কলকাতা, 19 জানুয়ারি: প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনায় 13 জন চিকিৎসকের সাসপেনশনের বিরুদ্ধে এবার সরব হল আইএমএ রাজ্য শাখা ৷ সাসপেনশনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলল তারা ৷ কেন চিকিৎসকদের শোকজ না-করে সরাসরি সাসপেন্ড করা হল, সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আইএমএ বেঙ্গল অ্যাকশন কমিটি ৷ পাশাপাশি জানানো হয়েছে, আগামী সোমবার 5-6 জনের একটি প্রতিনিধি দল মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যাবে ৷
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সাসপেন্ড (নিলম্বিত) হওয়া চিকিৎসক এবং জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে দেখা করবেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা ৷ জানা গিয়েছে, আইএমএ পশ্চিমবঙ্গ শাখার সদ্য নির্বাচিত সভাপতি চিকিৎসক চন্দন ঘোষাল প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকবেন ৷ এর পাশাপাশি, মেদিনীপুরে আইএমএ-র কয়েকজন সদস্য চিকিৎসকও তাঁদের সঙ্গে থাকবেন ৷
শনিবার রাতে আইএমএ-র অ্যাকশন কমিটির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "আইএমএ বেঙ্গল অ্যাকশন কমিটি বিতর্কিত আরএল স্যালাইন এবং তার ব্যবহার নিয়ে চলা বিতর্কের সঠিক এবং নিয়ম মেনে তদন্তের দাবি করছে ৷ কারণ, আমরা জানি জুনিয়র ডাক্তাররা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ৷"
মেদিনীপুর মেডিক্যালে মৃত প্রসূতির ময়নাতদন্তের রিপোর্ট নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আইএমএ বেঙ্গল অ্যাকশন কমিটি ৷ তাঁদের বক্তব্য, "ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, সেপটিক শক থেকে শরীরে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়ায় মৃত্যু হয়েছে ৷ সেক্ষেত্রে এই ইনফেকশনের সূত্র কোথা থেকে, তা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে খুঁজে বের করতে হবে ৷"
এর পরেই চিকিৎসকদের সাসপেন্ডের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আইএমএ ৷ তাদের বক্তব্য, "আমরা জানি প্রোটোকল ও নিয়ম অনুযায়ী, শোকজ এবং অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের পরেই সাসপেনশনের পরিস্থিতি আসে ৷ আমরা মনে করছি, সাসপেন্ড হওয়া চিকিৎসকদের ক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়েছে এবং তাঁদের সুযোগ দেওয়া হয়েছে ৷ আর তা না-হলে, আমরা এখনই তাঁদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি ৷"
সবশেষে সংগঠনের তরফে বলা হয়েছে, রোগীর স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি আইএমএ সমর্থন করে না ৷ তবে, আইএমএ বেঙ্গল অ্যাকশন কমিটি চায় না, কোনও নির্দোষের শাস্তি হোক ৷