রক্তমাখা গ্লাভস কাণ্ডে এবার তদন্ত কমিটি গঠন করল আরজি কর হাসপাতাল। 5 সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে । সেখানে রয়েছেন, চিকিৎসক সৈকত নিয়োগী, চিকিৎসক তাপস প্রামানিক, চিকিৎসক মানসদীপ্ত কর, চিকিৎসক অর্ককেন্দ্র মোহন সিনহা। এছাড়াও নার্সদের তরফে রাখা হয়েছে কাবেরী শাউকে। এই তদন্ত কমিটির সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেবে।
ধর্মঘটের পথে হাঁটতে পারে আইএমএ, রক্তমাখা গ্লাভস কাণ্ডের তদন্তে গঠিত কমিটি
Published : Oct 11, 2024, 1:59 PM IST
|Updated : Oct 11, 2024, 10:11 PM IST
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই খারাপ হচ্ছিল জুনিয়র চিকিৎসক আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতোর শারীরিক অবস্থা। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে তাঁর ইচ্ছানুসারে আরজি কর হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয় ৷ চিকিৎসক সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে অনিকেতের জন্য একটি পাঁচ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এদিকে, অনিকেত মাহাতো সিসিইউতে যাওয়ার পর শুক্রবার সকালেই জুনিয়র ডাক্তারদের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করলেন জুনিয়র চিকিৎসক আন্দোলনের আর এক অন্যতম মুখ ডাঃ দেবাশিস হালদার ৷ আরও জোরালো আন্দোলনের ডাক দিয়েছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’। শুক্রবার বিকেলে ধর্মতলার অনশনমঞ্চ সংলগ্ন এলাকায় সমাবেশে সাধারণ মানুষকেও পাশে চেয়েছেন দেবাশিস ৷ একটি ভিডিয়ো বার্তায় তিনি প্রশ্ন করেন, "আমাদের আর কতজন সহযোদ্ধাকে আইসিউ যেতে হবে, যাতে এই অমানবিক সরকারের টনক নড়ে ?"
মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স। অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে সমস্যার সমাধানের অনুরোধ করেছেন তারা। তবে এর পাশাপশি আই এম এর তরফেও চিঠি দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে। এমনই নানা ঘটনা-আন্দোলনে শুক্রবার ঘটনাবহুল হতে চলেছে অষ্টমী-নবমীর গোটা দিন ৷
LIVE FEED
রক্তমাখা গ্লাভস, তদন্তে তৈরি কমিটি
এবার ধর্মঘটের পথে হাঁটতে পারে আইএমএ
আগেই জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিলেন আইএমএ-র সভাপতি । এবার ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিল চিকিৎসকদের এই সংগঠন । তাদের তরফে বলা হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকরা যে 10 দফা দাবিকে সামনে রেখে আন্দোলন করছেন রবিবারের মধ্যে তা পূরণ না হলে আইএমএ-র রাজ্য শাখা 12 ঘণ্টার ধর্মঘটে সামিল হবে।
রিপোর্টে কী কী জানালেন মুখ্যসচিব?
- সরকারি হাসপাতালগুলিতে 7051টি সিসিটিভি লাগানো হচ্ছে। 893 নতুন ডিউটি রুম হচ্ছে । 778 শৌচাগার তৈরি হচ্ছে। এছাড়া জ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজে আলো থেকে শুরু করে অ্যালার্ম ও বায়োমেট্রিকের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই সব কাজের জন্য সরকার 113 কোটি বরাদ্দ করেছে ।
- 90 শতাংশের বেশি কাজ শেষ হওয়ার পথে । শুধু আরজি কর হাসপাতালে কিছু কাজ বাকি। কারণ কাজের জন্য দরকারি অনুমতি তদন্তকারী সংস্থার কাছে থেকে মাত্র 2 দিন আগে পাওয়া গিয়েছে । মুখ্যসচিবের আশা, 15 অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ হবে। রাজ্যের সমস্ত মেডিক্যাল কলেজেকে নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে । বিভাগীয় প্রধান, সিনিয়র এবং জুনিয়র চিকিৎসক এবং নার্সরা এই কমিটিতে আছেন ।
- স্টেটাস রিপোর্টে মুখ্যসচিব জানিয়েছেন বিভিন্ন হাসপাতালে নতুন করে রোগী কল্যাণ সমিতির তৈরি করা হয়েছে ।
- নিরাপত্তা অডিটের বিশেষ ব্যবস্থায় কথাও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে । প্রত্যেক জেলায় সিকিউরিটি অডিটের জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে জেলা শাসকের নেতৃত্বে । প্রতিটি জেলায় সিকিউরিটি অডিটের প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে সংশ্লিষ্ট কমিশনার এবং এসপির নেতৃত্বে । এক্ষেত্রে যা যা সুপারিশ হয়েছে সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে । একজন প্রাক্তন পুলিশ অফিসারকে নিয়োগ করা হচ্ছে সমস্ত মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে। কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলোতে ইতিমধ্যেই এটি কার্যকর হয়েছে। বাকি জেলার সব মেডিক্যাল কলেজে 31 অক্টোবরের মধ্যে শেষ হবে।
- মহিলাদের সুরক্ষার জন্য 1113 মহিলা কনস্টেবল বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনে রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থার 1514 জন কর্মীকে ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে।
- দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং ডায়মন্ড হারবারে 14 অক্টোবরের মধ্যে রেফারেল সিস্টেমের পাইলট প্রজেট চালু হবে । 1 নভেম্বরের মধ্যে সব মেডিক্যাল কলেজে চালু করা হবে । শূন্যপদ পূরণ দ্রুততার করা হবে।
অরন্ধনের ডাক জুনিয়র চিকিৎসকদের
রবিবার অরন্ধনের ডাক দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, আন্দোলনের 63তম দিনে এসে তাঁরা দেখছেন তাঁদের দাবি পূরণে সরকারের কোনও আগ্রহ নেই । কিন্তু সাধারণ মানুষ তাঁদের পাশে আছেন। অনেকেই অনশন মঞ্চে এসে জানিয়েছেন, জুনিয়র চিকিৎসকরা খাচ্ছেন না বলে তাঁরাও খাবার মুখে তুলতে পারছেন না। ঠিক এখান থেকেই একাদশীর দিন অরন্ধন কর্মসূচি পালনের ডাক দেওয়া হয়েছে বলে আন্দোলনকারীরা জাানান। তাঁদের মতে দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় এই ধরনের আন্দোলন হয়েছিল । এবার হবে রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল ফেরাতে।
জুনিয়র চিকিৎসকদের স্ট্যাটাস রিপোর্ট পাঠালেন মুখ্যসচিব
ফের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের মেইল পেলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। মেইলে স্টেটাস রিপোর্ট পাঠান তিনি। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি ছিল, স্টেটাস রিপোর্ট দেখাতে হবে। সেই মর্মে তাঁরা মেইল করেছিলেন মুখসচিবকে। এবার স্টেটাস রিপোর্ট পাঠালেন মুখ্যসচিব। রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো থেকে শুরু করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেই কাজ কতটা হল সেটাই এই রিপোর্টে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
মেরুদণ্ড বিক্রি করিনি; স্পষ্ট বার্তা জুনিয়র চিকিৎসকদের
"6 দিন ধরে অনশন চলছে। শরীরের দিক থেকে দুর্বল হয়েছি। কিন্তু মনের দিক থেকে এখন আমার সুস্থ আছি। আমাদের দুর্বল ভাববেন না। আমার শিরদাঁড়া বিক্রি করিনি।" মহাসমাবেশ থেকে এই ভাষাতেই হুশিয়ারি দিলেন অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসক অর্ণব মুখোপাধ্যায় এবং পুলস্থ আচার্য ।
অভিযুক্তদের জামিন, খুশি জুনিয়র চিকিৎসকরা
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চে চলছে মহাসমাবেশ। এই মহাসমাবেশ চলাকালীনই খবর আসে ত্রিধারায় গ্রেফতার 9 জনকেই জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে।সেই খবর আশা মাত্রই আপ্লুত জুনিয়র চিকিৎসকদের । সে সময় মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন দেবাশিস হালদার । জামিনের খবর শুনে তাঁর গলা ধরে আসে। তিনি জানান, এভােবেই ন্যায় বিচারের আন্দোলন এগিয়ে যাবে।
জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে থাকার বার্তা আইএমএ-র সভাপতি
অনশন মঞ্চে গিয়ে জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন আইএমএ-র সভাপতি। তিনি জানান, জুনিয়র চিকিৎসকরা স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় থাকা দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছেন। হাসপাতালে কাজ করতে তাঁরা যে নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন সে কথা বলেছেন। নিজেদের স্বার্থে তাঁরা এই আন্দোলন করছেন না । করছেন, সাধারণ মানুষের জন্য । আইএমএ- দৃঢ়ভাবে জুনিয়র চিকিৎসকদের পাশে আছে। পাশাপাশি জুনিয়র চিকিৎসকদের কথা যে তাঁর মন ছুঁয়ে গিয়েছে সেটাও জানান আইএমএ-র সভাপতি ।
ধর্মতলায় আইএমএ-র সভাপতি
জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলতে এলেন আইএমএ-র সভাপতি । আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলছেন। জুনিয়র চিকিৎসকরা তাঁকে জানিয়েছেন কেন তাঁরা আন্দোলন করছেন ।
ত্রিধারার সামনে শ্লোগান দিয়ে পুলিশি হেফাজত, হাইকোর্টের দ্বারস্থ আন্দোলনকারীরা
আরজি করের প্রতিবাদে ত্রিধারার সম্মিলনীর সামনে শ্লোগান দেওয়ার অপরাধে আলিপুর আদালত সাত দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার হাইকোর্টের দ্বারস্থ আন্দোলনকারীরা। আজই সেই আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা ৷
মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি চিকিৎসক সংগঠনের
মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন জয়েন্ট প্লাটফর্ম অফ ডক্টর্স। অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থার কথা উল্লেখ করে সমস্যার সমাধানের অনুরোধ করেছেন তারা। তবে, এর পাশাপশি আইএমএর তরফেও চিঠি দিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীকে।
শারীরিক অবস্থার উন্নতি, তবে এখনও সিসিইউতে অনিকেত মাহাতো
শারীরিক ভাবে উন্নতি হয়েছে অনিকেতের। আগের থেকে চিকিৎসায় সারা দিচ্ছেন তিনি, বলেই জানান অধ্যাপক চিকিৎসক সোমা মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শরীরে কিটোনের মাত্রা কমেছে । জ্বর নেই, পালস রেট ঠিক আছে। তবে এখনই সিসিইউ থেকে বার করা হবে না ।