পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / international

প্রয়াত নোবেলজয়ী প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার - JIMMY CARTER PASSES AWAY

গত অক্টোবর মাসে শততম জন্মদিন পালন করেন আমেরিকার 39 তম প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ৷ অসুস্থতার জন্য দীর্ঘদিন বাড়িতেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর ৷

JIMMY CARTER PASSES AWAY
1977 সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পর সপরিবারে জিমি কার্টার (এপি, ফাইল চিত্র)

By PTI

Published : Dec 30, 2024, 8:51 AM IST

Updated : Dec 30, 2024, 10:15 AM IST

ওয়াশিংটন, 30 ডিসেম্বর: প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল 100 বছর ৷ অসুস্থতার জন্য জর্জিয়ার প্লেইনসের বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা চলছিল তাঁর ৷ রবিবার সন্ধ্যায় সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন আমেরিকার 39 তম প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ৷ তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে এমনটাই জানিয়েছে 'কার্টার সেন্টার' ৷

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্টের প্রয়াণে শোকবার্তা জানিয়েছেন বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৷ একটি বিবৃতি প্রকাশ করে শোকাহত বাইডেন বলেন, "আজ আমেরিকা তথা সারা বিশ্ব একজন অসাধারণ নেতা, রাষ্ট্রনায়ককে হারালো ৷" পুরনো দিনের স্মৃতিচারণা করে তিনি আরও জানান, ছয় দশকের বেশি সময় ধরে দেশে শান্তি বজায় রাখা, উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা, নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকারের অগ্রগতি, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, গৃহহীনদের জন্য বাসস্থানের ব্যবস্থার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করেছেন ৷ শুধু আমেরিকায় নয়, বিশ্ববাসীর জীবনধারণ সহজ করে তোলায় তাঁর ভূমিকা অপরিসীম ৷ দেশের উন্নতিতে তাঁর অবদান কোনও ভাবেই ভুলে যাওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন বাইডেন ৷

আমেরিকার 47 তম প্রেসিডেন্ট তথা রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প জিমি কার্টারের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন ৷ ট্রাম্পের কথায়, "বিশ্বের দরবারে আমেরিকার উন্নতিতে কঠোর পরিশ্রম করেছেন তিনি ৷ তাঁর এই অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে ৷ অবশ্যই, তিনি একজন ভালো মানুষ ছিলেন ৷ বিশ্ববাসী তাঁকে সর্বদা মনে রাখবে ৷ তিনি একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যিনি ওভাল অফিসের দায়িত্ব থেকে মুক্তি পাওয়ার পরও সর্বদা দেশ তথা দেশবাসীর কথা ভেবেছেন ৷"

জর্জিয়ায় 1924 সালের 1 অক্টোবরে জন্মগ্রহণ করেন জিমি কার্টার ৷ মার্কিন নৌবাহিনীতে 1943 সাল থেকে 1953 সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি ৷ প্লেইনসের বাসিন্দা রোসালিন স্মিথের সঙ্গে 1946 সালে বিয়ে হয় জিমির ৷ বাবা মারা যাওয়ায় নৌবাহিনী ছেড়ে জর্জিয়ায় ফিরে আসেন তিনি ৷ যোগ দেন সক্রিয় রাজনীতিতে ৷ জর্জিয়া প্রদেশ থেকে মার্কিন কংগ্রেসে সেনেট নির্বাচিত হন 1962 সালে ৷ এরপর 1977 সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় ছিনিয়ে নেন ডেমোক্র্যাট জিমি কার্টার ৷ 1981 সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব সামলান তিনি ৷

কার্টার দম্পতির 4 সন্তান— জ্যাক, চিপ, জেফ এবং অ্যামি ৷ বাবার মৃত্যুতে একটি বিবৃতিতে ছেলে চিপ কার্টার লিখেছেন, "শান্তি, মানবাধিকার এবং নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় বিশ্বাসী প্রতিটি মানুষের কাছে আমার বাবা একজন নায়ক ছিলেন ৷ তাঁর বিশ্বাস ও ভালোবাসার জন্য আজ বিশ্বের প্রতিটি মানুষ আমাদের পরিবারের সদস্য হয়ে উঠেছে ৷"

উল্লেখ্য, তাঁর সময়কালে ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রেখেছিলেন জিমি কার্টার ৷ 1977 সালে জরুরি অবস্থার অবসান ও জনতা পার্টির ক্ষমতায়নের পর প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ভারত সফরে আসেন তিনি ৷ মার্কিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বিশ্ব দরবারে তাঁর একাধিক কাজ আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে ৷ একমাত্র তাঁর জন্যই ইজরায়েল ও মিশরের মধ্যে শান্তিস্থাপন সম্ভব হয়েছিল ৷ মানবতা ও সামাজিক অধিকার রক্ষার বিষয়ে তাঁর অসামান্য অবদানের জন্য 2002 সালে নোবেল শান্তি পুরষ্কার পান জিমি কার্টার ৷ এরপর, 2015 সালে তাঁর ব্রেন ক্যানসার ধরা পড়ে ৷ অবশ্য, এই বিষয়ে বিশেষ চিন্তা করতেন না তিনি ৷

পড়ুন:'ভারত-মার্কিন সম্পর্কে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য', মনমোহনের স্মৃতিচারণায় বাইডেন
Last Updated : Dec 30, 2024, 10:15 AM IST

ABOUT THE AUTHOR

...view details