মালদা, 6 এপ্রিল: ভুট্টা তোলার অপরাধে গণধোলাইয়ের মৃত্যু এক ব্যক্তির ৷ মৃতের নাম জামালুদ্দিন (41) ৷ শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর 2নম্বর ব্লকের বাংলা-বিহার সংলগ্ন সাদলিচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ৷ অভিযোগ, খেত থেকে দু’তিনটি কাঁচা ভুট্টা তুলেছিলেন তিনি ৷ তা জমির মালিকের চোখে পড়ে যাওয়ায় ৷ লাঠি নিয়ে চড়াও হয় ৷ পিটিয়ে মেরে ফেলে ওই ব্যক্তিকে ৷ ইতিমধ্যে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷
পরিবার সূত্রে খবর, মৃত জামালুদ্দিনের বাড়ি রতুয়া 1 নম্বর ব্লকের ভাদো গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ৷ বিহার-বাংলা সীমান্তের কুমেদপুর সংলগ্ন বাটনারাহি গ্রামে তাঁর ভাই কামালুদ্দিনের বাড়ি ৷ দু’দিন আগে সেখানেই ঘুরতে গিয়েছিলেন ৷ শুক্রবার রাতের নমাজ পড়ে ফিরে এসে বাড়ির বাইরে ঘুরতে বেড়িয়ে জামালুদ্দিন ৷ তখনই সাদলিচক এলাকায় একটি খেত থেকে দু’তিনটি কাঁচা ভুট্টা তোলেন তিনি ৷ সেই অপরাধে তাঁকে পিটিয়ে খুন করে জমির মালিক ৷
মৃতের ভাই কামালুদ্দিন বলেন, "খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে দৌড়ে যাই ৷ ও তখন একটা ছোট কালভার্টের উপর পড়ে ছিল ৷ বেহুঁশ অবস্থায় ওকে টোটোতে চাপিয়ে প্রথমে থানা, তারপর হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে আসি ৷ কিন্তু লাভ হয়নি ৷ চিকিৎসকরা ওকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ জমির মালিক রব্বানি, নাসিম, তপু-সহ চার জন মিলে দাদাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে ৷ ওর অপরাধ জমি থেকে কয়েকটা কাঁচা ভুট্টা তুলেছিল ৷ দু’দিন আগেই ও আমার বাড়িতে এসেছিল ৷ আমি ওকে বাড়ি ফিরে যেতেও বলি ৷ গতকাল রাতে ভাত খাওয়ার পর বাড়ি থেকে বেরোনোর পর এই কাণ্ড ৷ আমি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি ৷"
ঘটনা প্রসঙ্গেই হরিশ্চন্দ্রপুর থানার এক পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে ইতিমধ্যেই নাসিম নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ আরও কয়েকজন এই ঘটনায় জড়িত বলে জানা গিয়েছে ৷ অভিযুক্তরা সকলেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন ৷ তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে ৷ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে ৷
আরও পড়ুন: