কুলতলি, 21 ডিসেম্বর: লুকোচুরি খেলার অবসান ৷ কুলতলির বাঘ ফিরে গেল জঙ্গলে । দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর অবশেষে তাকে পুনরায় জঙ্গলে ফেরত পাঠাতে সক্ষম হয়েছেন বনদফতরের কর্মীরা ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বুধবার রাতে কুলতলি ব্লকে মইপিট কোস্টাল থানার গুড়গুড়িয়া এলাকার ভুবনেশ্বরী গ্রামে বাঘের গর্জন ও বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান এলাকাবাসীরা । এরপর খবর দেওয়া হয় বনদফতরে ৷ শুরু হয় তল্লাশি ৷ সারারাত মশাল ও আলো নিয়ে গ্রাম পাহারা দেন বনকর্মী ও গ্রামবাসীরা ।
বৃস্পতিবার রাতে নদীর পাড়ে মোবাইলে কথা বলার সময় স্থানীয় এক যুবকের উপর হামলা করে বাঘ । হামলার ঘটনায় আহত হয় রাহুল হালদার নামে নবম শ্রেণির এক ছাত্র ৷ স্থানীয়রা জখম ছাত্রকে উদ্ধার করে কুলতলি জয়নগর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান । এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পরেন গ্রামবাসীরা ।
এরপর অধিক তৎপরতার সঙ্গে বাঘটিকে খুঁজতে শুরু করেন বনকর্মীরা ৷ বাঘের পায়ের ছাপ অনুসরণ করে তার গতিপথ অনুসরণ করে তল্লাশি শুরু হয় ৷ শনিবার সকালে দেবীপুর গ্রাম থেকে 4 কিলোমিটার দূরে বৈকন্ঠপুর গ্রামের ধান জমিতে বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায় । এরপর সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের জয়েন্ট ডিরেক্টর রাজা দত্ত ও দক্ষিণ 24 পরগনার জেলা বনবিভাগের আধিকারীক নিশা গোস্বামীর নেতৃত্বে একটি দল গঠন করা হয় ৷ এলাকায় বাঘের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি । অবশেষে বনদফতরের কর্মীদের সামনেই লোকালয় থেকে খাল পার হয়ে পুনরায় জঙ্গলে চলে যায় বাঘ ৷
এই বিষয় দক্ষিণ 24 পরগনার বনবিভাগের আধিকারিক নিশা গোস্বামী বলেন, "বুধবার রাতে বনদফতরের কাছে খবর আসে এলাকায় বাঘ ঢুকেছে ৷ এরপর আমরা তল্লাশি অভিযান শুরু করি ৷ বাঘের গতির উপর নজর রাখার কাজ শুরু হয় ৷ পাশাপাশি, জঙ্গল লাগোয়া সমস্ত লোকালয় জাল দিয়ে ঘিরে রাখার প্রক্রিয়া শুরু করা হয় । বাঘের পায়ের ছাপ দেখে আমরা সেটি বাঘ না বাঘিনী, তা জানার চেষ্টা করছি ।"