কলকাতা, 6 জানুয়ারি: প্রথমার্ধে জোড়া গোলে পিছিয়ে পড়ার পর ইস্টবেঙ্গল যে ম্যাচে ফিরতে পারে, সেটাই বিশ্বাস করেননি অনেকে ৷ দ্বিতীয়ার্ধে তবুও ম্যাচে ফিরল লাল-হলুদ ৷ পঞ্জাব ম্যাচের স্মৃতি উসকে প্রিয় দল মুম্বইকে তখন জোড়া গোল ফিরিয়ে দেওয়ার আনন্দে উদ্বেল যুবভারতী ৷ ফের পিছিয়ে পড়া সত্ত্বেও যখন জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে লাল-হলুদ জনতা, ঠিক তখনই ক্ষমার অযোগ্য ভুল হিজাজি মাহেরের ৷ ন্যাথন রড্রিগেজের বাড়ানো বল শিক্ষানবিশী ঢংয়ে মিস করে বসলেন জর্ডানের ডিফেন্ডার ৷ আর তা থেকে গোল করেই মুম্বইকে জয় এনে দিলেন নিকোস কারেলিস ৷
মুম্বইয়ের হয়ে আরেকটি গোল লালিয়ানজুয়ালা ছাংতের ৷ সবমিলিয়ে যুবভারতীতে এসে বছরের প্রথম ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলকে 3-2 গোলে হারাল মুম্বই ৷ জোড়া গোলে মুম্বইয়ের জয়ের নায়ক গ্রিক স্ট্রাইকার কারেলিস ৷ পক্ষান্তরে নিষ্প্রভ রইলেন লাল-হলুদের গ্রিক ফরোয়ার্ড দিমিত্রিয়স দিয়ামান্তাকোস ৷ বছরের শুরুতে হেরে সুপার সিক্সে যাওয়ার পথ আরও কঠিন করে ফেলল অস্কার ব্রুজোঁর ছেলেরা।
ভয়ডরহীন ফুটবলে অনেক কঠিন ম্যাচ সহজ হয়। কিন্তু সমস্যার চক্রব্যূহে থাকা ইস্টবেঙ্গল দ্বিতীয়ার্ধে জ্বললেও শুরুর 45 মিনিট ভেজা বারুদের মত। মাঝমাঠের দখল নিয়ে নিয়ন্ত্রক হওয়ার ছক কষেছিলেন অস্কার ব্রুজোঁ। কিন্তু যাঁদের নিয়ে কৌশল, তাঁরাই ছন্দহীন। প্রথমের কয়েকটি প্রচেষ্টা থেকে ব্যর্থ হলেও 39 মিনিটে ডেডলক ভাঙে মুম্বই ৷ বিক্রম প্রতাপ সিংয়ের পাস থেকে বল পেয়ে ব্র্যান্ডন ফার্নান্ডেজ তা ছাংতের জন্য বাড়িয়ে দেন। সেই বল ধরে 1-0 করেন গতবারের নায়ক ৷ পাঁচ মিনিট পরে হেক্টর ইউস্তের স্লথ ডিফেন্ডিং কাজে লাগিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কারেলিস ৷ একের বিরুদ্ধে একে প্রভসুখন গিল প্রথম শটটি রুখলেও ফিরতি বলে জালে পাঠান গ্রিক ফুটবলার ৷
বিরতির পরে আড়মোড়া ভাঙে ইস্টবেঙ্গল। প্রভাত লাকড়ার জায়গায় নিশুকুমার, নন্দকুমারের বদলে নাওরেম মহেশ নামতেই আক্রমণে ঝাঁঝ বাড়ে ইস্টবেঙ্গলের। ফলশ্রুতিতে 65 মিনিটে ব্যবধান কমায় ইস্টবেঙ্গল। সৌজন্য সাহিল পানওয়ারের আত্মঘাতী গোল। এই সময় জিকসন সিংকে তুলে ডেভিড লালহ্লানসাঙ্গাকে নামান অস্কার ব্রুজো। সুপার সাবের সমতাসূচক গোল আসে 83 মিনিটে। পঞ্জাব ম্যাচের মতই প্রত্যাবর্তনের জোরালো সম্ভাবনায় তখন গ্যালারির গর্জন বাড়ছে। কিন্তু চার মিনিটের মধ্যেই ফের গোল হজম ইস্টবেঙ্গলের। হিজাজির ভুলকে কাজে লাগিয়ে 3-2 করেন কারেলিস ৷ ফলে ডার্বির আগে ফের হারের অন্ধকারে লাল-হলুদ ৷