কলকাতা, 25 ফেব্রুয়ারি: রবিবার সকালে বিধ্বংসী আগুন বাইপাসের ধারে আনন্দপুর ঝুপড়িতে। কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে আকাশ। দূর থেকেই শোনা যায় একের পর সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আওয়াজ। দমকা হওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। ঘটনাস্থলে দমকলের 10টি ইঞ্জিন ৷ ঝুপড়িতে 68টি ঘর আছে। যার অধিকাংশটাই পুড়ে ছাই। জানা গিয়েছে, কার্যত কোনও সামগ্রীই সংগ্রহ করতে পারেননি বাসিন্দারা। সর্বস্ব হারিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন বাসিন্দারা। এদিকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নেভাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। সে সমস্ত গ্যাস সিলিন্ডার অক্ষত আছে সেগুলির তাপমাত্রা কমিয়ে পাশের খালে ফেলা হয়েছে।
দমকল বিভাগের ডিজি সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, " আগুন এই মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণে এসেছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। এখন এই মুহূর্তে গরম ছাই বা অন্যান্য পুড়ে যাওয়া সামগ্রী জল দিয়ে ঠান্ডা করার প্রসেস চলছে। কিন্তু যে মুহূর্তে আগুন লাগে সেই মুহূর্তে ভয়াবহ ছিল বেশি। দুপাশ থেকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। দুপাশের আগুন নিয়ন্ত্রণ করার পর বস্তির মধ্যিখানে অংশ জল দেওয়া হয়। এই মুহূর্তে কুলিং প্রসেস চলছে।"
সাংসদ মালা রায় বলেন, "প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে পাশের স্কুলে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হচ্ছে ৷ খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হচ্ছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুরো বিষয়টির দিকে নজর দিয়েছেন ৷ 62টি পরিবার ছিল এই বস্তিতে তারমধ্যে 42টা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ৷ পরে ওদের জন্য আলাদা বাড়ির ব্যবস্থা ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা কীভাবে করা যায়, দেখা হচ্ছে ৷"
স্থানীয়দের দাবি, সকাল সাড়ে দশটার একটু পরে একটা ঝুপড়িতে আগুন লেগে যায়। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপর 11 টা নাগাদ দমকলে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে নিকটবর্তী দমকলের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং তড়িঘড়ি আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে। কিন্তু তার আগেই দমকা হওয়ার কারণে ঝুপরির পার্শ্ববর্তী এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার কারণ এই মুহূর্তে সঠিক না জানা গেলেও স্থানীয়দের অনেকেই মনে করছেন, ঝুপড়ির ভিতরে কয়েকটি খাবার ও চায়ের দোকান ছিল সেখান থেকে আগুন লাগে।