কলকাতা, 24 মার্চ: লোকসভা নির্বাচন নিয়ে আরও একবার বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন । আগেই লোকসভা নির্বাচন সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে করার দাবি জানিয়েছিলেন তিনি । এরপরও একের পর এক ঘটনা ঘটছে । ইতিমধ্যেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নির্বাচনের আগেই গ্রেফতার করেছে ইডি । একইভাবে এ রাজ্যেও চলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার 'অতি সক্রিয়তা'। আর সেসব নিয়ে মুখ খুলতে গিয়েই সরাসরি আরও একবার বিজেপিকে নিশানা করলেন তৃণমূল সাংসদ । সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, "2024 এর নির্বাচন বিজেপি বনাম গণতন্ত্র ।"
কিন্তু কেন এমনটা লিখলেন তিনি ? ঘনিষ্ঠ মহলে তার একটা ব্যাখ্যাও পাওয়া গিয়েছে । তাতে ডেরেক জানিয়েছেন, বিজেপি এই নির্বাচনে আসলে গণতন্ত্রের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছে । এবারের নির্বাচন তৃণমূল বনাম বিজেপি বা বিজেপি বনাম কংগ্রেস বা অন্য বিরোধী রাজনৈতিক দলের নয় । এখানে লড়াই গণতন্ত্র বনাম বিজেপির । আর সে কারণেই বিজেপি বিরোধী শক্তিগুলির লড়াই অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক, অনেক বেশি গণতন্ত্রের পক্ষে ।
প্রসঙ্গত, অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করার পর ইন্ডিয়া জোটের তরফ থেকে যে প্রতিনিধিদল নির্বাচন কমিশনে গিয়েছিল সেই দলে ছিলেন ডেরেকও । আর সেই জায়গা থেকে মনে করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতার এই বক্তব্য একদিকে যেমন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পাশে থাকার বার্তা একইসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যেভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি সক্রিয় হয়েছে তার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ ।
একা ডেরেক নন, রাজ্যে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থাগুলির অতি সক্রিয়তায় প্রতিহিংসার রাজনীতি দেখছেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজাও । সরাসরি তিনি বলছেন, "নির্বাচনী লড়াইয়ে হারাতে পারবে না বুঝতে পেরেই এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে লেলিয়ে দিচ্ছে বিজেপি।" তাঁর মতে, আসলে বিজেপি সরাসরি এই তদন্তকারী সংস্থাগুলির মাধ্যমে তৃণমূল কংগ্রেসকে টার্গেট করতে চাইছে । যেন তেন প্রকারেণ ক্ষমতা করায়ত্ত করাই তাদের লক্ষ্য ।"
আরও পড়ুন :
- মুখ্যমন্ত্রী সংবিধান লিখুক আর ডেরেক অনুবাদ করুক, সুপ্রিম কোর্টের নজরদারিতে ভোটের দাবির পালটা জবাব সুকান্তর
- 'মোদির পরিবার'কে খোঁচা দিয়ে সুপ্রিম নজরদারিতে লোকসভা ভোট চায় তৃণমূল
- 'তারিখ ঠিক করুন', মোদি-শাহকে মুখোমুখি বিতর্কে বসার চ্যালেঞ্জ অভিষেক-ডেরেকের