ এই চা-কফি মুডের ওষুধ হিসাবেও কাজ করে ৷ ফলে এটি চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে ও মনে মেজাজ ফিরে আসে ৷ কিন্তু কফি-প্রেমীরা কফি খাওয়ার উপযুক্ত সময়টাই জানেন না ৷ হ্যাঁ, কফি খাওয়ারও সঠিক সময় আছে ৷
বিশেষজ্ঞরা জানান, সকালে উঠেই প্রথমে কফি পান করা ভালো নয় ৷ কারণ সকালে ঘুম থেকে ওঠার সময় আমাদের শরীরে কর্টিসলের মাত্রা অনেক বেশি থাকে ৷ ফলে এই সময়ে কফি পান করলে তা কর্টিসল উৎপাদনে প্রভাব ফেলে ৷ কর্টিসল আমাদের উদ্যমী রাখতে সাহায্য় করে । বলা হয়ে থাকে, যদি সকালে কফি দিয়ে আপনার দিন শুরু করেন, তাহলে কর্টিসলের উৎপাদন কম হবে ৷ সারাদিন বেশি করে কফি পান করার মতো অনুভব করবেন ৷
ভালো শারীরিক ও মানসিক কর্মক্ষমতার জন্য ঘুম থেকে ওঠার পর অন্তত 90 মিনিট কফি না খাওয়াই ভালো । সম্ভব হলে ঘুম থেকে ওঠার পর দু'ঘণ্টা কফি না খেয়ে কাটাতে পারলে ভালো হয় ৷ কারণ ঘুম থেকে ওঠার 2 ঘণ্টা পর কফি পান করলে এতে থাকা ক্যাফেইনের কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে সক্রিয় থাকে । তাছাড়া বলা হয় যে এটি বিকেল পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে সাহায্য করে । তবে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ জানান, ব্যায়ামের আগে কফি পান করলে ব্যায়াম আরও ভালো হয় ৷
2013 সালে 'জার্নাল অফ অ্যাপ্লাইড ফিজিওলজি' (Journal of Applied Physiology)-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা সকালে ঘুম থেকে ওঠার 90 মিনিট পরে কফি পান করেন, তাঁদের শারীরিক-মানসিক কর্মক্ষমতা বেশি থাকে, কম ক্লান্তি অনুভব করেন । শিকাগোর ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টিগ্রেটিভ ফিজিওলজির অধ্যাপক ডঃ ডেভিড স্পেন্সার এই গবেষণায় অংশ নিয়েছিলেন ৷
এটি ব্যক্তিভেদে পরিবর্তিত হয়: কয়েকজনের খালি পেটে কফি হজম করার শক্তি নাও থাকতে পারে । অন্যরা আবার কফি ছাড়া কাজ করতেই পারেন না । যদিও কফি প্রতিটি ব্যক্তির উপর আলাদা প্রভাব ফেলে ৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা সকাল 9.30 থেকে 11 টার মধ্যে কফি পান করেন, তাঁদের মানসিক এবং শারীরিকভাবে সক্রিয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে ৷