কলকাতা, 5 জানুয়ারি: স্বস্তি এল ইস্টবেঙ্গলে । সোমবার মুম্বই সিটি এফসি’র মুখোমুখি হবে লাল-হলুদ । সেই দ্বৈরথের আগে দলের সঙ্গে মূল অনুশীলনে আনোয়ার আলি এবং লালচুংনুঙ্গা । কিন্তু অস্বস্তি থাকল মিডফিল্ডার শৌভিক চক্রবর্তীকে নিয়ে ।
গত তিনদিন দলের সঙ্গে তিন ফুটবলার অনুশীলন করেননি । যদিও অনুশীলনে এসেছিলেন । ফলে চোট আতঙ্ক ছড়ায় লাল-হলুদ শিবিরে । যদিও ইস্টবেঙ্গল শিবির থেকে বলা হয়েছিল, ক্লান্তি দূর করতেই তিন ফুটবলারকে কোচ বিশ্রাম দিচ্ছেন । চোট পেয়ে ইতিমধ্যেই মাদিহ তালাল বাকি মরশুমের জন্য ছিটকে গিয়েছেন । সাউল ক্রেসপো এখনও দলে যোগ দেননি । তাঁর যোগ দেওয়া নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে । বলা হচ্ছে ভিসা না-পাওয়াতেই ক্রেসপোর ফিরে আসায় সমস্যা তৈরি হচ্ছে ।
এর ওপর রক্ষণ এবং মাঝমাঠের তিন ফুটবলার চোটের কবলে পড়ে গেলে কোচ অস্কার ব্রুঁজোর কাজ আরও কঠিন হত। কিন্তু সমর্থকদের স্বস্তি দিয়ে চুংনুঙ্গা এবং আনোয়ার পুরোদমে শনিবার অনুশীলন করলেন । দলের সিচুয়েশন প্র্যাকটিসের পুরোটা থাকেননি আনোয়ার । জানা যাচ্ছে, তাঁকে নিয়ে ডার্বির আগে খুব একটা বেশি ঝুঁকির রাস্তায় হাঁটতে চান না কোচ অস্কার ব্রুঁজো । দলের সঙ্গে শারীরিক কসরত করলেও তারপরে মূলত ফিজিয়োর সঙ্গে সাইডলাইনেই সময় কাটান শৌভিক । ফলে মুম্বই ম্যাচে তাঁকে নিয়ে ধোঁয়াশা বাড়ছে ।
সিচুয়েশন প্র্যাকটিসের প্রথমার্ধে মাঝমাঠে জিকসন সিংহের সঙ্গে খেলেন আনোয়ার । কিন্তু পরে তিনি উঠে যাওয়ার সময় নিশু কুমারকে মাঝমাঠে জিকসনের সঙ্গে খেলান অস্কার । এদিন নিশু পুরোদমে অনুশীলন সারলেন । ফলে তাঁকে হয়তো পরিকল্পনায় রেখেই মুম্বই দ্বৈরথের ছক কষছেন অস্কার । লালচুংনুঙ্গা প্রথমে সেন্টার ব্যাক হিসেবে খেললেও পরে সাইড ব্যাক হিসেবে খেলেন । অর্থাৎ ডার্বির আগে দল নিয়ে নানা পরীক্ষার পথে হাঁটছেন অস্কার ।
এদিন মূলত সেট পিস এবং পাসিং ফুটবলে জোর দিয়েছেন কোচ । শেষ সাত ম্যাচে ইস্টবেঙ্গল একটি হেরেছে, দু’টি ড্র করেছে এবং বাকি চারটি’তে জিতেছে । ঘরের মাঠে পুরো পয়েন্ট তুলতে চাইছেন লাল-হলুদ কোচ । চলতি আইএসএলে সেভাবে ছন্দে না-থাকা মুম্বই সিটি এফসিকে পরাজিত করা পাখির চোখ । এখন দেখার ডার্বির আগে সবকিছু বাঁচিয়ে জয়ের আলো দলের মধ্যে তিনি ফেরাতে পারেন কি না ।