আদালতের রায়কে আমার স্বাগত জানাই ৷ কিন্তু আজ আরজি করের প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সন্দীপ ঘোষ এবং কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার বিনীত গোয়েলও যদি শাস্তি পেতেন তাহলে আমরা আরও বেশি খুশি হতাম ৷ ঘটনার পর থেকেই নির্যাতিতার পরিবার থেকে শুরু করে জুনিয়র চিকিৎসকরা যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করে আসছেন তা খতিয়ে দেখা উচিত ৷
LIVE: উচ্চ আদালতে যাবে না সঞ্জয়ের পরিবার, বাকিদের গ্রেফতারের দাবি নির্যাতিতার মায়ের - R G KAR VERDICT LIVE UPDATES
Published : Jan 18, 2025, 12:04 PM IST
|Updated : Jan 18, 2025, 5:52 PM IST
ঘরের মেয়ের বিচার পাওয়ার দিন আজ ৷ আজ দেশ-দুনিয়ার নজর শিয়ালদা আদালতের দিকে ৷ আরজি করের নারকীয় ঘটনার পাঁচ মাস পর রায় দেবে আদালত ৷ চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণের পর খুনের মামলা সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করা হয়েছিল ঘটনার 24 ঘণ্টার মধ্যে ৷ এই মামলায় আর কাউকে গ্রেফতার করেনি সিবিআই ৷ এ মাসের গোড়ার দিকে আদালত জানায় রায় ঘোষণা হবে 18 এপ্রিল ৷ তারপর থেকেই শুরু দিন গোনা!
LIVE FEED
সন্দীপ-বিনীতের শাস্তি হলে বেশি খুশি হতাম: শুভেন্দু
সিবিআইয়ের ভূমিকায় প্রশ্ন দিলীপের
দুর্গাপুরে দিলীপ ঘোষ জানান, আদালতের রায়ের উপর পূর্ণ আস্থা আছে l কিন্তু মানুষ এখনও মনে করছে বেশ কিছু জিনিস আড়াল করা হচ্ছে। সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে ৷ কিন্তু সিবিআইকে তদন্তের ভার দিয়েছিল আদালত। কাজেই আদালতই সে বিষয়ে বিবেচনা করবে l পুলিশের ভূমিকা নিয়ে তখনও প্রশ্ন ছিল এখনও প্রশ্ন আছে।
মমতা-রাজ্য পুলিশকে নিশানা অমিত মালব্যর
রায় ঘোষণার পর বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, "আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলায় সঞ্জয় রায়ের দোষী সাব্যস্ত হওয়া ন্যায়বিচারের দিকে প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে এর ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এবং কলকাতা পুলিশের অপকর্ম ঢাকা পড়ে যাবে এমন ভাবার কোনও কারণ নেই ৷ প্রমাণ লোপাটের সঙ্গে যাঁরা জড়িত তারা রেহাই পেতে পারে না ৷"
উচ্চ আদালতে যাবে না সঞ্জয়ের পরিবার
শিয়ালদা আদালত রায় ঘোষণার পর ভবানীপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন সঞ্জয় রায়ের বোন ৷ তিনি জানান, এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আবেদন করার কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই ৷ 2007 সালে বিয়ের পর থেকে বাপেরবাড়ির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই ৷ আর তাই সঞ্জয় রায় এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে কি না সে ব্যাপারে তাঁর কোনও ধারনা নেই ৷ তবে তিনি এটাও জানিয়েছেন, খুব কম বয়স থেকেই সঞ্জয় মদের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে ৷ কিন্তু কোনও মহিলার সঙ্গে কখনও অশোভন আচরণ করেছে, এমন অভিযোগ পাননি তার বোন ৷
বাকিদের গ্রেফতারের দাবি নির্যাতিতার মায়ের
আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের নির্যাতিতার মা বলেন, "সঞ্জয় রায়ের দোষ প্রমাণিত হয়েছে ৷ বিচারের সময় সে কোনও কথা বলেনি ৷ এটাও প্রমাণ করে সে দোষী ৷ তবে সে একা ছিল না ৷ এই ঘটনার সঙ্গে আরও অনেকে জড়িত আছে ৷ তারা গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত আমার রাতে ঘুম আসবে না ৷ "
কান্নায় ভেঙে পড়লেন নির্যাতিতার মা
শিয়ালদা আদালতের বিচারক সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার মা ৷
আন্দোলন চালিয়ে যাবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা
রায় ঘো৷ষণার পর বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷ শিয়ালদা আদালত থেকে মৌলালির দিকে মিছিল করছেন তাঁরা ৷ অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদারের মতো জুনিয়র চিকিৎসকের পাশাপাশি সিনিয়র চিকিৎসক ও নার্সরাও মিছিলে সামিল হয়েছেন ৷ এই প্রতিবাদ মিছিলে সাধারণ মানুষও রয়েছেন ৷ মিছিল থেকে দেবাশিস বলেন, "আর কারা কারা জড়িত সেটা জানতেই হবে ? সঞ্জয় কী করে জানল চারতলায় জুনিয়র চিকিৎসক একা রয়েছেন ? তারা ধরা না-পড়লে এই আন্দোলন চলবে ৷" অন্যদিকে, এক সিনিয়র চিকিৎসক বলেন, "সঞ্জয় রায় ছাড়া অনেকেই এই ঘটনায় জড়িত ৷ তারা কারা? তারা ধরা না-পড়লে আরজি করের নির্যাতিতা পড়ুয়ার আত্মা শান্তি পাবে না ৷" আরজি করের এক নার্স বলেন, "বিচারের নামে প্রহসন চলছে মাত্র ৷ প্রথম থেকেই মনে হচ্ছে এক বা একাধিক লোক জড়িত ৷"
বিচারককে কী বললেন সঞ্জয় ?
রায় ঘোষণার সময় সঞ্জয় রায়ের সঙ্গে কথা বলেন, বিচারক অনির্বাণ দাস ৷ সঞ্জয়কে তিনি জাানান, সিবিআই যে সমস্ত প্রমাণ দিয়েছে তা দেখে আমার মনে হচ্ছে যে আপনি দোষী ৷ এই অপরাধে জ়ড়িত থাকার জন্য আপনার সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে ৷ সর্বনিম্ন যাবজ্জবীনের সাজা হতে পারে ৷ আপনার কী বলার আছে? জবাবে সঞ্জয় রায় বলেন, "আপনি আমার রদ্রাক্ষ মালার কথাটা শুনে নিন ৷ আমি এই ঘৃণ্য অপরাধ করলে আমার গলার মালা ছিঁড়ে যেত বা পড়ে যেত ৷ অথচ আমি এখনও সেই মালা পড়ে আছি ৷ এই ঘৃণ্য অপরাধের সঙ্গে আমি কোনওভাবেই জড়িত নই ৷ আইপিএস আধিকারিক যা যা বলেছে আমি তাই করেছি ৷ আমাকে ফাঁসানো হয়েছে ৷" এরপর বিচারপতি বলেন, 'কাল রবিরাব ৷ সোমবার আমি আপনার কথা শুনব ৷ কিন্তু সোমবার আমি সাজাও ঘো৷ষণা করব!'
ফের প্রমাণ লোপাট নিয়ে সরব সুকান্ত
রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, "প্রথম থেকে বলেছি, ওই পাঁচদিন অর্থাৎ যে ক'দিন কলকাতা পুলিশের অধীনে তদন্ত চলছিল সে সময় কী কী তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়ে গিয়েছে তা আমাদের জানা নেই ৷ তবে, সঞ্জয় রায় যদি দোষী সাব্যস্ত হয় তাহলে সেটা মেনে নিতে হবে ৷ "
কী বলছেন সিবিআইয়ের আইনজীবী ?
সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, সঞ্জয় রায় আগেও নিজেকে নির্দোষ বলেছে ৷ আত্মরক্ষার জন্য সঞ্জয় এমনটা বলছে ৷ সমস্ত প্রমাণ দেওয়া হয়েছে ৷ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন বা মৃত্যুদণ্ড দুটোই হতে পারে ৷ পরবর্তী তদন্ত চলছে, যে যে ধারা তাতে সবকটিতেই দোষী সাবস্ত সঞ্জয় রায় ৷ সোমবার সাজা ঘোষাণা করবে আদালত ৷
আদালত থেকে জেলে
রায় ঘোষণার পর সঞ্জয় রায়কে আদালত থেকে বের করে আবারও প্রেসি়ডেন্সি জেলে নিয়ে গেল পুলিশ ৷
ঘৃণ্য অপরাধ করিনি, দাবি সঞ্জয়ের
আদালত কক্ষে সঞ্জয় রায় বিচারককে বলে, "আমি কোনও ঘৃন্য অপরাধ করিনি। আমি যদি এই ঘৃণ্য অপরাধ করতাম তাহলে সেদিন আমি গলায় যে রুদ্রাক্ষের মালা পরেছিলাম সেটা ছিঁড়ে যেত। কিন্তু সেই মালার কিছু হয়নি। সেই মালা আমি এখনও গলায় পরে রয়েছি। আমি নির্দোষ আমায় ফাঁসানো হয়েছে।"
সোমবার বেলা সাড়ে বারোটায় সাজা ঘোষণা
সোমবার দুুপুর সাড়ে বারোটায় সাজা ঘোষণা হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
কোন কোন ধারায় দোষী সাব্যস্ত হল সঞ্জয় ?
শিয়ালদা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস আরজি কর ধর্ষণ ও খুনের মামলায় রায় দিতে গিয়ে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার 64 (ধর্ষণ), 66 (ধর্ষণের পর খুন) এবং 103 (1) (খুন) ধারায় সঞ্জয় রায়কে দোষী সাব্যস্ত করেন ৷
আদালতে হাজির সঞ্জয় রায়
রায় ঘোষণার আগেই আদালত চত্বরে নিয়ে আসা হয়েছে সঞ্জয় রায়কে ৷ কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় সঞ্জয়কে আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ ৷
কী বলছে নির্যাতিতার পরিবার ?
বহু চর্চিত আরজি কর মামলায় রায় শুনতে বুধবার শিয়ালদা আদালতের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেন নির্যাতিতার বাবা-মা। দুপুর 12টা 35 মিনিট নাগাদ তাঁরা সোদপুরের বাড়ি থেকে আদালতের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। ট্রেনে করেই এদিন আরজি করে নিহত চিকিৎসক ছাত্রীর বাবা-মা এবং পরিবারের বাকি সদস্যরা তাঁদের নির্দিষ্ট গন্তব্য শিয়ালদা আদালতে পৌঁছন। এদিকে, রায় ঘোষণার ঠিক আগে নির্যাতিতার বাবা নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী নিজে বলেছিলেন,রাত 2টো পর্যন্ত জেগে মনিটর করেছিলেন। ওঁর কী ইন্টারেস্ট ছিল জানতে চাই ? তথ্যপ্রমাণ যে লোপাট হয়েছে সেটা সিবিআই বলেছে । শুধু সিভিক নয়, সব দোষীরাই সামনে আসবে। আশা রাখছি দোষীরা সকলে শাস্তি পাবেন। কেউ রেয়াত পাবেন না।"
কী পরিস্থিতি আদালত চত্বরে ?
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শিয়ালদা আদালতে আরজি কর মামলার রায় ঘোষণা হবে ৷ আদালত চত্বরের পরিস্থিতি তুলে ধরলেন ইটিভি ভারতের প্রতিনিধি অয়ন নিয়োগী ৷
আদালত চত্বরে ব়্যাফ-সহ একাধিক থানার পুলিশ আধিকারিক
আর কিছুক্ষণের মধ্যেই আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় রায় দান করবে শিয়ালদা আদালত। আর তার জন্য যাতে কোনও রকমে অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে ক্ষেত্রে আগে থেকেই কড় নজরদারির আয়োজন করেছে কলকাতা পুলিশ। আদালত চত্বরে রয়েছে র্যাফ, মুচিপাড়া, এন্টালি-সহ একাধিক থানার পুলিশ আধিকারিকরা। নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন একজন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিক। আজ দুপুর একটা নাগাদ সঞ্জয় কে শিয়লদা আদালতে পেশ করানো হয়।
আদালতে উপস্থিত বিচারক ও দুই পক্ষের আইনজীবী
আদালতে পৌঁছে গিয়েছেন আরজি কর মামলার বিচারক ও দুই পক্ষের আইনজীবীরা ৷ কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শিয়ালদা আদালত। 220 নম্বর কোর্ট রুমে আজ এই মামলার রায় ঘোষণা হবে। নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী, আইন অনুযায়ী এই কাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেকেরই সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বললেন, "দোষীর চরমতম শাস্তি চাই।"
শিয়ালদা আদালতে সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী
ইতিমধ্যে, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী কবিতা সরকার চলে এসেছেন শিয়ালদহ আদালতে। আদালত চত্বরে ভিড় জমতে শুরু করেছে। অন্যান্য দিনের চেয়ে আজ এখানে ভিড় অনেকটাই বেশি। আদালত চত্বরে অতিরিক্ত ভিড়ের চাপ সামলাতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
কড়া নিরাপত্তা আদালত চত্বরে
আরজি কর মামলার রায় ঘোষণার আগে কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে শিয়ালদা আদালত চত্বর। ব্যারিকেড দিয়ে চারিদিক ঘিরে দেওয়া হয়েছে।
রায়ের অপেক্ষায় দেশ
সকাল থেকেই শিয়ালদা চত্বরে প্রবল ভিড় ৷ সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে পুলিশ ও সংবাদমাধ্যমের ভিড়ে আদালতের তিল ধারণেরও জায়গা নেই ৷