হায়দরাবাদ, 31 ডিসেম্বর: বছরশেষে শত প্রদীপের আলোয় উজ্জ্বল বাংলা ৷ নিন্দুকদের চুপ করিয়ে ফের সন্তোষ ট্রফি জিতল বাংলা ৷ ম্যাচের সংযুক্তি সঞ্জয় সেনের দলের হয়ে একমাত্র গোল সেই রবি হাঁসদার ৷ হায়দরাবাদের গাচ্চিবৌলি স্টেডিয়ামে প্রতিপক্ষ কেরলকে একমাত্র গোলে হারিয়ে 33 বারের জন্য ভারতসেরা বাংলা।
ফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার আগে চলতি টুর্নামেন্টে পারফরম্য়ান্সের নিরিখে দু'দলই ছিল সমমেরুতে ৷ ফাইনালে সেই ছবি প্রতিফলিত হল ৷ ফলত বাংলার জয়সূচক গোল পেতে অপেক্ষা করতে হল ম্যাচের সংযুক্তি সময় পর্যন্ত ৷ 94 মিনিটে পয়েন্ট ব্ল্য়াঙ্ক রেঞ্জ থেকে গোল করে বাংলাকে 33 বারের জন্য ভারতসেরা করলেন পূর্ব বর্ধমানের রবি ৷ সেইসঙ্গে মহম্মদ হাবিবের নজির ছাপিয়ে সন্তোষ ট্রফির একটি সংস্করণে সর্বাধিক 12 গোলের নজির গড়লেন তিনি ৷ তাও আবার প্রয়াত কিংবদন্তির শহরেই ৷
জাতীয় দলে বাঙালি মুখ নেই। বাংলা ফুটবলের গৌরবময় অধ্য়ায় ক্রমশ ফিকে ৷ এ রাজ্যের ফুটবলের দৈন্যদশা নিয়ে ইদানিং সমালোচনা ভূরি-ভূরি ৷ দক্ষিণের রাজ্যে সঞ্জয় সেনের ছেলেদের জয় যেন সেই সবকিছুর জবাব ৷ গতবছর মূলপর্বে ওঠার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছিল বাংলা ৷ এবছর তাই সঞ্জয় সেনের হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছিল আইএফএ ৷ করে দেখালেন মোহনবাগানকে আইলিগ দেওয়া কোচ ৷ সেরা হয়ে সঞ্জয় সেন বলছেন, "এই জয় ছেলেদের আত্মত্যাগের ছবি। ট্রফি জয়ের লক্ষ্যে ফুটবলাররা সবকিছু করেছিল।"
মহম্মদ রোশল, নসীব রহমান সমৃদ্ধ কেরলের সামনে ঘর সামলে আক্রমণের ছক সাজিয়েছিল বাংলা। বল দখলের তুল্যমূল্য লড়াইয়ে সামান্য এগিয়ে বাংলা। তবে প্রথমার্ধে দুই দলই সুযোগ তৈরিতে ব্যর্থ। প্রথমার্ধের তুলনায় দ্বিতীয়ার্ধে অনেক বেশি আক্রমণাত্মক দুই দল। শেষ পর্যন্ত সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাজিমাত বাংলার। টাইব্রেকার যখন প্রায় নিশ্চিত তখন গোলরক্ষকের হাতের সামনে থেকে বল জালে পাঠালেন রবি। সবমিলিয়ে স্বপ্নের দৌড় বাঙালি স্ট্রাইকারের। স্বপ্নের দৌড় সঞ্জয় সেনের বাংলার।