কলকাতা, 23 ফেব্রুয়ারি: 24 ঘণ্টার ব্যবধানে ফের সন্দেশখালিতে হাজির হলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার । শুক্রবার তিনি গোটা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশাসন এবং অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ পরে তিনি সন্দেশখালির একাধিক রাস্তায় গিয়ে সরাসরি মানুষের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন । পুলিশের পক্ষ থেকে যে ক্যাম্প করা হবে, সেখানে অভিযোগ জানানোর জন্য বাসিন্দাদের কাছে আহ্বান জানান তিনি ৷ তবে কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিলে সমস্যায় পড়তে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি ৷
ভবানী ভবন সূত্রের খবর, আজ থেকে ওই এলাকায় পুলিশের ক্যাম্প করা হচ্ছে । সেখানে থাকবেন পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা । সেখানেই গ্রামের বাসিন্দাদের থেকে অভিযোগ শুনবে পুলিশ । তবে বাসিন্দাদের প্রশ্ন, এখন এত তৎপরতা দেখাচ্ছে পুলিশ, এতদিন তারা পুলিশ কোথায় ছিল !
গত পরশুদিনও সন্দেশখালিতে গিয়েছিলেন রাজীব কুমার । সেখানে জলপথে ঘুরে গোটা এলাকায় তিনি টহল দেন । এমনকি রাতে সে দিন সেখানেই থেকে গিয়েছিলেন তিনি । কিন্তু তিনি কলকাতায় ফিরে আসার পরই ফের নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় সন্দেশখালিতে । শেখ শাহজাহানের ভাই সিরাজউদ্দিনকে দেখে লাঠি-ঝাঁটা হাতে তাড়া করেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ সিরাজউদ্দিনের একটি আলাঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয় ৷ মোটরবাইকে চেপে পালান শাহজাহানের ভাই ৷ একাধিক গ্রামবাসীকে গ্রেফতার করে পুলিশ ।
গতকালের পর আজও সন্দেশখালির একাধিক গ্রামে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায় । জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সফরের মধ্যেই আবারও অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে সন্দেশখালির বেড়মজুর 2 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা । ঝুপখালির পর জনরোষ আছড়ে পড়ে কাছারি এলাকায় ৷ ক্ষিপ্ত গ্রামবাসীরা আজও শাহজাহানের মেজোভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের আরও একটি ভেড়ির আলাঘর পুড়িয়ে দেন ৷ পুলিশকে ঘিরে ধরে চলে বিক্ষোভ । গ্রামবাসীদের বোঝাতে ময়দানে নামেন এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার ৷ এরপর বেলা 12টায় ফের সন্দেশখালিতে পৌঁছন রাজীব কুমার ।
আরও পড়ুন:
- সন্দেশখালি থানার অবস্থান থেকে টেনে-হিঁচড়ে সরিয়ে গ্রেফতার করা হল সুকান্তকে
- অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি, গ্রামবাসীদের শান্ত করতে ময়দানে এডিজি সাউথ
- সন্দেশখালি যাওয়ার আগেই গ্রেফতার লকেট, নিয়ে যাওয়া হল লালবাজারে