চন্ডীতলা, 21 ফেব্রুরারি: চন্ডীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ-এর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পর ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম গঠন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের।বর্তমানে থানার অফিসার ইনচার্জ জয়ন্ত পাল গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি একটি বেসরকারি হাসপাতালে। তার পরিবর্তে চন্ডীতলা থানার দায়িত্ব দেওয়া হল সার্কেল ইন্সপেক্টর সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়কে ৷
অন্যদিকে, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের রিপোর্ট পাওয়া পর ওসি'র বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে বলে হুগলি গ্রামীণ পুলিশ সূত্রে খবর। এর আগে আহত অফিসার হুগলি গ্রামীণের মগরা, গুরাপ, সিঙ্গুর ও চণ্ডীতলা থানা-সহ একাধিক থানার দায়িত্ব সামলেছিলেন । কয়েকবছর ধরেই দ্বিতীয় বারের জন্য ফের চন্ডীতলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এই ঘটনার পর যথেষ্টই অস্বস্তিতে পড়তে হয় পুলিশকে।
হুগলি গ্রামীন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কৃষাণু রায় বলেন, "চন্ডীতলা থানার আইসি জয়ন্ত পাল গুলিবিদ্ধ ঘটনার হাওড়া থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে ৷ হুগলি পুলিশের তরফ থেকে আপাতত চারজনের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি তৈরি করা হয়েছে ৷ এরপর তদন্ত করে আমরা রিপোর্ট জমা দেব। আহত অফিসার যেহেতু হাসপাতালে ভর্তি সেই কারণেই চন্ডীতলা থানার দায়িত্ব নিয়েছেন সার্কেল ইন্সপেক্টর।"
উল্লেখ্য, বুধবার রাতে হুগলির চন্ডীতলা থানার অফিসার ইনচার্জ জয়ন্ত পাল গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে পুলিশ মহলে।হাওড়ার শিবপুর থানা এলাকার বেতাইতলায় জয়ন্ত পালের গাড়ির ভিতরেই কোনও বচসার জেরে তাঁর হাতে গুলি চলে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, গাড়ির ভিতরে আরও কয়েকজন ছিল। জখম অবস্থায় তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই পুলিশ অফিসার নিজেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলেও জানা গিয়েছে। পাশে ছিল এক মহিলা। কী কারণে এই গুলি চলল তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে শিবপুর থানার পুলিশ। পুলিশ এলাকার সিসিটিভি'র সুত্র ধরে রহস্যময়ী মহিলা ও বাকিদের খোঁজ চালিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও শুরু করেছে।
ঘটনায় আরও দু'জনকে আটক করা হয়েছে। জয়ন্ত পাল সুস্থ হলে তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করবে পুলিশ। তার সার্ভিস রিভালবার থেকে গুলি চালানো হয়েছিল কি না, কেনই বা তাঁর সার্ভিস রিভলবার সঙ্গে নিয়ে বেরিয়েছিলেন তাও জানতে চাইবে পুলিশ। একই সঙ্গে ওই মহিলার সঙ্গে কী সম্পর্ক ছিল সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।