কলকাতা, 19 ফেব্রুয়ারি: কথা রাখলেন রাজ্যপাল। রাজভবনে সেফ হোম সন্দেশখালির মহিলাদের জন্য। চালু হল সোমবার থেকেই ৷ দিন কয়েক আগে রাজ্যপাল সন্দেশখালি গিয়ে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন ৷ সেখানেই তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন রাজভবনে সেফ হোম হবে তাঁদের জন্য ৷ আর সেইমতোই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস কথা রাখলেন ৷ আজ থেকে সন্দেশখালির মহিলাদের জন্য চালু করে দিলেন সেফ হোম ৷
প্রাথমিকভাবে রাজভবনের মার্বেল হাউজের পাশে তিনটি ঘরে পিস রুম বা সেফ হোমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলারা চাইলেই এই সেফহোমে এসে থাকতে পারেন। থাকা-খাওয়া থেকে নিরাপত্তা যাবতীয় ব্যবস্থা করবে রাজভবন। রাজ্যপালের ওএসডি সন্দীপ রাজপুত বলেন, "রাজ্যপালের নির্দেশেই এই সেফ হোমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে তিনটি সেফ হোম খোলা হয়েছে। প্রয়োজনের খাতিরে সেফ হোমের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। এই সেফ হোম খোলার বিষয়ে রাজ্যপাল নিজেই উদ্যোগী হয়েছেন।"
এরপর তিনি বলেন, "কারণ সন্দেশখালিতে গিয়ে সেখানকার নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানকার মহিলারা নিজেদের সমস্যার কথা জানানোর পাশাপাশি রাজ্যপালের হাতে রাখিও বেঁধেছিলেন। তখনই রাজ্যপাল কথা দিয়েছিলেন তিনি বাংলার মা-বোনদের নিরাপত্তার জন্য রাজভবনে শান্তি কক্ষের বা সেফ হোমের ব্যবস্থা করবেন।" সেই কথা রাখলেন রাজ্যপাল।
এর আগে 2023-এর পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত বিষয়ে সাধারণ মানুষের বিভিন্ন অভিযোগ জানতে এবং সেগুলির বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করতেই রাজভবনে খোলা হয়েছিল 'পিস রুম'। যে কেউ পিস রুম-এ অভিযোগ জানাতে পারত এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য রাজভবনের তরফে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে সমস্যাগুলি পাঠানো হবে এর আগে জানানো হয়েছিল ৷ আর আজ সন্দেশখালির নির্যাতিতাদের জন্য খোলা হল সেফ হোম ৷
আরও পড়ুন:
- সন্দেশখালিতে আগামী সাতদিনের জন্য 144 ধারা স্থগিতাদেশের নির্দেশ হাইকোর্টের
- সন্দেশখালি নিয়ে সিবিআই তদন্তের আর্জি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট
- রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই, মত মহিলা কমশিনের; মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন রেখা