নৈহাটি, 20 অক্টোবর: প্রার্থী হিসেবে নৈহাটির উপনির্বাচনে রবিবার ঘোষিত হয়েছে সাংসদ পার্থ ভৌমিক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সনৎ দে-র নাম। আর তারপরই নিজের হাতে দেওয়াল লিখে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিলেন শাসকদলের প্রার্থী। তাঁকে প্রার্থী করায় খুশি তৃণমূল কর্মীরাও। জয়ের বিষয়ে এদিন যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী দেখিয়েছে সনৎ দে-কে। জয়ের মার্জিনও বেঁধে দিলেন।
পার্থ ভৌমিকের সুরে সুর মিলিয়ে প্রার্থীও জানান, নৈহাটি বিধানসভা কেন্দ্রে তিনি জয়ী হবেন প্রায় 50 হাজার ভোটে। নৈহাটির মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করে বুঝিয়ে দেবে, তাঁরা তৃণমূলের সঙ্গেই রয়েছে। প্রার্থী হিসেবে তাঁকে মনোনীত করার জন্য এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতা সনৎ দে ৷
আত্মবিশ্বাসী তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে (ইটিভি ভারত) প্রসঙ্গত, 2011 সাল থেকে এই কেন্দ্র থেকেই পরপর তিনবার জিতে বিধায়ক হয়েছেন পার্থ ভৌমিক। 2024 সালের লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়ে তিনি সাংসদ নির্বাচিত হওয়ায় নৈহাটির বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিতে হয় পার্থ ভৌমিককে। ফলে, তাঁর ছেড়ে যাওয়া এই কেন্দ্রটিতেই উপনির্বাচন হতে চলেছে আগামী 13 নভেম্বর।
সেই বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই এবার তৃণমূলের তরফে প্রার্থী করা হয়েছে সাংসদ পার্থ ভৌমিক ঘনিষ্ঠ সনৎ দে-কে। বর্তমানে তিনি নৈহাটি পৌরসভার পুরপারিষদের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন । পাশাপাশি নৈহাটির শহর তৃণমূলের সভাপতির মতো গুরুদায়িত্বও রয়েছে তাঁর কাঁধে। সনতের বিপরীতে পদ্ম প্রার্থী হিসেবে লড়াই করছেন স্থানীয় বিজেপি নেতা রূপক মিত্র। তবে, বাম-কংগ্রেস এখনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি।
এদিকে, প্রার্থী মনোনীত হয়েই তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপি প্রার্থী রূপক মিত্রকে কড়া বার্তা দিয়েছেন তৃণমূল নেতা সনৎ দে। তিনি বলেন, "উনি নৈহাটির মানুষকে অপমান করেছেন। বলেছেন, এখানকার মানুষের শিরদাঁড়া নাকি সোজা নয়। ওঁর এই ধরনের মন্তব্যের জবাব উনি 13 নভেম্বর ব্যালট বক্সেই পেয়ে যাবেন। এখানকার মানুষের যদি নিরাপত্তা না থাকে তার জন্য একমাত্র দায়ী ভারতীয় জনতা পার্টি। ওদের জন্যই নৈহাটির মানুষ সুষ্ঠুভাবে যাতায়াত করতে পারেন না রাস্তাঘাট দিয়ে।"