ETV Bharat / bharat

'ఉరిమి' ఖడ్గ విద్యలో కేరళ యువకుడి ప్రపంచ రికార్డ్​ - urimi sword art

భారత యుద్ధ కళను ప్రదర్శించి ప్రపంచ రికార్డు కైవసం చేసుకున్నాడు కేరళ యువకుడు. ఆగకుండా 5 గంటల 4 నిమిషాల పాటు 'ఉరిమి' ఖడ్గ విద్యను ప్రదర్శించి సత్తా చాటాడు.

Aromal Ramachandran earned acclamation for brandish urumi for five hours and four minutes in kerala
'ఉరిమి' ఖడ్గ విద్యలో కేరళ యువకుడి ప్రపంచ రికార్డ్​
author img

By

Published : Jan 19, 2020, 6:13 PM IST

భారతదేశం ఖడ్గ విద్యలు.. యుద్ధ విన్యాసాలు చేసే యోధులకు నెలవు. అయితే, ప్రస్తుత ఆధునిక ప్రపంచంలో అలాంటి వారు కనిపించటం చాలా అరుదు. కేరళకు చెందిన 22 ఏళ్ల అరోమల్ రామచంద్రన్.. ఖడ్గ విద్యలో అద్భుత ప్రదర్శ చేస్తున్నాడు. అరుదైన 'ఉరిమి' ఖడ్గ విద్యను అవలీలగా 5 గంటలకుపైగా ప్రదర్శించి ప్రపంచ రికార్డు సృష్టించాడు.

'ఉరిమి' ఖడ్గ విద్యలో కేరళ యువకుడి ప్రపంచ రికార్డ్​

ఐదు గంటలకుపైగా..

కేరళ కన్నూరుకు చెందిన అరోమల్​.. గతేడాది నవంబర్​11న చేసిన ఖడ్గ ప్రదర్శనకు.. 'హైరేంజ్​ బుక్​ ఆఫ్​ వరల్డ్​ రికార్డ్స్'లో స్థానం దక్కింది. అత్యంత పదునైన 'ఉరిమి' ఖడ్గాన్ని చేత్తో తిప్పుతూ.. ఉదయం 7 గంటల నుంచి మధ్యాహ్నం 12:15 నిమిషాల వరకు ప్రదర్శన చేశాడు అరోమల్​. 5 గంటల 4 నిమిషాలు ఆగకుండా ప్రదర్శించాలంటే ఎంతో నేర్పు అవసరం.

అరోమల్​కు ప్రంపంచ రికార్డు ఊరికే వచ్చిపడలేదు. తన​ విజయం వెనుక మూడేళ్ల శ్రమ దాగి ఉంది. కడతనాడ్​ కేపీసీజీఎమ్​ కెలరీ సంఘంలో మూడేళ్లు కఠోర సాధన చేసి ప్రావీణ్యం సాధించాడు.

చిన్న నాటి నుంచే..

అరోమల్​కు​ బాల్యం నుంచే కలరీపయట్టు(యుద్ధ కళ) అంటే మహా ఇష్టం. రెండేళ్ల వయసులోనే తండ్రి రామచంద్రన్​ గురుక్కల్​(శిక్షణా కేంద్రం)లో సాధన ప్రారంభించాడు. తల్లి శైలజ కేరళలోనే తొలి మహిళా కలరీ గురుక్కల్​ను స్థాపించి నారీ శక్తికి మరింత ప్రోత్సాహాన్నిస్తోంది.

రాష్ట్ర, జాతీయ స్థాయిలో..

ఎన్నో ​రాష్ట్ర, జాతీయ స్థాయి కలరీ పోటీల్లో విజయకేతనం ఎగురవేసి యుద్ధ కళలపై తనకున్న మక్కువను చాటుకున్నాడు అరోమల్. డిగ్రీ చదువుతున్నప్పుడు కలరీ యునివర్సిటీ ప్రథమ స్థానం దక్కించుకుని సత్తా చాటాడు. దిల్లీ, పంజాబ్​లలో.. మూడు వందలకు పైగా ఫుట్​బాల్​ ఆటగాళ్లకూ శిక్షణ ఇచ్చాడు.

అందుకే.. తానెంతో ఇష్టపడే అరుదైన యుద్ధ కళను అంతరించిపోనీయకుండా తనవంతు కృషి చేస్తున్నాడు అరోమల్​.. అలెప్పీలో సొంతంగా ఓ గురుక్కల్​ను స్థాపించి 150కి పైగా విద్యార్థులకు కలరీపయట్టు పాఠాలు నేర్పుతున్నాడు.

ఇదీ చదవండి:పోలీసులను పరుగెత్తించి కొట్టిన గ్రామస్థులు.. ఎందుకో తెలుసా?

భారతదేశం ఖడ్గ విద్యలు.. యుద్ధ విన్యాసాలు చేసే యోధులకు నెలవు. అయితే, ప్రస్తుత ఆధునిక ప్రపంచంలో అలాంటి వారు కనిపించటం చాలా అరుదు. కేరళకు చెందిన 22 ఏళ్ల అరోమల్ రామచంద్రన్.. ఖడ్గ విద్యలో అద్భుత ప్రదర్శ చేస్తున్నాడు. అరుదైన 'ఉరిమి' ఖడ్గ విద్యను అవలీలగా 5 గంటలకుపైగా ప్రదర్శించి ప్రపంచ రికార్డు సృష్టించాడు.

'ఉరిమి' ఖడ్గ విద్యలో కేరళ యువకుడి ప్రపంచ రికార్డ్​

ఐదు గంటలకుపైగా..

కేరళ కన్నూరుకు చెందిన అరోమల్​.. గతేడాది నవంబర్​11న చేసిన ఖడ్గ ప్రదర్శనకు.. 'హైరేంజ్​ బుక్​ ఆఫ్​ వరల్డ్​ రికార్డ్స్'లో స్థానం దక్కింది. అత్యంత పదునైన 'ఉరిమి' ఖడ్గాన్ని చేత్తో తిప్పుతూ.. ఉదయం 7 గంటల నుంచి మధ్యాహ్నం 12:15 నిమిషాల వరకు ప్రదర్శన చేశాడు అరోమల్​. 5 గంటల 4 నిమిషాలు ఆగకుండా ప్రదర్శించాలంటే ఎంతో నేర్పు అవసరం.

అరోమల్​కు ప్రంపంచ రికార్డు ఊరికే వచ్చిపడలేదు. తన​ విజయం వెనుక మూడేళ్ల శ్రమ దాగి ఉంది. కడతనాడ్​ కేపీసీజీఎమ్​ కెలరీ సంఘంలో మూడేళ్లు కఠోర సాధన చేసి ప్రావీణ్యం సాధించాడు.

చిన్న నాటి నుంచే..

అరోమల్​కు​ బాల్యం నుంచే కలరీపయట్టు(యుద్ధ కళ) అంటే మహా ఇష్టం. రెండేళ్ల వయసులోనే తండ్రి రామచంద్రన్​ గురుక్కల్​(శిక్షణా కేంద్రం)లో సాధన ప్రారంభించాడు. తల్లి శైలజ కేరళలోనే తొలి మహిళా కలరీ గురుక్కల్​ను స్థాపించి నారీ శక్తికి మరింత ప్రోత్సాహాన్నిస్తోంది.

రాష్ట్ర, జాతీయ స్థాయిలో..

ఎన్నో ​రాష్ట్ర, జాతీయ స్థాయి కలరీ పోటీల్లో విజయకేతనం ఎగురవేసి యుద్ధ కళలపై తనకున్న మక్కువను చాటుకున్నాడు అరోమల్. డిగ్రీ చదువుతున్నప్పుడు కలరీ యునివర్సిటీ ప్రథమ స్థానం దక్కించుకుని సత్తా చాటాడు. దిల్లీ, పంజాబ్​లలో.. మూడు వందలకు పైగా ఫుట్​బాల్​ ఆటగాళ్లకూ శిక్షణ ఇచ్చాడు.

అందుకే.. తానెంతో ఇష్టపడే అరుదైన యుద్ధ కళను అంతరించిపోనీయకుండా తనవంతు కృషి చేస్తున్నాడు అరోమల్​.. అలెప్పీలో సొంతంగా ఓ గురుక్కల్​ను స్థాపించి 150కి పైగా విద్యార్థులకు కలరీపయట్టు పాఠాలు నేర్పుతున్నాడు.

ఇదీ చదవండి:పోలీసులను పరుగెత్తించి కొట్టిన గ్రామస్థులు.. ఎందుకో తెలుసా?

Intro:অবশেষে গ্রেপ্তার শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার, দিনভর উত্তাল হাড়োয়া

হাড়োয়াঃ দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় শনিবার দিনভর উত্তাল হাড়োয়া। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় পথ অবরোধ হয়। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উত্তেজনা থাকায় মোহনপুর-বাছড়া গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধের পর। গত কয়েকদিন ধরে হাড়োয়ার মোহনপুর বাছড়া এমসিএইচ হাই স্কুলে রাজ্য সরকারের ছাত্র-যুব উৎসব পালিত হচ্ছিল। শুক্রবার ছিল শেষ দিন। ওই দিন সেখানে হাড়োয়া থানার গোপালপুর ক্যাম্পের আধিকারিক এএসআই জাহাঙ্গির হোসেন গাজি কর্তব্যরত ছিলেন। সন্ধের পর স্থানীয় মল্লিকঘেরি কুঁজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রী ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। তারা জাহাঙ্গিরের কাছে সিভিক পুলিশ নিয়োগের ব্যাপারে জানতে গিয়েছিল। অভিযোগ, তখন জাহাঙ্গির তাদের কুপ্রস্তাব দেন। স্কুলের দোতলার একটি ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওই পুলিশকর্মী তাদের শ্নীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ। সেই কথা ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে বাসিন্দারা ঘিরে ফেলেন। তাঁকে ধরে নিয়ে স্কুলের অফিস ঘরে আটকে রাখেন। তারই মধ্যে একদল গ্রামবাসী স্কুলঘরে ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। মুহূর্তে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাড়োয়া ও মিনাখাঁ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পৌঁছয় কমব্যাট ফোর্সও। অভিযোগ, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত জাহাঙ্গিরকে উদ্ধার করে। অভিযোগ, পুলিশ শূন্যে গুলিও চালিয়েছিল। যদিও বসিরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকার করা হয়নি।
শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা ওই দুই ছাত্রীর মধ্যে এক ছাত্রীর পরিবার শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আক্রান্ত এএসআই জাহাঙ্গির হাসপাতালে বসিরহাট জেলা চিকিৎসাধীন। শনিবার সকালে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবিতে ওই স্কুলের দেওয়ালে পোস্টার পড়ে। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের শাস্তির দাবিতে হাড়োয়া-মালঞ্চ সড়কে দফায় দফায় পথ অবরোধ চলে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে মারধরের ঘটনায় পাঁচ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাতে বাসিন্দাদের আন্দোলনে ঘৃতাহুতি পড়ে। বাসিন্দারা ফের আন্দোলন শুরু করেন। ওই সময় বাছড়া স্কুলের সামনে পুলিশের আরও একটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে মিনাখাঁর এসডিপিও সুব্রত দেব ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ অফিসার জাহাঙ্গিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Body:অবশেষে গ্রেপ্তার শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার, দিনভর উত্তাল হাড়োয়া

হাড়োয়াঃ দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় শনিবার দিনভর উত্তাল হাড়োয়া। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় পথ অবরোধ হয়। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উত্তেজনা থাকায় মোহনপুর-বাছড়া গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধের পর। গত কয়েকদিন ধরে হাড়োয়ার মোহনপুর বাছড়া এমসিএইচ হাই স্কুলে রাজ্য সরকারের ছাত্র-যুব উৎসব পালিত হচ্ছিল। শুক্রবার ছিল শেষ দিন। ওই দিন সেখানে হাড়োয়া থানার গোপালপুর ক্যাম্পের আধিকারিক এএসআই জাহাঙ্গির হোসেন গাজি কর্তব্যরত ছিলেন। সন্ধের পর স্থানীয় মল্লিকঘেরি কুঁজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রী ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। তারা জাহাঙ্গিরের কাছে সিভিক পুলিশ নিয়োগের ব্যাপারে জানতে গিয়েছিল। অভিযোগ, তখন জাহাঙ্গির তাদের কুপ্রস্তাব দেন। স্কুলের দোতলার একটি ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওই পুলিশকর্মী তাদের শ্নীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ। সেই কথা ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে বাসিন্দারা ঘিরে ফেলেন। তাঁকে ধরে নিয়ে স্কুলের অফিস ঘরে আটকে রাখেন। তারই মধ্যে একদল গ্রামবাসী স্কুলঘরে ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। মুহূর্তে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাড়োয়া ও মিনাখাঁ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পৌঁছয় কমব্যাট ফোর্সও। অভিযোগ, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত জাহাঙ্গিরকে উদ্ধার করে। অভিযোগ, পুলিশ শূন্যে গুলিও চালিয়েছিল। যদিও বসিরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকার করা হয়নি।
শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা ওই দুই ছাত্রীর মধ্যে এক ছাত্রীর পরিবার শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আক্রান্ত এএসআই জাহাঙ্গির হাসপাতালে বসিরহাট জেলা চিকিৎসাধীন। শনিবার সকালে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবিতে ওই স্কুলের দেওয়ালে পোস্টার পড়ে। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের শাস্তির দাবিতে হাড়োয়া-মালঞ্চ সড়কে দফায় দফায় পথ অবরোধ চলে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে মারধরের ঘটনায় পাঁচ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাতে বাসিন্দাদের আন্দোলনে ঘৃতাহুতি পড়ে। বাসিন্দারা ফের আন্দোলন শুরু করেন। ওই সময় বাছড়া স্কুলের সামনে পুলিশের আরও একটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে মিনাখাঁর এসডিপিও সুব্রত দেব ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ অফিসার জাহাঙ্গিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

Conclusion:অবশেষে গ্রেপ্তার শ্লীলতাহানিতে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসার, দিনভর উত্তাল হাড়োয়া

হাড়োয়াঃ দুই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির ঘটনায় শনিবার দিনভর উত্তাল হাড়োয়া। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবিতে দফায় দফায় পথ অবরোধ হয়। অবশেষে চাপের মুখে পড়ে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উত্তেজনা থাকায় মোহনপুর-বাছড়া গ্রামে পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার সন্ধের পর। গত কয়েকদিন ধরে হাড়োয়ার মোহনপুর বাছড়া এমসিএইচ হাই স্কুলে রাজ্য সরকারের ছাত্র-যুব উৎসব পালিত হচ্ছিল। শুক্রবার ছিল শেষ দিন। ওই দিন সেখানে হাড়োয়া থানার গোপালপুর ক্যাম্পের আধিকারিক এএসআই জাহাঙ্গির হোসেন গাজি কর্তব্যরত ছিলেন। সন্ধের পর স্থানীয় মল্লিকঘেরি কুঁজিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা একাদশ শ্রেণির দুই ছাত্রী ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিল। তারা জাহাঙ্গিরের কাছে সিভিক পুলিশ নিয়োগের ব্যাপারে জানতে গিয়েছিল। অভিযোগ, তখন জাহাঙ্গির তাদের কুপ্রস্তাব দেন। স্কুলের দোতলার একটি ঘরে ডেকে নিয়ে গিয়ে ওই পুলিশকর্মী তাদের শ্নীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ। সেই কথা ছড়িয়ে পড়তেই অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে বাসিন্দারা ঘিরে ফেলেন। তাঁকে ধরে নিয়ে স্কুলের অফিস ঘরে আটকে রাখেন। তারই মধ্যে একদল গ্রামবাসী স্কুলঘরে ঢুকে তাঁকে বেধড়ক মারধর করেন। মুহূর্তে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গোলমালের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় হাড়োয়া ও মিনাখাঁ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। পৌঁছয় কমব্যাট ফোর্সও। অভিযোগ, লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে পুলিশ অভিযুক্ত জাহাঙ্গিরকে উদ্ধার করে। অভিযোগ, পুলিশ শূন্যে গুলিও চালিয়েছিল। যদিও বসিরহাট জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সে কথা স্বীকার করা হয়নি।
শ্লীলতাহানির অভিযোগ তোলা ওই দুই ছাত্রীর মধ্যে এক ছাত্রীর পরিবার শনিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আক্রান্ত এএসআই জাহাঙ্গির হাসপাতালে বসিরহাট জেলা চিকিৎসাধীন। শনিবার সকালে অভিযুক্ত পুলিশকর্মীর শাস্তির দাবিতে ওই স্কুলের দেওয়ালে পোস্টার পড়ে। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের শাস্তির দাবিতে হাড়োয়া-মালঞ্চ সড়কে দফায় দফায় পথ অবরোধ চলে। অভিযুক্ত পুলিশকর্মীকে মারধরের ঘটনায় পাঁচ জনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। তাতে বাসিন্দাদের আন্দোলনে ঘৃতাহুতি পড়ে। বাসিন্দারা ফের আন্দোলন শুরু করেন। ওই সময় বাছড়া স্কুলের সামনে পুলিশের আরও একটি বাইকে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে মিনাখাঁর এসডিপিও সুব্রত দেব ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারকে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ উঠে যায়। বিকেলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পুলিশ অফিসার জাহাঙ্গিরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.