কলকাতা, 2 মে: রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের মধ্যেই রাজভবনে প্রবেশ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার রাজ্যের তিন লোকসভা কেন্দ্রের ভোটের প্রচারে যাবেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে এদিনই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে ৷ যদিও সেই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছেন সিভি আনন্দ বোস ৷ রাজ্যপাল সাফ বলেছেন, "সত্যের জয় হবেই। আমি কোনওভাবেই ভীত নই ৷ কেউ যদি আমাকে অপমান করে নির্বাচনী সুবিধা পেতে চায়, ঈশ্বর তাদের মঙ্গল করুন। কিন্তু তারা বাংলায় দুর্নীতি ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আমার লড়াইকে থামাতে পারবে না।"
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটার পর কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী মোদি। রাত ন'টার পরে তিনি রাজভবনে প্রবেশ করেন। এদিন রাতে রাজভবনেই থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ৷ এরপর শুক্রবার রাজ্যের তিন লোকসভা কেন্দ্রে জনসভা করবেন তিনি। প্রাতঃরাশ সেরে সকাল 10টার পরে এসপিজির কড়া নিরাপত্তায় হেলিপ্যাডে পৌঁছবেন প্রধানমন্ত্রী। সেখান থেকেই কপ্টারে চড়ে রওনা দেবেন জনসভার উদ্দেশ্য। সূত্রের দাবি, নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের তেহট্টে, বর্ধমান দক্ষিণ ও বোলপুরের বিজেপি প্রার্থীদের সমর্থনে ভোট চাইবেন। বিরোধীদের উদ্দেশেও আক্রমণও করবেন চেনা ভঙ্গিমায়।
প্রধানমন্ত্রী আসার খবরে গত সোমবার থেকেই বৈঠক শুরু হয় রাজভবনে। এসপিজির কর্মী অধিকারিকরা রাজভবনের দখল নেন। প্রটোকল মেনে রান্না ঘর থেকে ড্রয়িংরুম, প্রতিটি প্রান্ত খুঁটিয়ে দেখা হয়। এর আগে গত মাসেও রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজভবনে রাত্রিবাসের পর 6 মার্চ সকালে কলকাতায় সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে ফের বারাসাতের জনসভা করেন। যদিও 5 মার্চ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজভবনে ঢোকার আগে শিশুমঙ্গল হাসপাতলে যান। সেখানে রামকৃষ্ণ মিশনের অসুস্থ প্রেসিডেন্ট মহারাজকে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। তার আগে চলতি মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় দিন বঙ্গ সফরে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। গত 1 মার্চ হুগলির আরামবাগে ও 2 মার্চ নদীয়ার কৃষ্ণনগরে জনসভা শেষ করে তিনি বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। কর্মসূচিতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন।