কলকাতা, 12 অগস্ট:ডাক্তারি ছাত্রের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় প্রায় তিন দিন ধরে আন্দোলন চলছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ অবস্থান বিক্ষোভের পাশাপাশি চলছে জুনিয়র চিকিৎসকদের কর্মবিরতি ৷ এতদিন বন্ধ ছিল আউটডোর পরিষেবা ৷ সোমবার থেকে বন্ধ রাখা হচ্ছে জরুরি পরিষেবাও। আরজি কর মেডিকেল কলেজ রবিবার দুপুরেই তাদের জরুরি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত জানিয়েছিল ৷ তারপরেই বৈঠক করে রাজ্যের অন্যান্য সব মেডিকেল কলেজগুলি ৷ তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালও। সেই বৈঠকের পর রাজ্যের বেশ কয়েকটি হাসপাতেল আজ থেকে জরুরি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ৷
আজ থেকে জরুরি পরিষেবাতেও না, রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে - RG Kar Doctor Rape and Murder - RG KAR DOCTOR RAPE AND MURDER
Doctor Rape and Murder case in RG Kar Hospital: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় কর্মবিরতি অব্যাহত ৷ আউটডোরের পাশাপাশি সোমবার থেকে রাজ্যের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালেও জরুরি পরিষেবা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷
![আজ থেকে জরুরি পরিষেবাতেও না, রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে - RG Kar Doctor Rape and Murder RG Kar Doctor Rape and Murder](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/12-08-2024/1200-675-22182432-thumbnail-16x9-rg-kar.jpg)
Published : Aug 12, 2024, 6:55 AM IST
রবিবার কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে একটি বৈঠক হয় ৷ সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিল অল ইন্ডিয়া হাইজিন হাসপাতাল, এসএসকেএম, চিত্তরঞ্জন ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ। পাশাপাশি বৈঠকে যোগ দিয়ে ছিলেন বেশ কিছু বেসরকারি হাসপাতালের প্রতিনিধিও ৷ সেগুলি হল রুবি, আরএন টেগর, পিয়ারলেস, কেপিসি এবং শিশুমঙ্গল। সোমবার থেকে জরুরি পরিষেবাতেও কর্মবিরোধীর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এই সব হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা ৷
জরুরি পরিষেবা কর্মবিরতির পিছনে তাঁদের বেশ কিছু দাবি রয়েছে। যেগুলো হল বিচারবিভাগীয় তদন্ত, স্বচ্ছ এবং নিরপেক্ষ তদন্ত, অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ ও চেস্ট মেডিসিনের প্রধানের পদত্যাগ ৷ পাশাপাশি রাজ্যের সকল মেডিক্যাল কলেজগুলিতে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা। একই সঙ্গে শনিবার দিন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সামনে পুলিশ যেভাবে আন্দোলনকারীদের গায়ে হাত তুলেছে, তারও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে ৷ এর জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলেই জানিয়েছেন আন্দোলনকারী পড়ুয়ারা। যতক্ষণ না-তাদের দাবি মেনে নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত জরুরি পরিষেবাতেও কর্মবিরতি চলবে বলেই সাফ জানিয়ে দেন রাজ্যের অন্যান্য সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ ও বেসরকারি হাসপাতালগুলি।
তবে জরুরি পরিষেবাতে এই সময় চিকিৎসা করবেন হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকরা। স্বাস্থ্যভবনের তরফে রাজ্যের সকল সিনিয়র চিকিৎসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এই সময় কোন ছুটি নেওয়া যাবে না। যাঁদের ছুটি নেওয়া রয়েছে, তাও সব বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তার সঙ্গে বলা হয়েছে এই মুহূর্তে পরিস্থিতি সামাল দিতে সিনিয়র চিকিৎসকদের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে ৷ কিন্তু সিনিয়র চিকিৎসকরা কাজে যোগ দিলেও, নির্দিষ্ট সময়ের পর তাদের কেউ দেখা যাচ্ছে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের অবস্থানরত পড়ুয়াদের পাশে ৷