হায়দরাবাদ, 27 ডিসেম্বর: সিনেমা বাস্তব ছবির আয়না ৷ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্য়াক্তিত্বের প্রতিফলন ধরা পড়েছে রূপোলি পর্দায় ৷ ব্যতিক্রম নয়, ভারতের নানা সময়ে প্রধানমন্ত্রীদের জীবন-জার্নি ৷ 26 তারিখ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ৷ তাঁর জীবনীও ধরা পড়েছে 'দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার' ছবিতে ৷ একনজরে দেখা যাক, ভারতের কোন কোন প্রধানমন্ত্রীর জার্নি উঠে এসেছে বাস্তব চিত্র থেকে ৷
1. 'দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার'
2019 সালের 11 জানুয়ারি মুক্তি পায় দ্য অ্যাক্সিডেন্টাল প্রাইম মিনিস্টার ৷ সঞ্জয় বারুর লেখা বই থেকে এই সিনেমা তৈরি হয় ৷ সেই বইতে জায়গা পেয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের জীবনী ৷ ছবি পরিচালনা করেন বিজয় গুট্টে ৷ মনমোহন সিংয়ের চরিত্রে দেখা যায় অনুপম খেরকে ৷ অক্ষয় খান্নাকে দেখা যায় সঞ্জয় বারুর চরিত্রে ৷ তিনি আবার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহনের মিডিয়া অ্যাডভাইজারও ছিলেন ৷ দেশ চালানোর ক্ষেত্রে কীকী প্রতিকূলতার মুখে পড়েছিলেন, কীকী সাফল্য লাভ করেছিলেন মনমোহন সিং, তা তুলে ধরা হয় ছবির পর্দায় ৷
2. ম্যায় অটল হু
2024 সালের 19 জানুয়ারি মুক্তি পায় ম্যায় অটল হুঁ ৷ পর্দায় স্থান পায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর প্রধানমন্ত্রীত্বকালীন অধ্যায় ৷ পরিচালক ছিলেন রবি যাদব ৷ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ ((RSS)-এর একনৃষ্ঠ সদস্য থেকে কীভাবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন, সেই জার্নি তুলে ধরা হয় সিলভার স্ক্রিনে ৷ অটলজির চরিত্রে ধরা দেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী ৷
3. পিএম নরেন্দ্র মোদি
উমঙ্গ কুমার 2019 সালে আনেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জার্নি ৷ রূপোলি পর্দায় ধরা ফুটে ওঠে প্রধানমন্ত্রী মোদির অজানা দিক ৷ মুখ্যচরিত্রে দেখা যায় বিবেক ওবেরয়কে ৷ আর্টিকেল 370, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, নোট বাতিলের মতো কিছু উল্লেখ্যযোগ্য সিদ্ধান্ত যা মোদি নিয়েছিলেন, তা ফুটে ওঠে ছবির পর্দায় ৷
4. চলো জিতে হ্যায়
এটি একটি শর্ট ফিল্ম ৷ এটিও নরেন্দ্র মোদির জীবনী থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছে ৷ মঙ্গেশ হাডাওয়ালে পরিচালিত এই শর্ট ফিল্ম মুক্তি পায় 2018 সালে ৷ কাহিনীতে ধরা পড়ে নারু নামের এক ছোট ছেলে ৷ জীবনকে অন্যরকমভাবে দেখার অনুভূতি ধরা পড়ে এই ছবিতে ৷ বায়োপিক না হলেও এই ছবির বিশেষ কিছু দৃশ্য ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখ করেছে ৷
5. এমারজেন্সি
17 জানুয়ারি মুক্তি পেতে চলেছে কঙ্গনা রানাওয়াতের 'এমারজেন্সি' ৷ পলিটিক্যাল ড্রামা এই ছবিতে ধরা পড়েছে প্রাক্তন প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধির জীবনী ৷ এই ছবিতে কঙ্গনা শুধু ইন্দিরা গান্ধির চরিত্রে অভিনয় করেননি, তিনি চিত্রনাট্য লেখা, সহ-প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন ৷ 1975 থেকে 1977 সাল পর্যন্ত গান্ধির জারি করা ইমারজেন্সির সময়কাল এই ছবির প্রেক্ষাপট ৷ ভারতের ইতিহাসে অনেকে একে কালো অধ্যায়ও বলে থাকেন ৷ গুরুত্বপূর্ণ নানা চরিত্রে দেখা গিয়েছে অনুপম খের, শ্রেয়স তলপড়ে, মহিমা চৌধুরী, মিলন্দ সুমন ও প্রয়াত সতীশ কৌশককে ৷
এই সিনেমা গুলি শুধুমাত্র ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীদের জীবনের একটি সিনেমাটিক চিত্রায়নই উপস্থাপন করে না, তবে দর্শকদের তাঁদের ব্যক্তিগত এবং পেশাদার যাত্রা সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি প্রদান করে। ড. মনমোহন সিংয়ের শান্ত স্থিতিস্থাপকতা থেকে ইন্দিরা গান্ধির জ্বলন্ত নেতৃত্ব এবং অটল বিহারী বাজপেয়ীর দূরদর্শী নেতৃত্ব, সিনেপর্দায় দেশের স্টলওয়ার্টদের বিভিন্ন দিক ধরা পড়েছে ৷