কলকাতা, 7 মার্চ: হৃদরোগ সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী। হাসপাতাল সূত্রে খবর, বুকে এঞ্জিওপ্লাস্টি হয়েছে তাঁর। সংগীতশিল্পীর শারীরিক অবস্থার উপর নজর রেখে অস্ত্রোপচার করা হতে পারে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর ৷ কিন্তু তা কবে হবে তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি ৷ ইতিমধ্যেই জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পীর চিকিৎসার জন্য একটি মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, আগের থেকে একটু ভালো আছেন শিল্পী ৷ এই বিষয়ে পরিবারের তরফে এখনও কোনও বিবৃতি প্রকাশ করা হয়নি ৷
একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমকে পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর মেয়ে শিল্পী কৌশিকী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে চিন্তার কোনও কারণ নেই ৷ বর্তমানে হাসপাতালেই ভরতি রয়েছেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী ৷ রুটিন চেকআপের জন্য তাঁকে ভরতি করা হয়েছে ৷ পাশাপাশি, তিনি অনুরোধ করেছেন, বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে যাতে কোনও ভুল খবর না ছড়ায় ৷ প্রথিতযশা ভারতীয় হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় গায়ক, সুরকার, গীতিকার ও সংগীতগুরু হিসাবে পরিচিত পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী ৷ ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের অন্যতম প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব হিসেবে তিনি পরিচিত জনতার দরবারে ৷ এখনও পর্যন্ত একাধিক গানের অ্যালবাম প্রকাশিত হয়েছে সংগীত শিল্পীর ৷ ঠুমরী, দাদরা, ভজন, শ্যামাসংগীতের পাশাপাশি রবি ঠাকুর ও নজরুল গীতি পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কণ্ঠে মোহিত করেছে আপামর বিশ্ববাসীকে ৷
কলকাতার রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। 1978 সালে প্রথম পণ্ডিত হিসেবে আইটিসি সংগীত গবেষণা অ্যাকাডেমিতে যোগদান করেন তিনি। বাবা অজিত চক্রবর্তীর কাছেই সংগীতে হাতেখড়ি তাঁর। এরপর তিনি পান্নালাল সামন্ত, কানাইদাস বৈরাগী এবং জ্ঞান প্রকাশ ঘোষের কাছে গানের তালিম নেন তিনি। বিভিন্ন ভাষায় ঠুমরি, টপ্পা, ভজন, কীর্তন, ছায়াছবির গান এবং আধুনিক গান পরিবেশনের মাধ্যমে মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। সঙ্গীত জগতে অবদানের জন্য 2011 সালে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হন ৷ এরপর 1999-2000 সালে দিল্লিতে সংগীত নাটক আকাদেমী পুরস্কার পান ৷ 1989 সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি 'ছন্দনীড়'-এর জন্য শ্রেষ্ঠ পুরুষ কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার পান ৷ 2012 সালে মহাসঙ্গীত সম্মান ও বঙ্গভূষণ সম্মান লাভ করেন ৷