হায়দরাবাদ, 5 মে: অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রর মুকুটে নতুন পালক ! জাতীয় মানবাধিকার কাউন্সিলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পেলেন শ্রীলেখা মিত্র ৷ সোশাল মিডিয়ায় তার 'নিয়োগপত্র' শেয়ার করেছেন তিনি ৷ বড় দায়িত্ব! কীভাবে নেবেন পদক্ষেপ, কেমন অনুভূতি, শেয়ার করলেন ইটিভি ভারতের সঙ্গে ৷ পাশাপাশি, এই গুরুদায়িত্ব পাওয়ার নেপথ্যে বিজেপি যোগের জল্পনা নিয়েও সোজা সাপটা শ্রীলেখা ৷
শ্রীলেখা বলেন, "কার্ডটা আসলে বড় কিছু নয় ৷ মানুষ ওই অথরিটিটা মানে ৷ অনেকে এই শক্তির অপব্যবহার করেন ৷ আমার ক্ষেত্রে কোনও পলিটিক্যাল এজেন্ডা নেই ৷ ছোটবেলা থেকেই বড় হওয়া বামপন্থী ঘরানায় ৷ বাবা ছিলেন পার্টির সদস্য ৷ সেই ঘরানায় ছিল সমাজ শিক্ষাও ৷ যেটা এখন নেই ৷ সেই কারণেই এখন আরও বেশি সংকটে মানবাধিকার ৷ এমনই শ্রীলেখা মিত্র হয়ে যেটুকু করতে পেরেছি, এখন আরও কিছুটা পারব ৷ এই কার্ডের মধ্য দিয়ে একটা রাজনৈতিক ছত্রছায়া পাওয়ার সম্ভাবনা খুঁজবেন অনেকেই ৷ যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে এটি, অনেকে বলতে পারেন, বিজেপির থেকে পেলাম ৷ তাঁদের বলব যাঁরা কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি করেন, তাঁরা কী সকলেই বিজেপির সমর্থক? তা তো নয় ৷ মূর্খ লোকজন এই ধরনের কথা বলবেন ৷ ভালো কিছু একটা হলেও সেটা নিয়ে লোকে প্রশ্ন তুলবে ৷ আসলে আমার কাজ করার জন্য এই কার্ডটার দরকার ছিল না ৷ যাঁরা অন্যায় করবে, কার্ডটাকে তাঁরা ভয় পায় ৷"
এই রাজ্যে মানবাধিকার লঙঘনের নানা ঘটনা সম্প্রতি এসেছে প্রকাশ্যে ৷ এই প্রেক্ষীতে তাঁর দায়িত্ব কতটা? প্রশ্নের জবাবে জাতীয় মানবাধিকার কাউন্সিলের মুখপাত্র বলেন, "সেই বুদ্ধিজীবীরা এখন কোথায়, যাঁরা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সাদা পাঞ্জাবিতে রক্তের দাগ দেখেছিলেন? এর জন্য এই রাজ্যের মানুষ অনেকটা দায়ী ৷ তাঁরাই তো ভোট দিয়ে এই সরকারকে এনেছেন ৷ যদিও ন্যায্যভাবে ভোট কতটা হয়, সেই বিষয়ে আমার সন্দেহ আছে ৷ তাই এই দায়িত্ব পাওয়ার আগে থেকেই আমি এই বিষয়ে সচেতন ও সরব ছিলাম ৷"
দায়িত্ব পাওয়ার পর কোন কোন বিষয়গুলিতে নজর দেবেন? উত্তরে শ্রীলেখা বলেন, "কী কী করণীয়, সেটা এখনই বলতে পারব না ৷ সবে কার্ডটা পেয়েছি ৷ তবে আমি আগে থেকেই এই সংক্রান্ত নানা বিষয়ে কাজ করে এসেছি ৷ যেমন, আমি যে আবাসনে থাকি গরমকালে, লকডাউনে জারে করে লেবু-চিনি জল করে পাঠিয়ে দিতাম নীচে যাঁরা সিকিউরিটি গার্ডের কাজ করেন তাঁদের জন্য় ৷ সোসাইটির লোকজন বলেছিলেন, যতবার আবাসনে কুকুর ঢুকবে, সিকিউরিটিদের মাইনে থেকে 500 টাকা কেটে নেওয়া হবে ৷ এই সিকিউরিটিরা মনে করতেন, আমার কাছে এসে বললে হয়তো সমস্যার সমাধান হবে ৷ আমি তাঁদের পাশে দাঁড়াই ৷ সালটা 2021 ৷ পশু বা মানুষের জন্য আমি অনেক আগে থেকেই কাজ করছি ৷"