কলকাতা, 5 নভেম্বর: কথাতেই বলে ধারাবাহিকে অনেক সময় 'গল্পের গরু গাছে ওঠে' ৷ মনোরঞ্জনের জন্য এমন অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে পর্দার অভিনেতা-অভিনেত্রীদের পড়তে হয় তা অনেক সময় অবাস্তব মনে হয় ৷ যার ফলে বিতর্কও তৈরি হয় ৷ এমনটাই হয়েছে ধারাবাহিক 'আনন্দী'র ক্ষেত্রেও ৷ শুরুর পরই আনন্দী অর্থাৎ অন্বেষা হাজরার চরিত্রের বাস্তবতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শুরু হয়েছে বিতর্ক ৷
'আনন্দী' ধারাবাহিকে আনন্দী ঘোষ একজন নার্স। আর গল্পের নায়ক আদিদেব লাহিড়ী পেশায় চিকিৎসক। এই মুহূর্তে দর্শকের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই ধারাবাহিক। আদিদেবের বাড়িতে ঠাকুমার দেখাশোনা করতে আসে আনন্দী।
কি বললেন পরিচালক? (ইটিভি ভারত) যা নিয়ে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাস্তবের সেবিকা গোষ্ঠীতে। প্র
শ্ন উঠেছে, রেজিস্টার্ড নার্সেরা কোনওদিন প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারেন না। প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন কিন্তু প্রাইভেট প্র্যাকটিস বা পার্সোনাল নার্স হয়ে কাজ করতে পারেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক নার্সের মতে, "রেজিস্টার্ড নার্সেরা কারোর বাড়িতে গিয়ে নার্সিং করতে পারেন না। তবে, কেউ যদি স্পেশাল অ্যাটেন্ডেন্ট হন তা হলে তিনি পারেন। আজকাল সিনেমা সিরিয়ালে সব পেশাকেই এমনভাবে দেখানো হচ্ছে যেখানে সেই পেশার সঙ্গে জড়িত সৎ ব্যক্তিদেরকেও অপমান করা হচ্ছে। সুতরাং এই বিষয়ে কথা বলা অমূলক।"
এই বিষয়ে ধারাবাহিকের পরিচালক গোপাল চক্রবর্তী সাফ জানালেন, "আনন্দী রেজিস্টার্ড নার্স নয়। তাঁকে সেভাবে দেখানো হয়নি ৷ সে ট্রেনিং নিয়েছে। সে একটা হেলথ সেন্টারের সঙ্গে যুক্ত। আনন্দী স্পেশাল অ্যাটেনডেন্ট হিসেবেই কাজ করে।" সুতরাং গল্পে এমন কিছুই দেখানো হয়নি যা অবাস্তব এমনই দাবি পরিচালকের ৷
মূলত, ধারাবাহিকের ট্রেলারে দেখানো হয়েছিল আদিদেব লাহিড়ী অর্থাৎ পর্দায় ঋত্বিক ডাক্তার হয়েও কোনও ভাবেই তাঁর ঠাম্মিকে একটি জরুরি ইনজেকশন দিতে পারছেন না। এদিকে এই ইনজেকশন দেওয়া জরুরি ৷ তাই ঋত্বিক ঠিক করে সে নিজে না পারলেও এই কাজের জন্য নার্স রাখবে । রেখেও দেয়। ওদিকে ঠাম্মির তো নার্স নয়, চাই নাতবৌ। আনন্দী নামের এক নার্স রাজি হয় ঠাম্মির সেবা করতে। কারণ তার টাকার দরকার। সেখান থেকেই শুরু গল্পের নানা মোড় ৷
প্রসঙ্গত, এর আগে অন্বেষা-ঋত্বিক মুখোপাধ্যায় জুটিকে দেখা গিয়েছে 'এই পথ যদি না শেষ হয়' ধারাবাহিকে ৷ সেই ধারাবাহিকে জনপ্রিয় হয় তারকা জুটি ৷ এবার তাঁদের যুগলবন্দি 'আনন্দী'-তে ৷