ETV Bharat / state

কাউন্সিলর খুনে পুলিশের রাডারে থাকা রোহন কে, সপ্তাহব্যাপী রেইকি দুষ্কৃতীদের ! - MALDA COUNCILOR MURDER CASE

14 দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হল কাউন্সিলর দুলাল সরকার খুনে ধৃত অভিজিৎ ঘোষ এবং অমিত রজকে ৷

MALDA COUNCILOR MURDER CASE
মালদায় কাউন্সিলর খুনে পুলিশের রাডারে কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন ৷ (নিজস্ব ছবি)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 4, 2025, 8:39 PM IST

মালদা, 4 জানুয়ারি: তৃণমূল নেতা তথা ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় আরও দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ ধৃতদের শনিবার জেলা আদালতে পেশ করে 14 দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ৷ আর এই ঘটনায় পুলিশের রাডারে রয়েছেন কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন নামে এক যুবক ৷ তাঁর খোঁজে হন্যে হয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ৷ এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক যোগ নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়েছে ৷

তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকারের খুনে অভিযুক্ত পাঁচ দুষ্কৃতীকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ ৷ তার মধ্যে আবদুল গনি (20), শামি আখতার (20) ও টিংকু ঘোষকে (23) শুক্রবারই মালদা জেলা আদালত 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷

মালদায় কাউন্সিলর খুনে পুলিশের রাডারে কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন ৷ (ইটিভি ভারত)

এ দিন অভিজিৎ ঘোষ ও অমিত রজক নামে আরও দুই দুষ্কৃতীকে এ দিন জেলা আদালতে পেশ করা হয় ৷ অভিজিৎ (18) মালদা শহরের ঘোরাপির এলাকার ঘোষপাড়ার বাসিন্দা ৷ 22 বছরের অমিত ঝলঝলিয়া রেলওয়ে কলোনিতে থাকে ৷ অভিযুক্তদের জেরা করে এবং তাঁদের মোবাইল ফোনের কল ডিটেইলস থেকে পুলিশ অভিজিৎ ও অমিতের নাম পায় ৷

পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনায় কাউন্সিলরকে গুলি করেছিল বিহারের দুই শ্যুটার গনি ও শামি ৷ বাকিরা দোকানের বাইরে মানুষজনকে ভয় দেখাচ্ছিল বলে অভিযোগ ৷ অভিজিৎ ও অমিতকে এ দিন জেলা আদালতে তোলা হলে তাদের 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য দায়রা বিচারক ৷

অভিজিতের মা সবিতা ঘোষের দাবি, “কী হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছি না ৷ ছেলে 25 ডিসেম্বর থেকে তিনদিন বাড়ি ফেরেনি ৷ বাড়ি ফেরার পর প্রতিদিন আমার কাছে 5-10 টাকা চাইত ৷ এক তারিখ রাতেও ও বাড়ি ফেরেনি ৷ পরদিন বেলা দেড়টা নাগাদ বাড়িতে আসে ৷ দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমোয় ৷ সেদিনই রাত তিনটে নাগাদ পুলিশ ওকে ধরে নিয়ে গিয়েছে ৷ আমি জানি না, এই ঘটনার সঙ্গে ও জড়িত কি না ৷”

পুলিশ সূত্রে খবর, যে জায়গায় দুলাল সরকারকে গুলি করা হয়েছিল, তার কিছুটা দূরেই একটি বাড়িতে ঘাঁটি গেড়েছিল দুষ্কৃতীরা ৷ পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, অন্তত দিন সাতেক সেখানে থেকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল তারা ৷ এই বাড়িতেই থাকতেন রোহন ৷ যিনি এখন পুলিশের রাডারে রয়েছেন ৷

ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, রোহনই দুলাল সরকারকে খুনের জন্য বাকিদের নিযুক্ত করেছিলেন ৷ তিনিই এই খুনের সুপারি নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ৷ তাঁর আসল পরিচয়ও জানতে পেরেছে পুলিশ ৷ তাঁর নাম কৃষ্ণ রজক ৷ ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা কৃষ্ণ ৷ তাঁরই ভাই অমিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ বাড়িটিও সিল করে দেওয়া হয়েছে ৷

ঘরের পাশে অপরাধীদের ঘাঁটি গাড়ার খবর জানতে পেরে আতঙ্কিত শহরের মাতাল মোড় এলাকার বাসিন্দারা ৷ রোহনের ভাই অমিত বাড়ি-বাড়ি দুধ বিক্রি করেন ৷ সুমনা মোদক নামে এক স্থানীয় বলছেন, “অমিত আমাদের বাড়িতেও দুধ দিতেন ৷ তবে, এই বাড়িতে তিনি থাকতেন না ৷ তাঁর দাদা থাকত ৷ ওঁর নামও আমরা সঠিক জানি না ৷ ঘটনার 3-4 দিন আগে থেকেই অচেনা কয়েকটি ছেলেকে এই বাড়িতে থাকতে দেখেছি ৷ জিজ্ঞেস করলে বলত, ওঁরা বন্ধু ৷ ওঁরা বাজার করে আনত, রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করত, সকালে বাইরে ব্রাশ করত, রোদ পোহাত ৷ তবে, ঘটনার পর থেকে ওঁদের কাউকেই আর দেখতে পাইনি ৷ ছেলেটি আমাদের বলেছিল, ব্যবসা করেন ৷ তবে কী ব্যবসা করতেন, জানি না ৷ ঘটনার পর সন্ধে নাগাদ ওই বাড়িতে পুলিশ এসেছিল ৷ শুনছি, বাড়ি সিল করে গিয়েছে ৷”

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সুজাতা সরকার বলেন, “আমি সাধারণত বাড়ির বাইরে বেরোই না ৷ ওঁদের দু’দিন দেখেছিলাম ৷ একদিন দেখি, হাঁড়িতে জল ভরছে ৷ আরেকদিন দেখেছি, বাইকে চেপে তিনজন বেরিয়ে গেল ৷ ওঁদের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি ৷ যেদিন দাদা খুন হয়, সেদিন সন্ধেয় পুলিশ এসে বাড়ির তালা ভাঙে ৷ তারপর সিল করে গিয়েছে ৷ এখান থেকে ওঁরা দুলাল সরকারের উপর নজরদারি চালাতেই পারে ৷ তবে, ঘটনার পর থেকে ওঁদের আর দেখতে পাইনি ৷ এটা কৃষ্ণ নামে ছেলেটির দিদার বাড়ি ৷ তবে, তাঁর দিদা মারা গিয়েছেন ৷”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “ঘটনার তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে ৷ তবে, মূল অভিযুক্ত রোহন পলাতক রয়েছেন ৷ তাঁর খোঁজ চলছে ৷ ভিনরাজ্যের পুলিশকেও গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে ৷ আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে ৷”

দুলাল সরকার খুনের পিছনে রাজনৈতিক যোগ নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়েছে ৷ তাঁর কাউন্সিলর স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকারই সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ৷ তিনি পরিষ্কারই বলেছেন, “যারা এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েছে, তারা শুধুই ভাড়াটে গুন্ডা ৷ এই ঘটনার মাথা কারা, তা এখনও বের হয়নি ৷ হয়তো রাজনৈতিক লোকজনই সেই মাথা ৷ হয়তো তাঁরা ভাবছিলেন, দুলাল সরকার বেঁচে থাকলে তাঁদের রাজনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে ৷ তাই ওঁকে এই পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দিল ৷”

রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের আভাস মিলেছে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর বক্তব্যেও ৷ তিনি বলেছিলেন, “যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা যে দলেরই লোক হোক না-কেন, তাদের ছেড়ে কথা বলা হবে না ৷” পুলিশের তরফে কিছু জানানোর আগেই চৈতালি কিংবা কৃষ্ণেন্দুর এমন মন্তব্যে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ তবে, কি সত্যিই আসল মাথাকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে !

মালদা, 4 জানুয়ারি: তৃণমূল নেতা তথা ইংরেজবাজার পুরসভার কাউন্সিলর দুলাল সরকার খুনের ঘটনায় আরও দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ ৷ ধৃতদের শনিবার জেলা আদালতে পেশ করে 14 দিনের পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে ৷ আর এই ঘটনায় পুলিশের রাডারে রয়েছেন কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন নামে এক যুবক ৷ তাঁর খোঁজে হন্যে হয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ ৷ এই ঘটনার পিছনে রাজনৈতিক যোগ নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়েছে ৷

তৃণমূল কাউন্সিলর দুলাল সরকারের খুনে অভিযুক্ত পাঁচ দুষ্কৃতীকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিশ ৷ তার মধ্যে আবদুল গনি (20), শামি আখতার (20) ও টিংকু ঘোষকে (23) শুক্রবারই মালদা জেলা আদালত 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ৷

মালদায় কাউন্সিলর খুনে পুলিশের রাডারে কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন ৷ (ইটিভি ভারত)

এ দিন অভিজিৎ ঘোষ ও অমিত রজক নামে আরও দুই দুষ্কৃতীকে এ দিন জেলা আদালতে পেশ করা হয় ৷ অভিজিৎ (18) মালদা শহরের ঘোরাপির এলাকার ঘোষপাড়ার বাসিন্দা ৷ 22 বছরের অমিত ঝলঝলিয়া রেলওয়ে কলোনিতে থাকে ৷ অভিযুক্তদের জেরা করে এবং তাঁদের মোবাইল ফোনের কল ডিটেইলস থেকে পুলিশ অভিজিৎ ও অমিতের নাম পায় ৷

পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, বৃহস্পতিবার সকালের ঘটনায় কাউন্সিলরকে গুলি করেছিল বিহারের দুই শ্যুটার গনি ও শামি ৷ বাকিরা দোকানের বাইরে মানুষজনকে ভয় দেখাচ্ছিল বলে অভিযোগ ৷ অভিজিৎ ও অমিতকে এ দিন জেলা আদালতে তোলা হলে তাদের 14 দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য দায়রা বিচারক ৷

অভিজিতের মা সবিতা ঘোষের দাবি, “কী হয়েছে কিছুই বুঝতে পারছি না ৷ ছেলে 25 ডিসেম্বর থেকে তিনদিন বাড়ি ফেরেনি ৷ বাড়ি ফেরার পর প্রতিদিন আমার কাছে 5-10 টাকা চাইত ৷ এক তারিখ রাতেও ও বাড়ি ফেরেনি ৷ পরদিন বেলা দেড়টা নাগাদ বাড়িতে আসে ৷ দুপুরের খাবার খেয়ে ঘুমোয় ৷ সেদিনই রাত তিনটে নাগাদ পুলিশ ওকে ধরে নিয়ে গিয়েছে ৷ আমি জানি না, এই ঘটনার সঙ্গে ও জড়িত কি না ৷”

পুলিশ সূত্রে খবর, যে জায়গায় দুলাল সরকারকে গুলি করা হয়েছিল, তার কিছুটা দূরেই একটি বাড়িতে ঘাঁটি গেড়েছিল দুষ্কৃতীরা ৷ পুলিশি তদন্তে জানা গিয়েছে, অন্তত দিন সাতেক সেখানে থেকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল তারা ৷ এই বাড়িতেই থাকতেন রোহন ৷ যিনি এখন পুলিশের রাডারে রয়েছেন ৷

ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, রোহনই দুলাল সরকারকে খুনের জন্য বাকিদের নিযুক্ত করেছিলেন ৷ তিনিই এই খুনের সুপারি নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ৷ তাঁর আসল পরিচয়ও জানতে পেরেছে পুলিশ ৷ তাঁর নাম কৃষ্ণ রজক ৷ ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা কৃষ্ণ ৷ তাঁরই ভাই অমিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ বাড়িটিও সিল করে দেওয়া হয়েছে ৷

ঘরের পাশে অপরাধীদের ঘাঁটি গাড়ার খবর জানতে পেরে আতঙ্কিত শহরের মাতাল মোড় এলাকার বাসিন্দারা ৷ রোহনের ভাই অমিত বাড়ি-বাড়ি দুধ বিক্রি করেন ৷ সুমনা মোদক নামে এক স্থানীয় বলছেন, “অমিত আমাদের বাড়িতেও দুধ দিতেন ৷ তবে, এই বাড়িতে তিনি থাকতেন না ৷ তাঁর দাদা থাকত ৷ ওঁর নামও আমরা সঠিক জানি না ৷ ঘটনার 3-4 দিন আগে থেকেই অচেনা কয়েকটি ছেলেকে এই বাড়িতে থাকতে দেখেছি ৷ জিজ্ঞেস করলে বলত, ওঁরা বন্ধু ৷ ওঁরা বাজার করে আনত, রান্না করে খাওয়া-দাওয়া করত, সকালে বাইরে ব্রাশ করত, রোদ পোহাত ৷ তবে, ঘটনার পর থেকে ওঁদের কাউকেই আর দেখতে পাইনি ৷ ছেলেটি আমাদের বলেছিল, ব্যবসা করেন ৷ তবে কী ব্যবসা করতেন, জানি না ৷ ঘটনার পর সন্ধে নাগাদ ওই বাড়িতে পুলিশ এসেছিল ৷ শুনছি, বাড়ি সিল করে গিয়েছে ৷”

আরেক স্থানীয় বাসিন্দা সুজাতা সরকার বলেন, “আমি সাধারণত বাড়ির বাইরে বেরোই না ৷ ওঁদের দু’দিন দেখেছিলাম ৷ একদিন দেখি, হাঁড়িতে জল ভরছে ৷ আরেকদিন দেখেছি, বাইকে চেপে তিনজন বেরিয়ে গেল ৷ ওঁদের সঙ্গে কোনও কথা হয়নি ৷ যেদিন দাদা খুন হয়, সেদিন সন্ধেয় পুলিশ এসে বাড়ির তালা ভাঙে ৷ তারপর সিল করে গিয়েছে ৷ এখান থেকে ওঁরা দুলাল সরকারের উপর নজরদারি চালাতেই পারে ৷ তবে, ঘটনার পর থেকে ওঁদের আর দেখতে পাইনি ৷ এটা কৃষ্ণ নামে ছেলেটির দিদার বাড়ি ৷ তবে, তাঁর দিদা মারা গিয়েছেন ৷”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “ঘটনার তদন্ত অনেকটাই এগিয়েছে ৷ তবে, মূল অভিযুক্ত রোহন পলাতক রয়েছেন ৷ তাঁর খোঁজ চলছে ৷ ভিনরাজ্যের পুলিশকেও গোটা বিষয়টি জানানো হয়েছে ৷ আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে ৷”

দুলাল সরকার খুনের পিছনে রাজনৈতিক যোগ নিয়েও গুঞ্জন শুরু হয়েছে ৷ তাঁর কাউন্সিলর স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকারই সেই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন ৷ তিনি পরিষ্কারই বলেছেন, “যারা এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েছে, তারা শুধুই ভাড়াটে গুন্ডা ৷ এই ঘটনার মাথা কারা, তা এখনও বের হয়নি ৷ হয়তো রাজনৈতিক লোকজনই সেই মাথা ৷ হয়তো তাঁরা ভাবছিলেন, দুলাল সরকার বেঁচে থাকলে তাঁদের রাজনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে ৷ তাই ওঁকে এই পৃথিবী থেকেই সরিয়ে দিল ৷”

রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের আভাস মিলেছে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর বক্তব্যেও ৷ তিনি বলেছিলেন, “যে বা যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা যে দলেরই লোক হোক না-কেন, তাদের ছেড়ে কথা বলা হবে না ৷” পুলিশের তরফে কিছু জানানোর আগেই চৈতালি কিংবা কৃষ্ণেন্দুর এমন মন্তব্যে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে ৷ তবে, কি সত্যিই আসল মাথাকে আড়াল করার চেষ্টা চলছে !

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.