কলকাতা, 29 মে: ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডব সরতেই ফের দক্ষিণবঙ্গে মাথাচাড়া দিচ্ছে গরম ৷ ঘূর্ণিঝড় এবং পরবর্তী বৃষ্টিপাতের জেরে গত দু-তিনদিনের ঠান্ডা আমেজ মঙ্গলবার সকাল থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিল কার্যত । আকাশ মেঘলা থাকলেও বৃষ্টি সেভাবে হয়নি। ফলে তাপমাত্রা একধাক্কায় চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গিয়েছে। যদিও উত্তরে জারি রয়েছে দুর্ভোগ ৷ আগামী কয়েকদিন সেখানে বৃষ্টিপাত চলবে বলে পূর্বাভাস দিল আলিপুর হাওয়া অফিস ৷
হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকলেও দক্ষিণের জেলাগুলিতে আপাতত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তবে বিক্ষিপ্তভাবে কিছু জায়গায় বৃষ্টিপাত হলেও হতে পারে দক্ষিণে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, এই তিন জেলায় বুধবার ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। 2 জুন পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি জারি থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
আকাশপথে রেমাল বিধ্বস্ত এলাকা দেখতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী, ত্রাণ নিয়ে মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা মমতার
দার্জিলিং এবং কালিম্পংয়ে থাকছে ঝোড়ো হাওয়ার সতর্কতা। চলতি সপ্তাহে লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফা রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো শেষবেলায় প্রচার চালাচ্ছে জোর কদমে। কিন্তু রেমাল পরবর্তী সময়ে আবহাওয়া কি ফের বৃষ্টিশূন্য ? ভোটের আবহাওয়া কেমন থাকবে এই প্রশ্নে আলিপুর দফতর এত তাড়াতাড়ি সপ্তম দফাকে কেন্দ্র করে কোনও পূর্বাভাস দিতে নারাজ। তবে শেষ দফার ভোটের দিন অর্থাৎ 1 জুন বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে রাজ্যজুড়ে। দক্ষিণের যে জেলাযগুলিতে ভোট রয়েছে সেই জেলাগুলিতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন আবহবিদরা।
30 মে বর্ষা প্রবেশ করবে কেরলে। বঙ্গেও বর্ষার প্রবেশে বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছে না আলিপুর হাওয়া অফিস। মূল ভূখণ্ডে বর্ষা প্রবেশ করার পরেই রাজ্যে কবে বর্ষা ঢুকবে, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট বার্তা দিতে পারবে আবহাওয়া দফতর। আপাতত, বুধবার দিনের আকাশ থাকবে মেঘলা। সর্বোচ্চ এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা 35 ডিগ্রি এবং 26 ডিগ্রির আশেপাশে থাকবে।
মঙ্গলবার রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা 33 ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছায় ৷ যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে 2.1 ডিগ্রি কম। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল 25.2 ডিগ্রি নীচে। যা স্বাভাবিক তাপমাত্রার চেয়ে দুই ডিগ্রি কম। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ছিল 96 শতাংশ এবং সর্বনিম্ন 83 শতাংশ।
সাগরে নদীর বাঁধ উপচে এলাকায় ঢুকছে নদীর নোনা জল, আতঙ্কিত এলাকাবাসী