জাতধর্মের থেকে রুটিরুজি বেশি গুরুত্বপূর্ণ, তা আবার বুঝিয়ে দিল বিহারের মানুষ : সুজন চক্রবর্তী - বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী
বিহারের বামপন্থীদের এই ফলাফলে স্বভাবতই উল্লসিত বঙ্গ বামফ্রন্ট তথা CPI (M) । রাজনৈতিক মহলের মতে আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ফলাফল উজ্জ্বিবিত করবে বঙ্গের বামদলগুলিকে ৷ গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে যাদের প্রাপ্ত ভোট নেমে এসেছিলে 7 শতাংশের কাছাকাছি ।
কলকাতা, 10 নভেম্বর : সব বুথফেরত সমীক্ষাকে উলটে দিয়ে আপাতত NDA এগিয়ে মহাজোটের থেকে । হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের মধ্যে দেখা যাচ্ছে বিহারে এবার একরকম অভূতপূর্ব ফলাফল করেছে বামপন্থী দলগুলি । শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত মহাজোটের শরিক হিসেবে মাত্র 29টি আসন থেকে লড়াই করে, তিন বামপন্থী দল, CPI(ML), CPI এবং CPI (M) এগিয়ে আছে মোট 18টি কেন্দ্রে ।
বিহারের বামপন্থীদের এই ফলাফলে স্বভাবতই উল্লসিত CPI (M) । রাজনৈতিক মহলের মতে, আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই ফলাফল উজ্জ্বীবিত করবে বঙ্গের বামদলগুলিকে ৷ গত লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে যাদের প্রাপ্ত ভোট নেমে এসেছিলে 7 শতাংশের কাছাকাছি । পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর মতে, 2019 লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে বিহারে 243 বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে মাত্র একটা কেন্দ্রে বামপন্থীরা এগিয়ে ছিল ।
আজ তিনি বলেন, "এবার 17 হোক, 18 হোক বা 19 , এবার বামপন্থীরা অনেকটাই এগিয়েছে । অন্য দলের তুলনায় বামপন্থীরা সবচেয়ে বেশি এগিয়েছে । আসলে রুটিরুজির, খাদ্য এবং কর্মসংস্থান, জাতধর্মের চাইতে অনেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেটা গরিব মানুষ আবার বুঝিয়ে দিল । পশ্চিমবঙ্গেও এবার 10 বছরের আবর্জনা ছুড়ে ফেলে দিয়ে বামপন্থীরা তাদের সহযোগীদের নিয়ে এগোতে পারবে এটা নিশ্চিত থাকুন । বিহার নির্বাচনে রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রীয় সরকার একপক্ষের । পশ্চিমবঙ্গেও বকলমে তাই । কেন্দ্রীয় এবং বঙ্গের সরকার দুজনেই মানুষের বিপক্ষে ৷"
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক CPI(M)এর এক রাজ্য কমিটির নেতা বলেন, "পশ্চিমবঙ্গে আগামী নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক, বাম -কংগ্রেস জোটের আসন সংখ্যা এবং প্রাপ্ত ভোট দুটোই বাড়বে এটা নিশ্চিত । কিন্তু সেটিকে আরও সুনিশ্চিত করতে এখনই যেটা দরকার যে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস দুজনেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আলোচনার মাধ্যমে আসন সমঝোতায় এসে যাতে প্রচারে নেমে পড়ে । তৃণমূল কংগ্রেস এবং BJP, এই দুটি দলেই অন্তর্দ্বন্দ্ব খুবই প্রকট । ভোটের টিকিট দেওয়া নিয়ে সেটা আরও প্রকট হবে । তাই জোটকে চেষ্টা করতে হবে দুই বিপক্ষের আগেই যেন প্রচারের ময়দানে নেমে যাওয়া যায় ৷ যাতে মানুষের কাছে একটি সুনির্দিষ্ট বার্তা দেওয়া সম্ভব হবে ৷"