ETV Bharat / bharat

শুভদয়াম ! ইংরেজি নয়, রামোজি রাও’য়ের প্রিয় তেলুগু বলার আহ্বান কিরণের - RAMOJI RAO

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তেলুগু ভাষা ও সঙ্গীতের প্রশংসা করেছেন ৷ সেই ভাষা রক্ষা ও বিকাশের জন্য আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করা উচিত ৷

Margadarsi MD Sailaja Kiron
(বাঁ-দিকে) শনিবার বিজয়ওয়াড়ায় তেলুগু লেখক সম্মেলনে ভাষণ দিচ্ছেন মার্গদর্শী ডিরেক্টর শৈলজা কিরণ (ডান দিকে) রামোজি রাও গারুর আবক্ষ মূর্তি (ইটিভি ভারত)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 14 hours ago

বিজয়ওয়াড়া, 28 ডিসেম্বর: তেলুগু দেশের চতুর্থ সর্বাধিক কথ্য ভাষা ৷ প্রাণের ভাষার প্রতি প্রয়াত রামোজি রাওয়ের ভালোবাসা ছিল আকাশছোয়া ৷ সেই ভাষা রক্ষার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রচেষ্টা করতে হবে । অন্ধ্রপ্রদেশে শনিবার শুরু হওয়া ষষ্ঠ বিশ্ব তেলুগু লেখক সম্মেলনের উদ্বোধনী বলে মার্গদর্শীর ডিরেক্টর শৈলজা কিরণ ৷

এদিন তেলুগু ভাষার মাহাত্ম্য এবং নিজের মাতৃভাষায় কথোপকথনের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন তিনি ৷ কিরণ বলেন, শুধু 'ইংরেজিতে কথা বলাই ভালো' এই মানসিকতা ভুল । তিনি বলেন, “তেলুগু দেশের চতুর্থ সর্বাধিক কথ্য ভাষা এবং বিশ্বের 14তম সর্বাধিক কথ্য ভাষা। কবিতারায়ামের মতো কবিরা এটিকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন ৷ শ্রীকৃষ্ণ দেবরায় তেলুগুকে ভারতের শ্রেষ্ঠ ভাষা হিসেবে প্রশংসা করেছেন । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তেলুগু ভাষা ও সঙ্গীতের প্রশংসা করেছেন ৷"

রামোজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রামোজি রাওকে স্মরণ করে কিরণ জানান, শ্রদ্ধেও রাও তেলুগু ভাষা এবং তেলুগু রাজ্যের (অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা) প্রতি তাঁর ভালোবাসা অনন্য ছিল । তিনি বলেন, “আমরা সকালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতাম এবং সুভোদায়ম (তেলুগু ভাষায় গুড মর্নিং) বলতাম ৷ সবাই বাড়িতে সুভোদয়াম বলত। আমাদের বাড়িতে শিশুরা যাতে তেলুগু ভাষায় কথা বলে, তার জন্য তিনি বিশেষ যত্ন নিতেন । তাঁর স্মরণে এখন থেকে আমরা সবাই বলি শুভদয়াম । আমরা যাকে আমাদের মনে করি তাঁর প্রতি আমরা খুব যত্ন নিই । তেলুগু ভাষা আমাদের সকলের । সেজন্য আমাদের ভাষা রক্ষা ও বিকাশের জন্য আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করা উচিত ৷”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা এবং শৈলজা কিরণ প্রদীপ জ্বালিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন । আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে তেলুগু তাল্লির মূর্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় ৷ মূর্তিটি সমৃদ্ধি, ঐতিহ্য এবং তেলুগু ভাষার গুরুত্বের প্রতীক দেবী হিসাবে চিত্রিত । অনুষ্ঠানে বিধায়ক সুজানা চৌধুরী এবং মণ্ডলী বুদ্ধপ্রসাদ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় সভাপতি আচার্য ইয়ারলাগড্ডা লক্ষ্মী প্রসাদ, ইনাডু অন্ধ্রপ্রদেশের সম্পাদক এম নাগেশ্বর রাও অংশ নিয়েছিলেন ।

কেবিএন কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে বিশ্ব থেকে 1,500 জনেরও বেশি কবি, লেখক এবং ভাষাপ্রেমী মানুষ অংশ নিয়েছে । বিশ্ব তেলুগু লেখক সমিতি, কৃষ্ণা জেলা লেখক সমিতি এবং কেবিএন কলেজ যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে ।

আরও পড়ুন

বিজয়ওয়াড়া, 28 ডিসেম্বর: তেলুগু দেশের চতুর্থ সর্বাধিক কথ্য ভাষা ৷ প্রাণের ভাষার প্রতি প্রয়াত রামোজি রাওয়ের ভালোবাসা ছিল আকাশছোয়া ৷ সেই ভাষা রক্ষার জন্য অবশ্যই প্রয়োজনীয় সমস্ত প্রচেষ্টা করতে হবে । অন্ধ্রপ্রদেশে শনিবার শুরু হওয়া ষষ্ঠ বিশ্ব তেলুগু লেখক সম্মেলনের উদ্বোধনী বলে মার্গদর্শীর ডিরেক্টর শৈলজা কিরণ ৷

এদিন তেলুগু ভাষার মাহাত্ম্য এবং নিজের মাতৃভাষায় কথোপকথনের গুরুত্ব সম্পর্কে বলেন তিনি ৷ কিরণ বলেন, শুধু 'ইংরেজিতে কথা বলাই ভালো' এই মানসিকতা ভুল । তিনি বলেন, “তেলুগু দেশের চতুর্থ সর্বাধিক কথ্য ভাষা এবং বিশ্বের 14তম সর্বাধিক কথ্য ভাষা। কবিতারায়ামের মতো কবিরা এটিকে জনপ্রিয় করে তুলেছেন ৷ শ্রীকৃষ্ণ দেবরায় তেলুগুকে ভারতের শ্রেষ্ঠ ভাষা হিসেবে প্রশংসা করেছেন । রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও তেলুগু ভাষা ও সঙ্গীতের প্রশংসা করেছেন ৷"

রামোজি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রামোজি রাওকে স্মরণ করে কিরণ জানান, শ্রদ্ধেও রাও তেলুগু ভাষা এবং তেলুগু রাজ্যের (অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানা) প্রতি তাঁর ভালোবাসা অনন্য ছিল । তিনি বলেন, “আমরা সকালে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতাম এবং সুভোদায়ম (তেলুগু ভাষায় গুড মর্নিং) বলতাম ৷ সবাই বাড়িতে সুভোদয়াম বলত। আমাদের বাড়িতে শিশুরা যাতে তেলুগু ভাষায় কথা বলে, তার জন্য তিনি বিশেষ যত্ন নিতেন । তাঁর স্মরণে এখন থেকে আমরা সবাই বলি শুভদয়াম । আমরা যাকে আমাদের মনে করি তাঁর প্রতি আমরা খুব যত্ন নিই । তেলুগু ভাষা আমাদের সকলের । সেজন্য আমাদের ভাষা রক্ষা ও বিকাশের জন্য আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করা উচিত ৷”

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান

ভারতের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা এবং শৈলজা কিরণ প্রদীপ জ্বালিয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন । আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে তেলুগু তাল্লির মূর্তির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয় ৷ মূর্তিটি সমৃদ্ধি, ঐতিহ্য এবং তেলুগু ভাষার গুরুত্বের প্রতীক দেবী হিসাবে চিত্রিত । অনুষ্ঠানে বিধায়ক সুজানা চৌধুরী এবং মণ্ডলী বুদ্ধপ্রসাদ, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের জাতীয় সভাপতি আচার্য ইয়ারলাগড্ডা লক্ষ্মী প্রসাদ, ইনাডু অন্ধ্রপ্রদেশের সম্পাদক এম নাগেশ্বর রাও অংশ নিয়েছিলেন ।

কেবিএন কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে বিশ্ব থেকে 1,500 জনেরও বেশি কবি, লেখক এবং ভাষাপ্রেমী মানুষ অংশ নিয়েছে । বিশ্ব তেলুগু লেখক সমিতি, কৃষ্ণা জেলা লেখক সমিতি এবং কেবিএন কলেজ যৌথভাবে এই সম্মেলনের আয়োজন করেছে ।

আরও পড়ুন

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.