কলকাতা, 14 অক্টোবর: রাজভবন অভিযানের ডাক দিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সোমবার তারা রাজভবন অভিযানের ডাক দেন। সিবিআই এর উপর অনাস্থা থেকেই তাঁদের এই রাজভবন অভিযান। এর পাশাপাশি যে চার্জশিট সিবিআই জমা দিয়েছে তার প্রতি অনাস্থা রয়েছে জুনিয়র চিকিৎসকদের। সব মিলিয়ে তাঁদের রাজভবন অভিযানের একাধিক কারণ রয়েছে।
অন্যদিকে, মঙ্গলবার যেদিন রাজ্যে পুজোর কার্নিভাল রয়েছে সেই দিনই রাজ্যজুড়ে মানববন্ধন কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। তবে জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশিস হালদার জানান, কোনও বাধা আমরা দেব না ৷ রাস্তার ধারে সকলে মানব বন্ধন করে এক সারিতে দাঁড়িয়ে থাকবো।
ধর্মতলার মঞ্চে এইদিন সন্ধ্যায় সামিল হন মৌসুমি ভৌমিক (ইটিভি ভারত)
পঞ্জিকা মতে রবিবার একাদশী। তবে এইদিন শহর কলকাতায় বিজয়া। ঢাকের তালে একের পর এক বিসর্জন যাচ্ছে প্রতিমা। আর ঠিক এই সময় ভিন্ন চিত্র দেখা গেল জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চে। ধর্মতলার মঞ্চে এইদিন সন্ধ্যায় সামিল হন মৌসুমি ভৌমিক। অনশনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। তারই সঙ্গে অনশনকারী সঙ্গে একই মঞ্চে বসে গান শোনান। একাদশীর সন্ধ্যা ধর্মতলার ধর্নামঞ্চে তাঁর গলায় শোনা যায়, "আমি শুনেছি সেদিন তুমি"। এই গান শুনে মঞ্চের সকল অনশনকারীর চোখে জল দেখা যায়। আবেগে গলা কেঁপে ওঠে শিল্পীর নিজেরও।
এর পাশাপশি এইদিন ধর্মতলার ধর্ণামঞ্চ চত্বরে দেখা যায় মেট্রো রেলের জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্রকে। আচমকাই রবিবার সন্ধ্যায় তাঁকে দেখা যায় ধর্মতলার সাধারণ মানুষের ভিড়ের মাঝে। তিনি জানান, "আজ আমি ব্যক্তিগত পরিসর থেকে এসেছি। আমার খুব খারাপ লেগেছে বিষয়টা। ওদের দাবি খুবই যুক্তি সম্মত, ওরা খুবই আধুনিক। ওরা আমাদেরই ঘরের ছেলে-মেয়ে। সেই দিক থেকেই আজ আমার এখানে আসা।"
ধর্মতলার যেখানে অনশন মঞ্চ করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা, তার পাশে এবং পিছনের দিকে মেট্রো রেল এবং স্টেশনের বেশ কিছু কাজ হচ্ছে। তবে, এই অনশন মঞ্চ তৈরির করার ফলে সেই কাজে কোনও প্রভাব পড়ছে না বলেই জানান কৌশিক মিত্র।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চে বহু সাধারণ মানুষ থেকে বিশিষ্টজনেরা যাচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করে এই আন্দোলন তুলে নেওয়ার অনুরোধও করছেন অনেকে। বিশিষ্টজনদের তরফ থেকে রবিবার একটি মেইলও করা হয় তাদের। কিন্তু, এই প্রসঙ্গে জুনিয়র চিকিৎসক দেবাশীষ হালদার বলে দেন, "যতক্ষণ না দাবি মানা হচ্ছে অনশন উঠবে না। দরকার হলে সবাই আমাদের কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে দিন। মুখ্যমন্ত্রী চাইলেই পাঁচ মিনিটে আমাদের দাবি পূরণ হয়ে যাবে।"