'بی جے پی کے رکن پارلیمان نے ممتا کو ملک کاغدار بتایا' - وزیراعلیٰ اور ترنمول کانگریس کی سربراہ ممتا بنرجی
شہریت ترمیمی ایکٹ کے خلاف ممتا بنرجی کے احتجاج اور تحریک پر سخت تنقید کرتے ہوئے بنگال بی جے پی کے صدر دلیپ گھوش نے کہاکہ ممتا بنرجی ایک غدار کے طور پر ہورہا ہے۔
شہریت ترمیمی ایکٹ کے خلاف تحریک کا دائرہ ملک بھر میں پھیل گیاہے۔ مغربی بنگال کے بانکوڑ ہ ضلع کے دورے پر پہنچے بی جے پی کے ریاستی صدر اور رکن پارلیمان دلیپ گھوش نے کہا کہ وزیراعلیٰ اور ترنمول کانگریس کی سربراہ ممتا بنرجی ملک کے آئین و دستور کے ساتھ غداری کررہی ہیں ۔ اس لیے انہیں وزیر اعلیٰ بننے کا حق نہیں ہے۔
انہوں نے کہاکہ ممتا بنرجی ملک کے قان، آئین اور پارلیمنٹ کے وقار کو پامال کررہی ہیں اس سے ثابت ہوتا ہے کہ ممتا بنرجی ملک کی سالمیت کے خلاف ہیں اور وہ بنگال کو ملک کا حصہ نہیں سمجھتی ہے۔وہ اپنے آپ کو بنگال کا وزیرا عظم سمجھتی ہیں۔
گھوش نے کہا کہ شہریت ترمیمی ایکٹ کے خلاف احتجاج کرنے والے پاکستان کے بیانیہ کی حمایت کررہے ہیں اور یہ لوگ ملک مخالف ہیں۔
ریاستی بھارتیہ جنتاپارٹی کے صدر نے اس سے پہلے بھی ترنمول کانگریس کی سربراہ ممتابنرجی کے خلاف زہراگلا ہے۔
بی جے پی کے رکن پارلیمان دلیپ گھوش نے گزشتہ روز شہریت ترمیمی ایکٹ کے خلاف احتجاج کرنے والوں کو لنگی دہشت گردقراردیا ہے۔ انہوں نے کہاتھاکہ مغربی بنگال میں لنگی پہننے والے لوگ دہشت گردی پر اتر آئے ہیں۔
دہشت گرد ذہنیت کے لوگوں کے سامنے ممتابنرجی کی قیادت والی ریاستی حکومت بے بس ہوگئی جس کی وجہ سے ریلوے سمیت دیگر سرکاری املاک کو نقصان پہنچاجارہاہے۔
واضح رہے کہ پارلیمنٹ کے دونوں ایوانوں میں شہریت ترمیمی ایکٹ منظور ہونے کےبعد ملک کی دیگر ریاستوں کی طرح مغربی بنگال میں احتجاج کاسلسلہ جاری ہے۔
ریاست کے مختلف اضلاع میں احتجاج کے دوران لوگوں نے ریلوے سمیت دیگر سرکاری املاک کو نقصان پہنچانے کی کوشش کی ہے۔
مسلسل احتجاج کے سبب مشرقی ریلوے نے ہوڑہ اور سیالدہ سے روانہ ہونےو الی متعدد ٹرینوں کو معطل کرنے کا اعلان کیا ہے۔مسافروں کو سیالدہ اور ہوڑہ اسٹیشن پرقیام کرنا پڑرہاہے۔
Body:গতকালই আসানসোল মন্ডলের বিজেপি সভাপতিকে চিঠি দিয়ে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনার জানিয়েছিলেন বিজেপির মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না ।এদিন তাই ঊষাগ্রাম অঞ্চলে ব্যারিকেড করে পুলিশ। কিন্তু বিজেপি আলাদা কৌশল অবলম্বন করে। আসানসোলের একেবারে শুরুতে কালিপাহাড়ি মোড়ে বিজেপি নেতা কর্মীরা জমায়েত হয়। সেখানে আসেন বাবুল সুপ্রিয়, দিলীপ ঘোষ। বাবুল সুপ্রিয় যদিও সেখান ফিরে যান ম কিন্তু মিছিলে অংশ নেন দিলীপ ঘোষ। এরপর কালিপাহাড়ি মোড় থেকে মিছিল শুরু হয়। ঊষাগ্রাম পর্যন্ত আসে মিছিল এবং যেখানে পুলিশের ব্যারিকেড করা ছিল ঠিক সেখানেই মিছিলকে থামিয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি কর্মীরা বসে পড়েন রাস্তায়। দিলীপ ঘোষ বক্তব্য দেন। গোটা কর্মসূচি সফল হয়। পুলিশ ব্যারিকেডের ওপারে দাঁড়িয়ে থাকে।
এদিন দিলীপ ঘোষ তাঁর বক্তব্যে বলেন প্রায় 70 লক্ষ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে। যাদের ভোটে মুখ্যমন্ত্রী ভোটে জিতেছেন। তিনি এ রাজ্যে NRC বা নাগরিক সংশোধনী বিল আনতে দিতে চাইছেন না। তবে অমিত শাহ জোর করেই এরাজ্যে নাগরিক সংশোধনী আইন এবং এনআরসি নিয়ে আসবে। বাংলাদেশি উগ্রপন্থীরা এ রাজ্যে রয়েছে তাদের বরদাস্ত করা হবে না।। পশ্চিমবঙ্গের যেখানে অশান্তি হচ্ছে সেখানেই ওই বাংলাদেশীয় উগ্রপন্থীদের যোগসূত্র পাওয়া যাচ্ছে। দিদি স্বপ্ন দেখছেন প্রধানমন্ত্রী হওয়ার। তিনি তো ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। তাই তিনি পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের সঙ্গে জুড়ে দিয়ে সেখানকার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু আর দেড় বছর আছে হাতে। দিদি সম্পূর্ণরূপে মুছে সাফ হয়ে যাবে।
Conclusion: