বোলপুর, 23 জানুয়ারি: কাজল শেখের ডানা ছেঁটে সবচেয়ে বেশি বিধানসভার দায়িত্ব মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । ফলে কেষ্ট ওরফে অনুব্রত মণ্ডলের উপরই যে আস্থা অটুট রয়েছে মমতার, তা এর থেকেই প্রমাণ মিলেছে ৷ কারণ, বীরভূমের রাজনীতিতে মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা অনুব্রতর কাছের লোক হিসেবে বরাবর পরিচিত ৷ আর কাজলকে অনুব্রত বিরোধী হিসেবে চেনে জেলার রাজনৈতিক মহল ৷
মঙ্গলবার কালীঘাটের বাড়িতে বীরভূমের সাংগঠনিক নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেখানে তিনি বীরভূমের কয়েকজন নেতাকে জেলার দু’টি লোকসভা আসনের মধ্য়ে যে বিধানসভা কেন্দ্রগুলি রয়েছে, তার দায়িত্ব ভাগ করে দেন ৷ সবচেয়ে বেশি বিধানসভার দায়িত্ব পেয়েছেন চন্দ্রনাথ সিনহা ৷ তাঁকে বোলপুর, নলহাটি, মুরারই ও ময়ূরেশ্বর - চারটে বিধানসভার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ৷ আর ফায়জুল হক ওরফে কাজল শেখ পেয়েছেন মাত্র দু’টি বিধানসভার (নানুর ও কেতুগ্রাম) দায়িত্ব ৷
গরুপাচার ও মানি লন্ডারিংয়ের মামলায় তিহার জেলে বন্দি অনুব্রত মণ্ডল । অনুব্রত জেলে চলে যাওয়ার পর বীরভূমে তৃণমূলের সংগঠন দেখভালের জন্য 9 জনের কোর কমিটি গড়েছিলেন মমতা ৷ সেই কোর কমিটিতে জায়গা হয়েছিল কাজল শেখের ৷ পরে তিনি জেলা পরিষদের সভাধিপতিও হন ৷ অনেকে মনে করেছিলেন, অনুব্রতর অনুপস্থিতিতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন বলেই হয়তো কাজল শেখের দায়িত্ব বাড়ছে ৷
কিন্তু মঙ্গলবার কাজলকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বীরভূম জেলার কোর কমিটি থেকে ৷ নতুন করে পাঁচ জনের কোর কমিটি গঠন করা হয়েছে ৷ সেখানে চন্দ্রনাথ সিনহা ছাড়াও রয়েছেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিনহা ওরফে রানা, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী ও তৃণমূল নেতা সুদীপ্ত ঘোষ । এই চারজনও অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত ৷