মস্কো, 28 ডিসেম্বর: বড়দিনে কাজাখস্তানে বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে 38 জনের ৷ আহত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছেন আরও 28 জন ৷ দুর্ঘটনার তিনদিন পর মুখ খুললেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ৷ আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের কাছে তিনি শনিবার ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন ৷ তবে এই ঘটনায় রাশিয়ার ভূমিকা নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট যেমন কোনও মন্তব্য করেননি, তেমনই দুর্ঘটনার দায়স্বীকারও করেননি ৷ আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভে কাছে তিনি শুধুই ক্ষমা চেয়েছেন ৷
শনিবার ক্রেমলিনের তরফে বিবৃতি দিয়ে কাজাখস্তানে বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে পুতিন জানান, সেদিনের মর্মান্তিক ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ৷ একইসঙ্গে দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি ৷ আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন পুতিন ৷
বড়দিনে পুরো বিশ্ব যখন মাতোয়ারা, তখনই কাজাখস্তানের আকাতাউয়ে ভেঙে পড়েছিল আজারবাইজানের এক যাত্রীবাহী বিমান। আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ান চেচনিয়ার আঞ্চলিক রাজধানী গ্রোজনির দিকে উড়েছিল বিমানটি ৷ আকাশ থেকে আজারবাইজানের বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাটিতে ভেঙে পড়ার ভিডিয়ো দেখে আঁতকে উঠেছিল পুরো বিশ্ব। ঘটনায় প্রাণ যায় অন্তত 38 জনের ৷ আহত হন 28 জন ৷ আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ সেদিন রাশিয়ায় একটি সম্মেলনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন ৷ দুর্ঘটনার পরই তিনি ফিরে আসেন ৷
সেদিন প্রাথমিক অনুসন্ধানে যে তথ্য জানা গিয়েছিল, তা হল-বিমানটি শুরুতেই স্বাভাবিক রুট থেকে সরে যায় ৷ ক্যাসপিয়ান সাগর অতিক্রমও করে বিমানটি ৷ তারপর আকতাউয়ের আকাশে বেশ কিছুক্ষণ বিমানটি চক্কর কাটে ৷ পরবর্তীতে ভেঙে পড়ে ৷ 25 ডিসেম্বরের ঘটনার পর আজারবাইজান এয়ারলাইন্সও এবিষয়ে বিবৃতি জারি করে ৷ তাদের দাবি, দুর্ঘটনার নেপথ্যে 'বহিরাগত বা প্রযুক্তিগত হস্তক্ষেপ' থাকতে পারে। এদিকে, বিমান দুর্ঘটনায় আজ কেন ক্ষমা চাইলেন পুতিন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কি রাশিয়ার মিসাইল ভুল করে সেদিন আজারবাইজারের যাত্রীবাহী বিমানকে ইউক্রেনের ভেবে আঘাত হেনেছিল? পাশাপাশি কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল, তাও খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।