ঘাটাল, 11 ফেব্রুয়ারি: অডিয়ো ভাইরাল হওয়ার জের ৷ তাতে জেলা চেয়ারম্যানের পদ গেল প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শঙ্কর দলুইয়ের ৷ তাঁর জায়গায় এলেন ডেবরার প্রাক্তন বিধায়ক তথা জেলা পরিষদ সদস্য রাধাকান্ত মাইতি। ঘটনায় রাজনৈতিক চাঞ্চল্য পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে। কয়েকদিন আগেই ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেবের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে একটি অডিয়ো ক্লিপ ভাইরাল হয়। অডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি ইটিভি ভারত ৷
সেই ক্লিপে ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলের তৎকালীন চেয়ারম্যান শঙ্কর দলুই দেবের বিরুদ্ধে সরাসরি 30 শতাংশ কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ করেন ৷ সেই অডিয়ো ঘিরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক মহলে। সংবাদ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়াও দেন দেব। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, "তোলাবাজির অভিযোগ প্রমাণিত হলে শুধু রাজনীতি কেন সিনেমা করাও ছেড়ে দেব!"
এই বিষয়ে প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা প্রাক্তন বিধায়ক শঙ্কর দলুইকে ফোনে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "অডিয়ো ভাইরাল হওয়া সম্পর্কে কিছুই জানি না। দলের এই নির্দেশকে স্বাগত জানাই ৷ দলের ভালোর জন্য যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সেটাকেই স্বাগত জানাই ৷ দলের একনিষ্ঠ কর্মী হিসাবে কাজ করে যাব ৷"
নতুন পদ পাওয়া তৃণমূল চেয়ারম্যান রাধাকান্ত মাইতি বলেন, "ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতির কাছ থেকে এই খবর পেয়েছি। দলের সিদ্ধান্তকে স্বাগত। দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই আমরা করব। আমরা কেউই দলের উপরে নই। লোকসভা ভোটের সময় দল মনে করেছিল আমাকে প্রয়োজন নেই তাই তাঁকে সরানো হয়েছিল ৷ এখন প্রয়োজন মনে হয়েছে তাই আবার পদ দেওয়া হয়েছে।"
উল্লেখ্য, অভিনেতা-সাংসদ দেব এই অডিয়ো ভাইরাল হওয়ার কথা স্বীকার করে নিয়েই বলেন, হয়তো শংকর দলুই পরিকল্পনা মাফিক কিছু করেননি। হয়তো কোথাও আলোচনায় বা আড্ডাতে একথা বলে ফেলেছেন । এভাবেই গসিপ করা হয় ৷ এটা ভুলের কিছু নয় ৷ এরই সঙ্গে তিনি শঙ্কর দলুইকে নিজের রাজনৈতিক শিক্ষা গুরু বলেও সম্বোধন করেন। এরপরই লোকসভা ভোটে আর প্রার্থী হতে চান না বলে ইঙ্গিতও দিয়ে দেন অভিনেতা দীপক অধিকারী তথা দেব।